ইনসাইড টক

‘সরকারের গ্রামভিত্তিক উন্নয়নে জনশুমারি সহায়ক হিসেবে কাজ করবে’


প্রকাশ: 13/07/2022


Thumbnail

জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ দিলদার হোসেন বলেছেন, ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’ বেশ কিছু কারণেই দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ বছরই প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি করা হয়েছে। এটি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের’ আরেকটি মাইলফলক। এছাড়া সরকারের গ্রামভিত্তিক উন্নয়নের সঠিক বাস্তবায়ন করতে ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা’ সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। এবারের জনশুমারির প্রতিটি বিষয় অতন্ত সুপরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। শুমারির ব্যাপারে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে প্রচারণা থেকে শুরু করে প্রতিটি বিষয় পরিকল্পিতভাবে হয়েছে এবং আগের শুমারিগুলো থেকে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ছিল। প্রশাসনের একেবারে সর্বোচ্চ পর্যায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে প্রান্তিক মানুষ এই কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। আমরা তাদের সবাইকে সম্পৃক্ত করতে পেরেছি।

‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’ এর সার্বিক বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন মোঃ দিলদার হোসেন। পাঠকদের জন্য দিলদার হোসেন এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।

মোঃ দিলদার হোসেন বলেন, আমরা জনশুমারি অত্যন্ত সুন্দর এবং সাফল্যের সাথে করতে পেরেছি। কারণ প্রতিটি পদক্ষেপ পরিকল্পিতভাবে গ্রহণ করা হয়েছিল এবং সঠিকভাবে তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ করেছি। কেউ যেন শুমারির গণনা থেকে বাদ না যায় সেজন্য আমরা একদিন সময় বাড়িয়েছিলাম। সেদিন ২৪ ঘণ্টা আমাদের অনলাইন চালু রাখা হয়েছিল যাতে করে যারা কোন কারণে বাদ পড়েছেন তারা যেন শুমারির অর্ন্তভূক্ত হতে পারে। তবে আমরা যাচাই বাচাই করে দেখেছি যে, আসলে কেউ বাদ যাননি। যারা এই সময়ে যোগাযোগ করেছেন তারা আসলে বাদ যাননি। তাদের পরিবারেরই কোন দায়িত্বশীল ব্যক্তি যিনি সবার ব্যাপারে মোটামুটি জানেন তিনি তথ্য দিয়েছেন কিন্তু পরে সেটা কারো সাথে হয়তো শেয়ার করেননি। এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এখন আমরা জনশুমারির প্রতিবেদন তৈরির কাজ করছি। আমরা আশা করছি যথা সময়ে এ মাসে শুমারির ফলাফল প্রকাশ করতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, সারাদেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে উপজেলা, জেলা, সিটি করপোরেশন, করপোরেশনের ওয়ার্ড, বিভাগ প্রতিটি জায়গায় আলাদা আলাদা শুমারি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এই কাজে আমাদের প্রতিটি কমিটি সুপার অ্যাকটিভ ছিল বলে আমি মনে করি। দেশের জনগণেরাও সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। মানুষ এখন অনেক সচেতন হয়েছে। জনগণ এখন বুঝতে পেরেছে যে, সরকারকে তথ্য দেওয়া দরকার আর ভুল তথ্য দিলে পরে জনগণকেই ভোগান্তি পোহাতে হবে। যার জন্য জনগণ নিজে থেকে অনেক বেশি এই কাজে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছে বলে আমরা সেটা মাঠে পর্যালোচনা করেছি। আর একারণে আমরা শুমারিকে শতভাগ সফল দাবি করছি। অন্যদিকে শুমারি চলাকালীন যেহেতু সিলেট বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে সেজন্য আমরা সিলেটে সময় বাড়িয়েছিলাম। বন্যার পানি কমে যাওয়া পর আমরা শুমারি করেছি। সেখানে ২৮ জুন পর্যন্ত আমাদের শুমারি হয়েছে। 

জনশুমারি করতে গিয়ে প্রতিবন্ধকতার কথা বলতে গিয়ে মোঃ দিলদার হোসেন বলেন, জনশুমারি শুরু করার আগে আমরা এর চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করেছি। কি ধরনের চ্যালেঞ্জ আসতে পারে, সেগুলো নিয়ে আমরা বিশদভাবে আলোচনা করেছি। বিশেষ করে ঢাকা শহরে অভিজাত এলাকাগুলো যেমন গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি। সেক্ষেত্রে আমরা ওই সব এলাকার সোসাইটির সঙ্গে কথা বলেছি। তাদেরকে কাজে লাগিয়েছি। তাদের সাথে আমরা একাধিকবার বৈঠক করেছি। তারা প্রতিটি বিল্ডিংয়ের প্রতিটি পরিবারকে আমাদের তথ্য দিতে বলেছেন। পরবর্তীতে দেখা গেছে পরে তারা নিজেরাই অনেক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। আমরা এভাবে আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করেছি এবং এটিই ছিল আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ। 

এছাড়া বিশেষ সংরক্ষিত এলাকা যেমন ক্যান্টনমেন্ট, পুলিশ ব্যারাক ইত্যাদি। এসব জায়গাতেও চ্যালেঞ্জ ছিল। সেটার জন্য আমরা মন্ত্রীপরিষদ সচিবসহ সেনাবাহিনীর কৃর্তপক্ষের সাথে বৈঠক করেছি। তারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭