ইনসাইড টক

‘বেদেপল্লীতে গিয়ে রান্না করেছি, খেয়েছি’


প্রকাশ: 29/07/2022


Thumbnail

সময়টা ২০১৪ সাল, ‘চ্যানেল আই লাক্স সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রথম রানার্সআপ হয়ে শোবিজে পা রাখেন নাজিফা তুষি। সেই প্লাটফর্ম থেকে বের হয়েই নাম লিখান সিনেমাতে। ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘আইসক্রিম’ সিনেমার মধ্য দিয়েই বড় পর্দায় রাজকীয় অভিষেক ঘটে তার। এরপর কাজ করেছেন বেশ কিছু ওয়েব সিরিজেও। শুক্রবার (২৯ জুলাই) মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত নতুন সিনেমা ‘হাওয়া’। সেখানে তাকে বেদেনীর চরিত্রে দেখা যাবে। নতুন এই চলচ্চিত্রটি নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সাথে কথা হলো তুষির।

বাংলা ইনসাইডারের: শুক্রবার মুক্তি পেলো আপনার অভিনীত 'হাওয়া'। ছবিটি নিয়ে প্রত্যাশা কেমন?

তুষি: সবাই চায় তার কাজটা মানুষ দেখুক। একটি কাজের সমালোচনা-আলোচনা দুইটাই আমি এপ্রিশিয়েট করি। আমি চায় সিনেমা দেখার পর দর্শকের যা অনুভূতি তাই শেয়ার করুক। তবে ব্যক্তিগত জায়গা থেকে এটুকু বলতে পারি যে, কোন কাজ যদি ভাল হয়, দর্শক যদি মনে করে তার পছন্দের কাজ তখন সেটি দেখে। এর আগেও  যেসব ভাল কন্টেন্ট এসেছে দর্শক তা দেখেছ। তাদের রুচি এখন অনেক বেশী চেঞ্জ হয়েছে। এজন্য আমার মনে হয় দর্শকের ভাল লাগলে নিজ ইচ্ছায় কাজ টা দেখবে। এখানে জোরাজুরির কিছু নাই। সেটা তার নিজের চয়েস।

বাংলা ইনসাইডারের: ছবি মুক্তির প্রচারণায় বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে ঘুরলেন, শিক্ষার্থীদের মাঝে উন্মাদনা কেমন?

তুষি: সত্যি কথা বলতে আমি আসলে এতটা আশা করিনাই। এটা আমার জন্য একদমই নতুন এক্সপিরিয়েন্স। প্রত্যেকটা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সম্মান ও ভালবাসা পেয়েছি এটা সারাজীবন আমার মনে থাকবে। তারা আমাদের কাজকে অনেক ভালবাসার মাধ্যমে প্রশংসা করেছে। এই মূহুর্তটা আমি দারুণভাবে উপভোগ করেছি।



বাংলা ইনসাইডারের: দর্শকদের সাথে দেখার ইচ্ছা আছে কি?

তুষি: হ্যাঁ অবশ্যই। আমি সিনেমা মুক্তির পর প্রচারণায় আরও সময় দিতে চাই। এটাতো আমার অন্তরের সিনেমা।

বাংলা ইনসাইডারের: হাওয়া'তে গুলতি চরিত্র নিয়ে জানতে চাই।

তুষি: এক ধরনের রহস্য আছে গুলতির মধ্যে, যে রহস্য রিভিল হয় গল্পের বিভিন্ন ধাপে। 'হাওয়া'-তে গুলতি চরিত্র ইন করার পর থেকে গল্পের বাক পরিবর্তন হয়। এবং তার জার্নি শুরু হয়।আপনারা সিনেমা দেখার সময় গুলতিকে আরও স্পষ্ট বুঝতে পারবেন।

বাংলা ইনসাইডারের: তুষি থেকে গুলতি হওয়ার জার্নিটা জানতে চাই।

তুষি: শুটিংয়ে যাওয়ার এক বছর আগে থেকে আমি এই সিনেমার সঙ্গে। আমাকে সব বোধ, চরিত্র কিভাবে তুলে ধরব, চরিত্রের জার্নি 'হাওয়া' টিমের মাধ্যমে শিখেতে হয়েছে। 'গুলতি' চরিত্রের জন্য দীর্ঘদিন এটা নিয়ে চর্চা করতে হয়েছে। এ সময়টাতে আমি বাস্তবের তুষি হিসেবে জীবন-যাপন করতে পারিনি। আমি শাড়ী পরে ঘুরতাম,  মাছ কাটতাম, তরকারি কাটতাম, রান্না করতাম। যা ব্যক্তি তুষির জন্য বেশ কষ্টকর। আমি মোবাইল ব্যবহার করতাম না। ফ্যামিলি, বন্ধু-বান্ধব অনেককিছু বাদ দিয়ে এই সিনেমার জন্য আমি একা থাকতে হয়েছে এবং সারাক্ষণ ওই চরিত্রটাকে ক্যারি করতে হয়েছে। আমার চরিত্রটা একটা বেদেনী চরিত্র, তাদের জীবন-যাপন যেহেতু আগে দেখা নেই, এজন্য বেদেপল্লীতে গিয়ে তাদের লাইফস্টাইল দেখেছি, তাদের সাথে থেকেছে, রান্না করেছি, খেয়েছি, ওদের জীবনযাপন বোঝার চেষ্টা করেছি। এটা দীর্ঘ সময়ের জার্নি। হাওয়ার গল্প যতটা না সিনেমাটিক, আমার কাছে মনে হয় এ সিনেমাটির জন্য আমাদের প্রস্তুতিটা বড় একটা সিনেমা।



বাংলা ইনসাইডারের: ছবিটির শুটিং মাঝ সাগরে হয়েছে। কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিলো?

তুষি: আমার কাছে মনে হয় আমরা একটা দুঃসাধ্য সফল করেছি। একটা যুদ্ধে যাবার আগে মানুষ যেভাবে প্রস্তুতি নেয়।  ভয় ত্যাগ করে মানুষিক জোর, সৎ সাহস, প্যাশনের জায়গা থেকে সফল হয় 'হাওয়া' টিম আমাদেরকে এমনভাবে তৈরি করেছিল। এজন্য শুটিং করার সময় কাজটা সহজ মনে হয়েছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭