ইনসাইড টক

‘বিএনপি দেশের সংকট নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে’


প্রকাশ: 25/07/2022


Thumbnail

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর যে যেখানে সভা-সমাবেশ করছে, প্রতিটি জায়গায় আমরা সাধারণ মানুষকে সচেতন করছি। বৈশ্বিক সংকটের কারণে দেশে যে বিদ্যুৎ সংকট তৈরি হয়েছে সে ব্যাপারে আমরা তাদের অবগত করছি। তারা যেন বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হয়। আওয়ামী লীগ কেন্দ্র থেকে আমরা প্রতিটি জেলায় জেলায় নির্দেশ দিয়েছি মানুষকে সচেতন করার ক্ষেত্রে। যে সমস্ত কারণে দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি হয়েছে, সে বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা জনগণকে ধারনা দেওয়া চেষ্টা করছি। কারণ এটা সরকার সৃষ্ট কোনো সমস্যা নয় কিংবা দেশের কোনো পরিস্থিতির জন্যও বিদ্যুতের আজকের সংকট তৈরি হয়নি। অথচ বিএনপি প্রচার করে বেড়াচ্ছে, জনগণকে তারা বিভ্রান্ত করছে। এর জন্য তারা সরকারকেই দায়ী করছে। যা বিএনপির মতো একটি রাজনৈতিক দল থেকে কেউ প্রত্যাশা করে না। তারা দেশের একটি সংকট নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।

দেশের চলমান বিদ্যুৎ সংকটের কারণে সাশ্রয়ী হতে দেশের জনগণকে আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। এমন পরিস্থিতি বিদ্যুৎ ব্যবহারে জনগণকে সচেতন করে তুলতে আওয়ামী লীগ কিভাবে কাজ করছে তা নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সাথে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য এস এম কামাল হোসেন এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।

এস এম কামাল বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য যেকোনো দেশের চেয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের আবেগ অনুভূতি ব্যাপারে অনেক বেশি সচেতন। তিনি সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করে থাকেন। জনগণ যেন কোনো ধরনের কষ্ট না পান সেজন্য তিনি সব সময় কাজ করেন এবং জনগণের কথা বলেন। আপনরা খেয়াল করলেন দেখবেন যে, প্রধানমন্ত্রী সবসময় জনগণকে উল্লেখ করে তাদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করেন এবং আমাদেরকেও সে কাজ করতে তিনি নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। আমরা তার কর্মী হিসেবে তার নির্দেশনাগুলো সব সময় অনুসরণ করে থাকি। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা দিয়েছিল, সরকার সেটা করেছে। কিন্তু এখন যে লোডশেডিং হচ্ছে সেটা সাময়িক এবং এটা জন্য সরকারের কোনো দায় নেই। কারণ এটা বিশ্ব পরিস্থিতির জন্য তৈরি হয়েছে। তারপরও আমরা এটাকে সামাল দেওয়া চেষ্টা করছি।

তিনি আর বলেন, বিএনপির সময় বিদ্যুৎ বিভাগে কি হয়েছিল, সেটা আমরা সবাই জানি। সে সময় বিদ্যুতের জন্য মানুষকে চাঁদা দিতে হতো। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার নিজে থেকে মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩ হাজার ৮ শত ৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রেখে গিয়েছিলেন কিন্তু বিএনপি এরপর ক্ষমতায় এসে যখন আবার ক্ষমতা ছাড়ে তখন আরও ৬’শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম রেখে গিয়েছিল। তারেক জিয়া ২০০৬ সালে একটি টেলিভিশনের সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, একই সময় বাসা বাড়িতে বিদ্যুৎ নিবেন আবার শপিংমলে বিদ্যুৎ চাইবেন-এটা কোনো সরকারই এধরনের বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পারবে না। অথচ শেখ হাসিনা সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, শেখ হাসিনা সরকার বাসা বাড়িতেও বিদ্যুৎ দিয়েছে,, শপিংমলেও বিদ্যুৎ দিয়েছে এবং সব জায়গায় এক সঙ্গে বিদ্যুৎও থাকছে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে যখন পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ছিল তখনও তারা রাত ৮টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ দিয়েছে আর আমরা আমাদের দেশে ১১টা থেকে ১২ পর্যন্তও শপিংমল গুলো বিদ্যুৎ দিয়েছি। এখন যেটা হচ্ছে সেটা জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়া কারণে শুধুমাত্র ডিজেল নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ আছে, এই কারণে সাময়িক একটা সমস্যা হচ্ছে এবং সেটা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খুব দ্রুত কেটে যাবে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারির কারণে সারাবিশ্বে এখন এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোও এখন সাশ্রয়ী নীতি গ্রহণ করছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭