ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সুপ্রিম কোর্টের বিভক্ত রায়: ৬ জানুয়ারির মামলায় ট্রাম্পের সীমিত আকারে অব্যাহতির সুযোগ রয়েছে

প্রকাশ: ১০:০৩ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট প্রথমবারের মতো জানিয়েছেন যে, সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে সাবেক প্রেসিডেন্টগণ বিশেষ কিছু বিষয়ে ফৌজদারি মামলা থেকে নিজেদের সুরক্ষার সুযোগ নিয়ে অব্যাহতি চাইতে পারেন। আর এর মধ্যদিয়ে ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের হেরে যাওয়ার বিষয়ে  জড়িত ফৌজদারি অভিযোগ থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য তার বিষয়ে নতুন করে এমন বিচারিক সিদ্ধান্ত নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

আদালতের দেয়া ৬-৩ বিভক্ত রায়ে বলা হয়, সাবেক প্রেসিডেন্টগণ তাদের সাংবিধানিক কর্তৃত্বের মধ্যে গৃহীত পদক্ষেপের জন্য অনাক্রম্যতা ভোগ করলেও ব্যক্তিগত ক্ষমতা বলে এমন পদক্ষেপ নিতে পারেন না। এই রায়টি প্রথমবারের মতো সাবেক প্রেসিডেন্টদের ফৌজদারি অভিযোগ থেকে রক্ষার জন্য একটি পথ বাতলে দিয়েছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞগণ।

প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস এর নেতৃত্বে ৬ সদস্য বিশিষ্ট বিচারকগণ এ রায় প্রদান করেন। এসময় অন্য তিন বিচারক রায়ের বিরুদ্ধে তাদের মত প্রকাশ করেন। এদিকে রায়টি এমন সময়ে দেয়া হলো যখন ট্রাম্প নিম্ন আদালতে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন। 

আসন্ন ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্প তার ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেনের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন চার বছর আগের নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করলেও কারুচুপির মাধ্যমে তাকে হারানো হইয়েছিল। 

ট্রাম্প বলেন, ফৌজদারি অপরাধ থেকে তিনি মুক্তি চাচ্ছেন কারণ তৎকালীন সময়ে তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। 

এর আগে ২৫ এপ্রিল আদালতের যুক্তি-তর্ক চলাকালীন সময়ে ট্রাম্পের আইনি দল বিচারকদেরকে সাবেক প্রেসিডেন্টদের ফৌজদারি অভিযোগ থেকে সম্পূর্ণরূপে রক্ষার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। ট্রাম্পের আইনজীবী বলেন, বর্তমান প্রেসিডেন্টগণ ভবিষ্যতে বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াতে পারেন এমন হুমকি থাকলে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের দ্বারা "ব্ল্যাকমেইল এবং চাঁদাবাজির" শিকার হতে পারেন। 

৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট যিনি প্রথমবারের মতো ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন। 

এর আগে ৪ মার্চ ট্রাম্পের বিচার শুরু হওয়ার কথা ছিল। 

নিউইয়র্ক রাজ্যের আদালতে আনা আরেকটি পৃথক মামলায়, ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে একটি যৌন কেলেঙ্কারি এড়াতে একজন পর্ন তারকাকে গোপনে অর্থ প্রদানের বিষয়েও তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় বলে অভিযোগ আনা হয়। এসময় ৩৪টি নথি জালের জন্য ম্যানহাটন আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। 

সূত্র রয়টার্স


ডোনাল্ড ট্রাম্প   বাইডেন   সুপ্রিম কোর্ট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মিশরের শিক্ষামন্ত্রীর পিএইচডি ডিগ্রি ভুয়া

প্রকাশ: ১১:২৫ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

মিশরের নতুন শিক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ আব্দেল লতিফের পিএইচডি ডিগ্রিটি ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে। আর এবিষয়ে দেশটির একজন সাংবাদিক ও অনলাইন ফ্যাক্টচেকার সরকারকে জানিয়েছে বলে মিডেল ইস্ট আইয়ের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে।

গত বুধবার মিসরের নতুন সরকার শপথ গ্রহণ করে। আর এই সরকারে প্রধানমন্ত্রীর পদ বাদে বাকি সব মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তন আনার আওতায় শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পান মোহাম্মদ আব্দেল লতিফ।

এদিকে নতুন শিক্ষামন্ত্রীর ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রির বিষয়টি প্রকাশের পর এ নিয়ে তুমুল সমালোচনা তৈরি হয়েছে। অনেকে তার বিরুদ্ধে দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন।

সরকারি ওয়েবসাইট এবং মিসরের অন্যান্য সংবাদমাধ্যমে আব্দেল লতিফের জীবন বৃত্তান্ত (সিভি) প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুটি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। যার মধ্যে কার্ডিফ সিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক লরেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন আব্দেল লতিফ।

এ প্রসঙ্গে মিসরীয় সাংবাদিক এবং ফ্যাক্টচেকার হোসেম এল-হেন্দি খুঁজে বের করেছেন, কার্ডিফ সিটি বিশ্ববিদ্যালয় নামক যে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী আব্দেল লতিফ পিএইচডি করার তথ্য জানিয়েছেন সেটি একটি ‘ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ক্যাম্পাস নেই এবং এটি ভুয়া সনদপত্র প্রদান করে থাকে এবং এটি যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়েরও কোনো অংশ নয়।’


ভূয়া ডিগ্রি   শিক্ষামন্ত্রী   মিশর  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাজ্যের নতুন ফার্স্ট লেডি ইহুদি বংশোদ্ভূত ভিক্টোরিয়া

প্রকাশ: ১১:২৪ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দীর্ঘদিন নিজেকে প্রচারমাধ্যম থেকে দূরে সরিয়ে কাজ করে আসছেন ভিক্টোরিয়া স্টারমার। বলা যায়, জনসম্মুখে একেবারে দেখাই যায় না তাকে। এবারের নির্বাচনী প্রচারণায়ও তিনি ছিলেন প্রায় অদৃশ্য।

কিন্তু এখন যুক্তরাজ্যের মানুষ ধীরে ধীরে পরিচিত হতে চলেছেন ৫০ বছর বয়সী এই নারীর সঙ্গে, যিনি লেবার পার্টির প্রধান এবং ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দীর্ঘ ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিবাহিত জীবন কাটাচ্ছেন।

২০২০ সালে কিয়ার স্টারমার লেবার পার্টির নেতা হওয়ার পর থেকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় পর্যন্ত ভিক্টোরিয়া স্টারমার জনসমক্ষে আসা থেকে বিরত ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি কোনও সাক্ষাৎকার দেননি এবং রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও খুব কম অংশ নিয়েছেন।

তার জনসমক্ষে আসার ঘটনা হাতে গোনা কয়েকটি মাত্র। এর মধ্যে রয়েছে- নির্বাচনের দিনে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া, উইম্বলডন টেনিস টুর্নামেন্টের স্ট্যান্ডে, টেলর সুইফটের লন্ডন কনসার্টে এবং বাকিংহাম প্যালেসে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে অভ্যর্থনায় অংশ নেওয়া।

এর মধ্যে ব্যতিক্রম ছিল ২০২৩ সালে লেবার পার্টির বার্ষিক সম্মেলন। ওই সময় তিনি লেবার পার্টির দলীয় রঙের সঙ্গে মিল রেখে লাল পোশাক পরে স্বামীর সঙ্গে মঞ্চে যোগ দেন।

ডাউনিং স্ট্রিটে প্রবেশ করার পরও সাবেক আইনজীবী ভিক্টোরিয়া স্টারমার এনএইচএস- কর্মজীবন চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।

ভিক্টোরিয়া আলেকজান্ডার উত্তর লন্ডনে বড় হয়েছেন। তার বাবা একজন সাবেক হিসাবরক্ষক এবং পোলিশ-ইহুদি বংশোদ্ভূত এবং মা ছিলেন একজন কমিউনিটি ডাক্তার।

তিনি ওয়েলসের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অধ্যয়ন করেন। সেখানে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের প্রধান ছিলেন। এরপর তিনি টনি ব্লেয়ারের অধীনে লেবার দলের প্রচারণা কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছেন। পরে একটি আইন সংস্থায় সলিসিটার হন। এরপর তিনি এনএইচএস- যোগ দেন।

নতুন প্রধানমন্ত্রী তাদের প্রথম সাক্ষাতের গল্প বহুবার বলেছেন। ২০০০ সালের গোড়ার দিকে একটি মামলা নিয়ে কাজ করার সময় তাদের প্রথম দেখা হয়েছিল। ওই সময় কিয়ার স্টারমার প্রথমবার তাকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তার প্রস্তুত করা সব নথি সঠিক কি না। এরপর তিনি ক্যামডেনে একটি পাব- ডেটে যাওয়ার প্রস্তাব দেন।

২০০৭ সালে এই দম্পতি বিয়ে করেন। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে-১৬ বছর বয়সী একটি ছেলে এবং ১৩ বছর বয়সী একটি কন্যা। গোপনীয়তা রক্ষার জন্য কিয়ার স্টারমার জনসমক্ষে কখনও তাদের নাম উল্লেখ করেন না। তারা উত্তর লন্ডনের ক্যান্টিশ টাউনে বসবাস করেন।


যুক্তরাজ্য   নতুন   ফার্স্ট   লেডি   ইহুদি   বংশোদ্ভূত   ভিক্টোরিয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত প্রবাসীদের নাগরিকত্ব দিচ্ছে সৌদি আরব

প্রকাশ: ১০:৫১ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সৌদি আরবে অবস্থানরত প্রথম সারির বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত প্রবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি ডিক্রি জারি করেছে সৌদি প্রশাসন। ইতোমধ্যে গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেশ কয়েকজনকে নাগরিকত্বের অনুমোদনও দিয়েছে সৌদি সরকার।

মূলত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সৃজনশীল ব্যক্তিদের আকৃষ্ট করতে এবং অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি ও খেলাধুলার উন্নয়নে দেশটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

সৌদি আরবের সংবাদ সংস্থা এসপিএর বরাতে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ বলছে, সম্প্রতি এ সংক্রান্ত

নাগরিকত্ব পেয়েছেন এমন পেশাদার মধ্যে বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, গবেষক, উদ্ভাবক, উদ্যোক্তা ও আরো বেশ কয়েকটি পেশার ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন। তবে, ঠিক কতজনকে এই নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে, তা প্রতিবেদনে বলা হয়নি। 

সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আশারক আল আওসাত বলছে, যাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে তারা আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও সিঙ্গাপুর থেকে এসেছেন। এ তালিকায় রয়েছেন আমেরিকার নাগরিক হেভোলিউশন ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মেহমুদ খান, বিজ্ঞানী জ্যাকি ইউ-রু ইং, লেবাননের বিজ্ঞানী নেভিন কাশাব।

সংবাদমাধ্যম সৌদি গেজেট বলছে, এর আগে ২০২১ সালে প্রথমবার বিদেশিদের এমন নাগরিকত্ব অনুমোদন দেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এর তিন বছর পর আবারও এই অনুমোদন মিলল।

সংবাদ সংস্থা এসপিএ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি ভিশন ২০৩০-এর বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। দেশটি চাইছে তেলনির্ভরতা কমিয়ে আনার পাশপাশজি অন্যান্য সৃজনশীল কাজে বেশি বেশি বিনিয়োগের লক্ষ্য নিয়েই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি সরকার। তবে কোন ধরনের খাত এ লক্ষ্যমাত্রার আওতায় রয়েছে সে বিষয়য়ে অবশ্য ওই প্রতিবেদনে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।


প্রবাসী   সৌদি   নাগরিকত্ব  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আগস্টের মধ্যে মোদি সরকারের পতন: লালু প্রসাদ

প্রকাশ: ১০:৪৭ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচন সরকার গঠনের জন্য এবারে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি ক্ষমতাসীন বিজেপি। ফলে শরিকদের ওপর ভর করেই ভারতের কেন্দ্রে সরকার গঠন করতে হয়েছে দলটিকে। তবে বিজেপির নেতৃত্বে এবারের এই সরকারকেদুর্বলবলে কটাক্ষ করেছেন বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) সভাপতি লালু প্রসাদ যাদব। এমনকি তিনি দাবি করেছেন, এক মাসের মধ্যে পতন হবে কেন্দ্রের মোদি সরকারের।

দেশবাসীকে লোকসভার অন্তর্বর্তী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রধান লালু প্রসাদ যাদব। তিনি বলেন, আগামী আগস্টের মধ্যে পতন হতে পারে নরেন্দ্র মোদি সরকারের। সেই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হতে পারে লোকসভার অন্তর্বর্তী নির্বাচন।

শুক্রবার বিহারের রাজধানী পাটনায় রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এক আয়োজনে দেশবাসীর উদ্দেশে লালু প্রসাদ যাদব এমনই এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মোদি সরকারের অবস্থান নিয়ে। তিনি বলেন, দিল্লিতে মোদি সরকার খুবই দুর্বল। আগস্টের মধ্যে এই সরকারের পতন ঘটতে পারে। তাই লোকসভার অন্তর্বর্তী নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে।

এসময় বিহারের সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে কোনো সময় (লোকসভা) নির্বাচন হতে পারে বলে আমি দলের সকল কর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। দিল্লিতে মোদির সরকার খুবই দুর্বল এবং এটি আগামী আগস্টের মধ্যে পড়ে যেতে পারে।

বিরোধীদের পক্ষ থেকে বারবার বিজেপির নেতৃত্বে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট তথা এনডিএ সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কার কথা বারবার বলা হলেও দলটি এমন আশঙ্কার কথা উড়িয়েছে দিয়েছে। শুক্রবারও তারা লালু প্রসাদ যাদবের দাবি খারিজ করে দিয়েছে। বিষয়ে বিজেপি সরকারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেছেন, ‘লালু প্রসাদ যাদব অলীক স্বপ্ন দেখছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ মোদিকে ভোট দিয়েছে। যিনি এখন রেকর্ড তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর নেতৃত্বে (বিহারের) মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের পরিচালিত বিহারে এনডিএ বিরোধীদের পরাজিত করতেই থাকবে। সময় তিনি দাবি করেন, আরজেডির শাসনামলে বিহারের পরিস্থিতি নিম্নমানের হয়ে গিয়েছিল।

এদিকে কয়েকদিন ধরে চলমান এমন মন্তব্য ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, এবার লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল দেখিয়ে দিয়েছে, দেশজুড়ে ভোটাররা প্রচারকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ভোট দিয়েছেন কাজের পক্ষে। জনগণকে বিভ্রান্ত করার রাজনীতির অবসান ঘটেছে এবারের নির্বাচনের মধ্যদিয়ে।

উল্লেখ্য, ভারতে সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স বা এনডিএ ২৯২টি আসন জয়লাভ করেছে। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ২৩৩টি আসন। তবে আগের দুই মেয়াদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া বিজেপি এবার এককভাবে ২৪০টি আসন পেয়েছে। আর সরকার গঠনে দরকার ২৭২টি আসন এবারে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় জোটের শরিকদের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে মোদিকে।


আগস্ট   বিজেপি   সরকার   পতন   শঙ্কা   যাদব  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান

প্রকাশ: ০৯:৫৮ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন সংস্কারপন্থী প্রার্থী মাসুদ পেজেশিকিয়ান।শনিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটে অতি রক্ষণশীল সাঈদ জালিলির বিপক্ষে জয়লাভ করেন তিনি।

দেশটির নির্বাচন কমিশনের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম। এই জয়ের মধ্যে দিয়ে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পূর্বসূরী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন পেজেশকিয়ান। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।

নিজ মেয়াদের আড়াই বছরের মাথায় গত ২০মে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তার মৃত্যুর পর পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেশটিতে ক্ষমতাসীন কট্টর ইসলামপন্থি সরকার। সেই তারিখ ছিল ২৮ জুন।

ভোটার টার্নআউটের হার নিম্ন হওয়ায় দ্বিতীয় দফা ভোট বা রান-অফে গড়ায় নির্বাচন। সেই দ্বিতীয় দফা ভোটের তারিখ ছিল গতকাল ৫ জুলাই।

এবারের নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন ৬ জন। এরা হলেন মোস্তফা পুরমোহাম্মাদী, সাঈদ জালিলি, মোহাম্মদ বাকের কলিবফ, আলী রেজা যাকানি, সাইয়্যেদ আমির হোসেন কাজীজাদেহ হাশেমি ও মাসুদ পেজেশকিয়ান।

নির্বাচনে লড়াই হয়েছে মূলত সাঈদ জালিলি ও মাসুদ পেজেশকিয়ানের মধ্যে। ইরানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে জালিলি কট্টরপন্থি এবং মাসুদ সংস্কারপন্থি রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত। তবে উভয়েই দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ। ফলাফল ঘোষণার পরপরই রাজধানী তেহরানসহ অন্যান্য শহরে বিজয় উদযাপন করতে নেমেছেন পেজেশকিয়ানের সমর্থকরা।

এদিকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি সূত্র বলছে, মাসুদ পেজেশিকিয়ান ৫৩.৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন এবং সাঈদ জালিলি পেয়েছেন ৪৪.৩ শতাংশ ভোট। 

প্রথম দফার নির্বাচনে ইরানের ৬ কোটি ১০ লাখ ভোটারের মধ্যে মাত্র ৪০ শতাংশ ভোট দিয়েছিলেন। ১৯৭৯ সাল থেকে ইরানে যত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে কম ভোটার উপস্থিতির ঘটনা।

ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় ৪৯ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি ছিল।

মাসুদ পেজেশকিয়ানের বয়স ৬৯ বছর। তিনি হৃদ্‌রোগবিষয়ক সার্জন। ইরানের পার্লামেন্টে ২০০৮ সাল থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তাবরিজ শহরের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। ইরানের প্রধান সংস্কারপন্থী জোট তাঁকে সমর্থন দিয়েছে। সাবেক দুই সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামি ও হাসান রুহানিরও সমর্থন পেয়েছেন তিনি।

১৯৫৪ সালে জন্মগ্রহণকারী নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তার ঝুলিতে রয়েছে ইরানের দশম জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা।


ইরান   নতুন   প্রেসিডেন্ট   সংস্কারপন্থী   মাসুদ   পেজেশকিয়ান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন