পবিত্র ইদুল আজহা উপলক্ষে বাড়িতে যাওয়া ঘরমুখো মানুষগুলো প্রিয়জনদের সাথে ঈদ উদযাপন করে আবার কাজের তাগিদে ফিরতে শুরু করেছে রাজধানীর ঢাকাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে। যাতায়াতের ক্ষেত্রে কেউ আসছে লঞ্চে, কেউ আসছে বাসে, আবার কেউ আসছে ট্রেনে। এর মধ্যে পড়েছে অতিরিক্ত গরম। ফলে এই লম্বা জার্নি করে বাসায় এসে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে যাচ্ছেন বা ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন। তাই সুস্থ থাকতে কিছু প্রাথমিক এবং ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত।
তাহলে চলুন যেনে নেওয়া যাক দূরে কোথাও থেকে জার্নি করে এসে আমাদের করণীয়-
ফ্রেশ হওয়া: লম্বা জার্নি করে আসার পরে গায়ে ধুলোবালি বা ময়লা লেগে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আর এ থেকে শুরু হতে পারে বিভিন্ন ডাস্ট সমস্যা। সম্প্রতি সময়ে এই ধুলাবালির জন্য বেশিরভাগ মানুষ যে সমস্যায় ভুগেন তার মধ্যে ডাস্ট এলার্জি অন্যতম। তাই বাসায় প্রবেশ করার সাথে সাথেই সর্বোপ্রথম ফ্রেশ হওয়া জরুরী। সম্ভব হলে একটা গোসল দিয়ে নিন। এতে শরীররের জীবানু থেকে মুক্তি পাবেন পাশাপাশি অনেক হালকা লাগবে নিজেকে এবং ক্লান্তিকর ভাবটাও বিদায় নেবে।
বিশ্রাম নেওয়া: যেহেতু জার্নিটা লম্বা সময়ের তাই বাসায় এসেই সাথে সাথে কাজে লেগে যাবেন না। লম্বা জার্নি করার পরে এমনিতেই আপনি ক্লান্ত থাকবেন। এর মধ্যে বাসায় এসেই যদি কাজ করার শুরু করেন তাহলে আরও বেশু ক্লান্ত হয়ে যাবেন এবং আরও বেশি অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তাই বাসায় এসে নিম্নে এক বেলা বিশ্রাম নেওয়া। আর যদি সম্ভব হয় তাহলে কর্ম স্থলে যাওয়ার একদিন আগে বাসায় ফিরে আসুন। ফলে একটা দিন-রাত সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিয়ে কর্মস্থলে যেতে পারবেন। এতে করে আপনার শরীরের উপর চাপ কম পড়বে এবং সতেজ মন ও শরীর নিয়ে কাজে যোগ দিতে পারবেন। এতে মনও ফ্রেশ থাকবে আবার কাজেও বিঘ্ন ঘটবে না।
স্যালাইন ও পানি পান করুন: যেহেতু গরমের দিন এবং ইদানিং রোদের তাপমাত্রাও খুব তীব্র। তাই এই সময় লম্বা জার্নিতে শরীর থেকে অনেক ঘাম ঝড়ে। ফলে বেশিরভাগ মানুষেরই ডিহাইড্রেশনের সমস্যায় ভুগেন। তাই চেষ্টা করবেন পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করতে এবং পাশাপাশি খাবার স্যালাইন খেতে। তাওহলে এই সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। আর হ্যাঁ যারা এই ডিহাইড্রেশনে ভুগেন তারা চেষ্টা করবেন সবসময় সাথে পানি বা খাবার স্যালাইন রাখতে।
পরিমাণ মত মাংস খাওয়া: ঈদুল আজহা মানেই মাংসের নানা রেসিপি। বিশেষ করে গরুর মাংস। তবে বেশি পরিমান গরুর মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়াও বেশি গরুর মাংস খেলে সেটা মানব দেহের পরিপাকতন্ত্র সেটা সহজে হজম করতে পারে না। তাই দেখা দেয় না জটিল সমস্যা যেটা আমরা বুঝতেও পারি না। তাই বলে কি মাংস খাবেন না! অবশ্যই খাবেন তবে সেটা পরিমাণ মত। যেহেতু ঈদুল আজহার ছুটি তাই ঈদের ছুটির কয়েকদিন প্রচুর মাংস খাওয়া হয়েছে এটাই স্বাভাবি। তবে বাড়ি থেকে যখন আপনি কর্মস্থলে আসবেন তখন মাংস জাতীয় খাবার গুলো একটু এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। সাথে খেতে পারেন ফলফ্রুট। যা হজম ক্রিয়া সহজ করবে।
ছাতা: ছুটি কাটিয়ে এসেই যখন অফিসে যাবেন বা অন্য কোথাও যাবেন, চেষ্টা করবেন সবসময় ছাতা সাথে রাখার।
তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, বাইরে থেকে এসেই ঠান্ডা পানি পান করবেন না। এতে বিপদ আরও বাড়বে। জ্বর, ঠান্ডা ও গলা ব্যাথার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। আপনি অসুস্থ হয়ে যাবেন। তাই এই সময়টাতে পরিমাণ মত মাংস খাওয়া এবং ঠান্ডা পানি টোটালি এড়িয়ে চলা। মনে রাখবেন, সুস্থতাই সুখের মূল।