দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ইদানিং সময়ে উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। ফলে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে। অতিরিক্ত গরমে মানুষ ঘামছে বেশি, দেখা দিচ্ছে পানিশূন্যতা। পানি বিশুদ্ধ না দূষিত সেটা যাচাই না করেই অনেকে খাবার থেকে শুরু করে পান করা সব কিছুই চালাচ্ছেন। ফলে নানা ধরনের পানিবাহিত রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। যার মধ্যে ডায়রিয়া অন্যতম।
তাপমাত্রা বাড়ায় বাড়ছে গরম। আর এই প্রচন্ড গরমে বাড়ছে পানির ব্যবহার। এছাড়াও এই গরমে দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে খাবার। যার ফলে খাবার-দাবারও দূষিত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। এসব কারণেই মানুষ এই গরমে ডায়রিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। আসুন জেনে নেই ডায়রিয়া থেকে বাঁচতে করণীয় কি!
ডায়রিয়া হলে কি করবেন-
>> আধা লিটার পানিতে এক প্যাকেট স্যালাইন গুলিয়ে খাবেন।
>> শিশুদের ডায়রিয়া হলে প্রতিবার পায়খানার পর শিশুর যত কেজি ওজন তত চা চামচ বা যতটুকু পায়খানা হয়েছে আনুমানিত ততটুকু স্যালাইন খাওয়াবেন।
>> শিশুর বমি হলে ধীরে ধীরে খাওয়ান, যেমন প্রতি তিন-চার মিনিট পর পর এক চা চামচ করে স্যালাইন খাইয়ে দিন।
>> খাবার স্যালাইন খাওয়ানোর পাশাপাশি দুই বছরের নিচের শিশুকে অবশ্যই মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে, কোনোভাবেই বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করা যাবে না।
>> ছয় মাসের বেশি বয়সী রোগী খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি সব ধরনের খাবার খেতে পারবে।
>> রোগীকে খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়াবেন। যার মধ্যে রয়েছে ডাবের পানি, চিড়ার পানি, স্যুপ ইত্যাদি খাওয়াবেন।
>> রোগীকে কোমল পানীয়, ফলের রস, আঙুর, বেদানা এসব জাতীয় ফলাদি থেকে বিরত রাখবেন।
>> ছয় মাস থেকে পাঁচ বছরের শিশুকে প্রতিদিন একটি করে জিংক ট্যাবলেট পানিতে গুলিয়ে দশ দিন খাওয়াবেন।
>> বড়দের ডায়রিয়ার ক্ষেত্রে (দশ বছরের বেশি) প্রতিবার পায়খানার পর এক গ্লাস (২৫০গ্রাম) পানিতে গুলিয়ে খাবেন এক প্যাকেড় স্যালাইন গুলিয়ে খান।
>> এরপরও যদি রোগীর অবস্থা উন্নতি না হয় তাহলে দ্রুত কাছাকাছি কোনো স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সাথে যান বা চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।