ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির পূর্বাভাস: পানি উন্নয়ন বোর্ড

প্রকাশ: ০৮:২২ এএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। সংস্থাটি বলছে, অতিবৃষ্টি উজানের ঢলে দেশের বন্যাপ্রবণ প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। ইতোমধ্যে পাঁচ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে উঠে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। মঙ্গলবার ( জুলাই) বিডব্লিউডিবির কেন্দ্রীয় নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান স্বাক্ষরিত এক সতর্কবার্তায় তথ্য জানানো হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সতর্কীকরণ বিভাগ জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতলও বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ছাড়া গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়ে কতিপয় পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মুহরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু মাতামুহুরী নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হতে পারে।

সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল সামগ্রিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ নেত্রকোনা জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এবং মৌলভীবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল তৎসংলগ্ন উজানে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেয়ে কতিপয় পয়েন্টে স্বল্পমেয়াদে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।


বন্যা   পরিস্থিতি   অবনতি   পূর্বাভাস   পানি   উন্নয়ন   বোর্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোটা সংস্কারের দাবিতে বেরোবি শিক্ষার্থীদের রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশ: ০৩:১৫ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল ও কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আজ সোমবার (৮ জুলাই) রংপুর নগরের মডার্ন মোড়ে তাঁরা দুপুর ১২টা থেকে দেড় ঘণ্টা এই কর্মসূচি পালন করেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘চাকরিতে কোটা, মানি না, মানব না’, ‘কোটাপ্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

এদিন দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা ৩০ পর্যন্ত এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা কোটাপদ্ধতি সংস্কার করা না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দেন।

এদিকে অবরোধের ফলে মহাসড়কে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে সড়কে দেখা যায় তীব্র যানজট।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে কারমাইকেল কলেজ, রংপুর সরকারি কলজেসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে নগরের মডার্ন মোড়ে এসে রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে মোট ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা,১০ শতাংশ জেলা কোটা এবং ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী কোটা ও ১ শতাংশ পদ প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের দিয়ে পূরণের নিয়ম চালু হয়।

তবে সেই বছর কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে সরকার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরিতে পুরো কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে। এবং এনিয়ে একই বছর ৪ অক্টোবর কোটা বাতিল বিষয়ক একটি পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

২০২১ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। গত ৫ জুন এই রিটের রায়ে পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। যার প্রেক্ষিতে ১ জুলাই থেকে টানা আন্দোলন করছে শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশিরা।


কোটা আন্দোলন   বেরোবি   মহাসড়ক অবরোধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোটা সংস্কার আন্দোলনে উত্তাল রুয়েট ও রাবি

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

চলমান কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে সারাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো এবার বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের সাথে রুয়েট শিক্ষার্থীরাও তাদের যোগদানের কথা জানান।

সোমবার (৮ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে বিভিন্ন প্লেকার্ড হাতে নিয়ে জড়ো হতে দেখা যায় তাদের। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের তালাইমারি এলাকা হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফলকে অবস্থান নেন তারা।

এসময় 'দফা এক দাবি এক, কোটা নট কাম-ব্যাক', 'জেগেছে রে জেগেছে রূয়েটবাসী জেগেছে', 'সংবিধান পরিপন্থী কোটা ব্যবস্থা নিপাত যাক', 'স্বাধীন বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাই' , 'হয় যদি কোটার চাষ পড়বো কেন বারো মাস', 'আঠারোর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার' , 'সারা বাংলায় খরব দে কোটা প্রথার কবর দে' এমনসব স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।

আন্দোলনে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ ইমন গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা মূলত কোটা সংস্কারের দাবিতে এখানে এসেছি। বিভিন্ন রকম কোটার কারণে আমাদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে কোটার প্রভাব অনেক বেশি।

তিনি বলেন, আমরা কোটা বাতিল চায় না কিন্তু চাই এটা সংস্কার করা হোক। ১০% মুক্তিযোদ্ধা আর বাকি ১০% অন্যান্য কোটা থাকলে ভালো হয়। যাদের আসলেই প্রয়োজন শুধুমাত্র তাদেরকেই কোটার আওতায় আনা উচিত। প্রতিবন্ধী বা উপজাতিদের কোটা দেওয়া যায়।

এর আগে একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রেললাইন অবরোধের দিনের কর্মসূচী করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরাও। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ফ্লাইওভারসহ বিভিন্ন পয়েন্টে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে এ কর্মসূচি করে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্য মানি না। দাবি মানা না হলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।

কোটা পদ্ধতি সংস্কার আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয় পরিষদের সদস্য মেহেদী সজীব বলেন, আজকে আমরা রেললাইন অপরাধ করেছি। আমাদের লাগাতারে কর্মসূচি চলবে। যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি আদায় না হবে।

সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিক ভোগের সুযোগ এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে৷ আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারও শিক্ষার্থী অংশ নেন। 


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়   রুয়েট   আন্দোলন   ছাত্র আন্দোলন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস

প্রকাশ: ০২:৫৮ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) লিগ্যাগ এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছেন লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস। চলতি সপ্তাহে মুনীম তার দায়িত্ব নিতে পারেন।

রোববার ( জুলাই) ্যাবের এক প্রজ্ঞাপনে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌসকে লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বর্তমান মুখপাত্র কমান্ডার আরাফত হোসেনকে বদলি করে ্যাব- এর অধিনায়ক করা হয়েছে। তার জায়গায় দায়িত্বে আসছেন মুনীম ফেরদৌস। এই সেনা কর্মকর্তা গত বছরের ডিসেম্বরে ব্যাটালিয়নটির দায়িত্ব পান।

লে. কর্নেল মো. মুনীম ফেরদৌস বর্তমানে র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক হিসেবে রাজশাহীতে কর্মরত। তিনি র‌্যাবের ১৩তম মুখপাত্র হবেন।


এদিকে আড়াই মাসেরও কম সময় ্যাব মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বরিশাল ্যাব- এর অধিনায়ক হয়েছেন। তিনি চলতি সপ্তাহে দায়িত্ব বুঝে নেবেন বলে জানা গেছে।

 


র‌্যাব   মুখপাত্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে কমতে শুরু করেছে যমুনার পানি

প্রকাশ: ০২:৪৮ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি ধীরগতিতে কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল ৬টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৬টা পযন্ত') যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট সমতল এলাকায় ১ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে'। পানি কমলেও দুর্ভোগ বেড়েছে বন্যার্তদের। প্লাবিত এলাকাগুলোতে বাড়ছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।

 

পানির কারণে নিম্নাঞ্চলের অনেক বসতঘর বাড়ি, ফসলিজমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার ৮৩ হাজার মানুষ। ঘরবাড়ি, রাস্তা ঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তাঁত কারখানা পানিতে তলিয়ে গেছে। দুর্ভোগে পড়েছেন পানিবন্দি মানুষ। ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। একই সঙ্গে চর ও নিম্নাঞ্চলের ৬ হাজার ৪৯৭ হেক্টর ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন।  

 

অপরদিকে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার ভুতের মোড়, শাহজাদপুর উপজেলার হাট-পাঁচিল, জালালপুর ও কৈজুরীতে ভাঙন অব্যাহত রযেছে। ইতিমধ্যে নদীতে বিলীন হয়েছে কয়েকশত বসতবাড়িঘর, বিল্ডিং, ফসলি জমি ও বিভিন্ন স্থাপনা।

 

ভাঙনের মুখে রয়েছে অনেক বাড়িঘর। ভাঙনকবলিত বাসিন্দারা বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন'। অনেকেই খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অন্যদিকে কাজীপুর উপজেলার খাসরাজবাড়ী, তেকানি, নিশ্চিন্তপুর ও চরগিরিশের বিভিন্ন দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। ভাঙনের মুখে পড়েছে ছালাল চরে নির্মিত মুজিব কেল্লা। যেকোন সময় তা যমুনা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যেতে পারে। এছাড়া ভাঙনের কবলে পড়েছে ভেটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। খাসরাজবাড়ী গুইজাবাড়ি বাধ, তেকানি বাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে। যদিও এসব বাঁধের কাজ এখনও চলমান রয়েছে।

জেলার ৫টি উপজেলার ১৮ হাজার পরিবারের মোট ৮৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তাদের মাঝে ৯৫ মেট্রিকটন চাল, ৫ লাখ টাকা ও ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।'

 

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জিত কুমার বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ১সে.মি কমে বিপদসীমার ৬০ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমতে শুরু করেছে। আগামী তিন-চারদিন পর্যন্ত যমুনার পানি কমবে এরপর ফের বাড়তে পারে। আপাতত এভাবেই চলতে থাকলেও ভারী বন্যার সম্ভাবনা নেই। এছাড়াও ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় ভাঙন রোধে কাজ করা হচ্ছে।'

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবুল কুমার সূত্রধ  বলেন, বন্যার পানিতে জেলার ৬ হাজার ৪৯৭ হেক্টর জমির পাট, তিল, কলা ও মরিচসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে। তবে এখনই ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যাবেনা, এর জন্য সময় লাগবে। কারণ, যেমন পাট জাতীয় ফসল বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়না। কিন্তু অনেক ফসলই আবার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।  

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান  বলেন, এই জেলার ৫টি উপজেলার ১৮ হাজার পরিবারের মোট ৮৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। আমরা ইতোমধ্যেই তাদের মাঝে ৯৫ মেট্রিকটন চাল, ৫ লাখ টাকা ও ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করেছি। আমাদের আরও যথেষ্ট মজুদ আছে, সময়মতো সেগুলো বিতরণ করা হবে। দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা যথেষ্ট প্রস্তুত আছি।'


বন্যা পরিস্থিতি   যমুনার পানি   উন্নতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

খরচের ধাক্কা সামলাতে সঞ্চয়পত্র ভাঙার চাপ

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দেশে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধিসহ জীবনযাত্রার ব্যয় ক্রমেই বেড়ে চলেছে। অথচ মানুষের আয় সেই আগের অবস্থাতেই আছে। তাই বাড়তি ব্যয়ের চাপ সামলাতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে এখন হয় ঋণ করতে হচ্ছে, নতুবা আগের জমানো সঞ্চয়ে হাত দিতে হচ্ছে। তবে এই প্রবণতা অল্প কয়েকজনের মধ্যেই এখন আর সীমাবদ্ধ থাকছে না। উপায়ান্তর না দেখে মানুষ এখন সঞ্চয়পত্র ভাঙাতে বাধ্য হচ্ছে। এতে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রির পরিমাণও কমে গেছে। 

সম্প্রতি সঞ্চয়পত্রে সুদহার অপরিবর্তিত রাখার বিপরীতে ব্যাংকের আমানত ও বিল বন্ডের বিনিয়োগে সুদহার বেড়ে যাওয়া, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে কড়াকড়ি আরোপসহ নানা কারণে মানুষ এখন নতুন করে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। উল্টো অব্যাহতভাবে সঞ্চয়পত্র ভাঙার প্রবণতা বাড়ায় গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) নিট বিক্রির পরিমাণ ঋণাত্মক হয়ে গেছে। অর্থাৎ এই সময়ে নতুন সঞ্চয়পত্র বিক্রির চেয়ে আগে কেনা সঞ্চয়পত্রের মূল পরিশোধ বেশি হয়েছে।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মে মাসে নিট বিক্রি ঋণাত্মক হয়েছে ৩ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা। আর গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে নিট বিক্রি ঋণাত্মকের পরিমাণ ১৭ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়েও নিট বিক্রি ঋণাত্মক ধারায় ছিল। তবে ওই সময় এর পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ২৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় গত অর্থবছরের একই সময়ে সঞ্চয়পত্রে নিট বিক্রি কমেছে ৩৮৬ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের নিট ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে নিট ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৮ হাজার কোটি টাকা। এর আগে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যদিও অর্থবছর শেষে নিট বিক্রি হয়েছিল ঋণাত্মক প্রায় ৩ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ পুরো অর্থবছরে এ খাত থেকে সরকার এক টাকারও ঋণ নেয়নি। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা আরও কমানো হয়েছে।

আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্র থেকে ভাঙানো বাবদ (নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে বা মেয়াদান্তের আগে) আসল পরিশোধের পর যা অবশিষ্ট থাকে, তাকে নিট বিক্রি বলা হয়। নিট বিক্রিকে সরকারের ধার বা ঋণ হিসেবে গণ্য করা হয় ।

এই প্রসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা এ বি এম মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘কড়াকড়ি আরোপ করার কারণেই মূলত সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে ভাটা পড়েছে। এ ছাড়া উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষ খুব বেশি মুনাফা পাচ্ছে না। এটাও সঞ্চয়পত্র কমার বড় একটা কারণ। ঋণের বোঝা কমাতে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়া কমিয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে টিআইএন এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাধ্যতামূলক করায় অনেকেই সঞ্চয়পত্রে আগের মতো বিনিয়োগ করতে পারছেন না। তার মতে, আগে কালো টাকাও সঞ্চয়পত্র খাতে বিনিয়োগ হতো। এখন সেটা হচ্ছে না। ফলে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে মন্দা দেখা দিয়েছে।

একই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, এখন মানুষ আর সঞ্চয়পত্র কিনছে না। এর তিনটি কারণ রয়েছে—প্রথমত, ৫ লাখ টাকার ওপরে সঞ্চয়পত্র কিনতে গেলে আয়কর রিটার্ন দিতে হচ্ছে; কিন্তু নানারকম ঝামেলার কারণে অনেকেই আয়কর রিটার্ন দিতে চান না। ফলে তারা এখান থেকে ধীরে ধীরে সরে আসছে। দ্বিতীয়ত, যাদের সঞ্চয়পত্র এক কোটি টাকার বেশি ছিল, সীমা নির্ধারণের কারণে এসব সঞ্চয়পত্রে মেয়াদ শেষে তারা আর নতুন করে কিনতে পারছেন না। তৃতীয়ত, মানুষের হাতে এখন টাকা কম আছে। বর্তমান মূল্যস্ফীতির চাপে মানুষ আর আগের মতো সঞ্চয় করতে পারছে না। এসব কারণে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার কম ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনেক বেশি ঋণ নিচ্ছে, যা আরও বেশি ক্ষতিকর। কেননা, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে তা সরাসরি মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব ফেলে।


সঞ্চয়পত্র   মূল্যস্ফীতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন