দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে ১০০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার (৯ জানুয়ারি) গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের সুস্থতা এবং একজন মানুষও যেন টিকাপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত না হয় সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ৩১ কোটি ডোজ টিকার ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে রাজধানীসহ সারাদেশে ১৩ কোটিরও বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ছাড়াও বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে।
সারা বিশ্বের মতো দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। সংক্রমণ রোধে নিয়মিত টিকাদানের পাশাপাশি বর্তমানে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকতে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও জনসমাগম এড়িয়ে বলার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে চলতে জনগণকে অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে শিশুদের ঝুঁকি বেশি। তাই ১২ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে আরও কম বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশে কেন এত ক্যান্সার হচ্ছে? এজন্য চিকিৎসার পাশাপাশি গবেষণাও করতে হবে। কেন মানুষ এ ধরণের অসুখে ভুগছে, সেগুলো আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন জনশক্তি গড়ে উঠুক। আর এই অতিমারীকে আমাদের যেভাবেই হোক মোকাবেলা করতে হবে। এ জন্য মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিতে চাই আধুনিক, জ্ঞানসম্পন্ন একটি বাংলাদেশ হিসেবে। যে বাংলাদেশের স্বপ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখেছিলেন।