ইনসাইড টক

‘মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কথা বলে প্রধানমন্ত্রী সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন’


প্রকাশ: 20/07/2022


Thumbnail

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্য সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলার শঙ্কা নেই। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সম্পর্কে এমন কিছু বলেননি যা সত্য নয়। তিনি যা বলেছেন যা বিশ্ববাসীর কথা। এই ধরনের কথা অন্যরাও বলেছেন। ইন্দোনেশিয়া যে সামিট হলো সেখানেও একথা বলা হয়েছে। রাশিয়া সাথে তাদের স্যাংশনের কারণে অন্যরা কেন ভোগান্তি পোহাবে। এছাড়া বড় কথা হলো স্যাংশন দিয়ে তো কোনো লাভ হচ্ছে না। বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশনের কারণে রাশিয়াই লাভবান হচ্ছে। রুবল তো আরও পাওয়ারফুল হয়ে গেছে। কোনোভাবেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়াকে কাবু করতে পারেনি। তাহলে স্যাংশন দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কি লাভ হলো। কিন্তু পৃথিবীর অন্যরা ভোগান্তি পোহাচ্ছে। এটা তো হতে পারে না। শুধু তাই নয় আমেরিকা জনগণও একই ভোগান্তি পোহাচ্ছে। সেজন্য কাউকে না কাউকে তো এব্যাপারে কথা বলতে হতো। এই জায়গায় থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নিয়ে কথা বলেছেন। আমেরিকানরাও এখন এই নিয়ে কথা বলছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্রকে করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।

অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা বলেছেন সেটা সঠিক বলেছেন। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কথা বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। এখানে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। বরং সম্পর্ক আরও ভালো হওয়ার কথা। কারণ আমেরিকা বুঝতে পারবে যে, বাংলাদেশ আর আগের মতো নয়। কেউ কোনো কিছু চাপিয়ে দিলে অন্ধকারে চুপ করে বসে থাকার মতো বাংলাদেশ এখন আর নেই। আমি মনে করি শুধু আমেরিকানরা নয় পৃথিবীর সকল মানুষই এতে খুশি হয়েছেন, খুশি হওয়ার কথা। যেখানে স্যাংশন দিয়ে কাজ হচ্ছে না তাহলে কেন এই স্যাংশন আর কেন অন্যরা কষ্ট পাবে।

এদিকে শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় তিনি ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, এর মধ্য দিয়ে হয়তো সাময়িক একটা চেষ্টা করা হবে। কিন্তু রনিল বিক্রমাসিংহকেও সেদেশের জনগণ খুব একটা বিশ্বাস করছে না। এর কারণ হলো শ্রীলঙ্কার শাসক গোষ্ঠীর সবারই এক পা দেশের বাইরে। তাদের ছেলে মেয়েরা সবাই বিদেশে এবং দেশের জনগণের সাথে শাসকগোষ্ঠীর সব সময় একটা দূরত্ব ছিলই। যে কারণে রনিল বিক্রমাসিংহে কেও দেশের জনগণ খুব বেশিদিন সময় দিবে না। সে জায়গায় রনিল বিক্রমাসিংহে তিনিই বা কতটুকু করতে পারবেন। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির কাঠামো সম্পূর্ণভাবে ভেঙ্গে পড়ছে। এখন এই অর্থনীতির কাঠামো যদি ঠিক করা না যায় তাহলে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হবে না বলে আমি মনে করি।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭