ইনসাইড টক

'শিক্ষিতের হার বৃদ্ধি দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বিরাট অবদান রাখবে'


প্রকাশ: 27/07/2022


Thumbnail

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এখন স্কুলগুলোতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের সংখ্যা বেশি। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে হাইস্কুল ইভেন কলেজ পর্যন্ত এখন মেয়েদের সংখ্যা বেড়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়েও বাড়ছে। অতএব শিক্ষিতের হার বেড়ে যাওয়া এটা আমাদের দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে একটি বিরাট অবদান রাখবে। কারণ শিক্ষিত লোক তার বিচার বিবেচনা মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয় না। তাকে কেউ সহজে ঠকাতে পারে না। 

জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী সারাদেশে স্বাক্ষরতার হারে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী স্বাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এ নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।

অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, স্বাক্ষরতার হার আর শিক্ষিতের হার বা লেখাপড়ার মান এগুলো নিয়ে কনফিউশন করা যাবে না। এগুলো নিয়ে তো আমরা বরাবরই প্রশ্ন করি যে আমাদের শিক্ষার মান আন্তর্জাতিক মানে যায় নি, এগুলো ঠিকই আছে। এগুলো আরও ভালো করা দরকার। কিন্তু স্বাক্ষরতা হচ্ছে, একটি লোক পড়তে পারে, নাম লিখতে পারে এটুকু হলেই তাকে স্বাক্ষর বলে। তো সেটা বাড়া স্বাভাবিক। কারণ বাংলাদেশে এখন এমন কোনো গ্রাম নেই যেখানে একটা প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই বা মাদ্রাসা বা যেকোনো ধরনের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। এগুলো থাকার কারণে এবং সরকার এগুলোতে সহযোগীতা করার কারণে স্বাক্ষরতার হার বেড়েছে।

তিনি বলেন, সরকারি ছাড়াও আমাদের অনেকগুলো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে ব্র্যাকের মতো, যারা প্রত্যন্ত চরের মধ্যেও বিশেষ করে যেখানে স্কুল নেই সেখানেও তারা স্কুল করছে। সেদিক থেকে একেবারে নিরক্ষর বলতে যেটা বুঝায় যে যার মধ্যে অক্ষর জ্ঞান নেই, সেটা অনেকাংশে কমে গেছে। এরপরে পরিপূর্ণ শিক্ষিত লোক যেটা বলে সেটা নিয়ে হয়তো প্রশ্ন থাকতে পারে, তবে আমরা যাদেরকে নিরক্ষর বলি সেটা কমে গেছে। শিক্ষিতের হার বেড়েছে। 

অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান আরও বলেন, এই স্বাক্ষরতার হারও দেশের অগ্রগতির জন্য একটি ভূমিকা রাখবে। একটি লোক যদি একেবারের কৃষিকাজ করে বা দীনমজুরের কাজ করে, সেও যদি এখন লেখাপড়া করতে পারে। আমি বলি না যে সমস্ত লোক লেখাপড়া করে উচ্চ শিক্ষিত হবে। বড় বড় চাকরি করবে। কিন্তু এই যে, দরিদ্র জনগোষ্ঠী তাদের মধ্যেও দেখা গেছে, লেখাপড়া জানা আর না জানার মধ্যে অনেক পার্থক্য। বিশেষ করে মেয়েরা যদি একটু লেখাপড়া করতে পারে, তখন তার যে সন্তান হয়, সেই সন্তান শিক্ষিত হয়, সেই পরিবারে নিরক্ষর আর কেউ থাকে না। সেই কারণে মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়ছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭