ইনসাইড আর্টিকেল

ঈদুল আজহার ছুটিতে ঘুরে আসুন ঝরঝরি ঝর্ণা


প্রকাশ: 11/07/2022


Thumbnail

দেশব্যাপি উদযাপিত হয়ে গেছে পবিত্র ঈদুল আজহা। প্রায় দুই বছর পর ফের ঈদুল আজহার আনন্দ দেখা গিয়েছে মানুষের মাঝে। যদিও করোনার ৪র্থ ঢেউয়ের একটা আতঙ্ক রয়েছেই। তবে সকলেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে আনন্দের সাথে উদযাপন করেছে ঈদকে। ঈদুল আজহা ফিরে পেয়েছে পুরনো রুপ, পুরনো চেহারা। সেই আনন্দটাকে দ্বিগুণ করে তুলতে ঢাকার বাইরে একদিনে পাহাড়ের গহিনে হাড়িয়ে যেতে পারেন। 

কি ভাবছেন, এটা আবার কোথায়! তাহলে চলুন আপনাদেরকে পাহাড়ের গহিনে নিয়ে যাই। পাহাড়, সাগর ও প্রাকৃতিক ঝর্ণায় ভরপুর এই এলাকা। বলা যায় পাহাড়, সাগর ও ঝর্ণার একটা ফুল প্যাকেজ যেনো সীতাকুন্ড। আর এই সীতাকুন্ডের অন্যান্য সব নজর কারা ঝর্ণাগুলোর মধ্যে একটি হলো ঝরঝরি ঝর্ণা। এটি অবস্থিত সীতাকুন্ডের 

একদিকে ঈদুল আজহার ছুটি, অপরদিকে চলছে বর্ষাকাল। আর এই বর্ষাকালেই ঝর্ণা তাঁর পূর্ণ যৌবন ফিরে পায়। তাই ঝর্না দেখার জন্য বা সঠিকভাবে উপভোগ করার জন্য বর্ষাকালটাই উত্তম। তাই আপনি বা আপনারা চাইলে একদিনে ঘুরে দেখে আসতে পারেন ঝরঝরি থেকে। যার আরেক নাম মূর্তি ঝর্ণা।

এই ট্রেইলে ছোট বড় মোট ৬টি ঝর্ণা রয়েছে।ঝরঝরি ঝর্ণার সবচেয়ে দেখার মত জিনিস ঝর্ণার পাশাপাশি বিচিত্র সব ক্যাসকেড এবং নিঝুম প্রকৃতি। আর সীতাকুণ্ডের অন্যান্য ট্রেইলের মত পরিচিত না হবার কারনে মানুষ জনের আনাগোনা খুব একটা নেই তাই নিরিবিলি খুব সুন্দর সময় কাটানোর জন্য আকর্ষণীয় একটি যায়গা হচ্ছে ঝরঝরি ট্রেইল।



এই ট্রেইলের প্রত্যেকটা ধাপে রয়েছে অপরূপ সৌন্দর্যের হাতছানি, ঝরঝরি ঝর্ণার পাশ দিয়ে পাহাড় বেয়ে উপড়ে উঠে গেলে ধাপে ধাপে খাজকাটা বেশ কয়েকটি ক্যাসকেড ও ঝর্ণা আপনাকে আরো মুগ্ধ করবে। ঝরঝরি ট্রেইলে বলতে সবাই ক্যাসকেড পর্যন্ত জায়গাটাকে বোঝে, কিন্তু এর আসল মজাটা হচ্ছে মূর্তি ঝর্ণা শেষ ক্যাসকেড থেকে ১ ঘন্টার মত ট্রেকিং করলে মানুষের মুখের আকৃতির একটি পাথর দেখতে পাবেন, স্থানীয়রা একে মূর্তি ঝর্ণা বলে।

অবস্থান: ঝরঝরি ঝর্ণা সীতাকুন্ড উপজেলায় অবস্থিত একটি জলপ্রপাত। এই ঝর্ণাটি চন্দ্রনাথ পাহাড়ের কাছাকাছি। সীতাকুন্ড বাজারের ঠিক পরেই পান্থছিলা এলাকায় ঝর্ণাটি অবস্থিত। পান্থছিলা বাজার হতে ঝর্ণা অব্দি হেঁটে যেতে প্রায় ২ ঘণ্টা সময় লাগে।

যেভাবে যাবেন:

ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী যে কোন বাসে পন্থিছিলা বাজারে আসতে পারবেন ভাড়া নিবে ৪৮০ টাকা। কম ভাড়ায় যেতে চাইলে ঢাকা থেকে ফেনির বাসে উঠতে পারেন, ঢাকা থেকে ফেনি পর্যন্ত বাস ভাড়া ২৭০ টাকা। আর ফেনি থেকে চট্টগ্রাম গামী লোকাল বাসে পন্থিছিলা বাজারে যেতে বাস ভাড়া নিবে ৫০-৬০ টাকা।

ট্রেনে যেতে চাইলে সরাসরি ঢাকা থেকে মেইল ট্রেনে সীতাকুণ্ডে যেতে পারেন, ভাড়া নিবে ১২০ ঢাকা তার পর সীতাকুণ্ড বাস স্ট্যান্ড হতে লেগুনা/ সিএনজি যোগে পন্থিছিলা বাজারে জেতে পারবেন মাত্র ৩০-৫০ টাকা ভাড়ায়। যেহেতু মেইল ট্রেনে সিট পাওয়া যায় না তাই আরামের কথা চিন্তা করলে রাতের তূরনা নিশিতা ট্রেনে করে ফেনি নামতে পারেন। ঢাকা টু ফেনি ভাড়া নিবে ২৬৫-৬০৪ টাকা। ফেনি রেলওয়ে স্টেসন থেকে ৫০ টাকা রিক্সা ভাড়া দিয়ে যাবেন মহিপাল বাস স্ট্যান্ডে, আর মহিপাল থেকে পন্থিছিলা বাজারে যেতে বাস ভাড়া ৫০-৬০ টাকা নিবে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭