ইনসাইড পলিটিক্স

চক্রান্তকারীদের নাম জানতে চান ফখরুল!


প্রকাশ: 05/08/2022


Thumbnail

কারা প্রধানমন্ত্রীর নামে নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে, তাকে সরানোর চক্রান্ত করছে তাদের নাম জানতে চেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চক্রান্তকারীদের নাম প্রকাশের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বানও জানিয়েছেন। এর আগে বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নবনির্বাচিত বোর্ড সদস্যরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র জোরদার হচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘২০১৪–এর নির্বাচনের আগে চক্রান্ত করেছে, ২০১৮–এর নির্বাচনের আগে করেছে, আবার এখন নির্বাচন যখন ঘনিয়ে আসছে, তখন শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী এও বলেছেন, ‘আমি জানি, তাদের তৎপরতা অনেক বেশি। তাদের খবরও আমি রাখি, আমার তো অচেনা কেউ নাই। তারা তাদের চক্রান্ত করেই যাচ্ছে।’

মির্জা ফখরুল প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের নাম জানতে চাওয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে এক বিস্ময় সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে, মির্জা ফখরুলই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি শেখ হাসিনাকে বার বার হত্যা চেষ্টার ঘটনা জানেন না? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে এলে ষড়যন্ত্রকারীরা বিভিন্নভাবে তাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করেছে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রপতি থাকাকালে দুটি, ১৯৯১ থেকে ’৯৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকারের আমলে চারটি, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে চারটি, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে চারটি, সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে একটি এবং আওয়ামী লীগের বর্তমান আমলে চারটি হত্যা চেষ্টার কথা জানা যায়। এসমস্ত ঘটনায় ৬০ জন দলীয় নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। পঙ্গুও হয়েছেন অনেকে। এ সমস্ত হত্যা চেষ্টার দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্রের যোগসূত্র ছিল। 

২০০৪ সালে ২১ শে আগস্ট রাষ্ট্রীয় মদদে শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলা হয়েছে। যে হামলাটি করেছিল হরকাতুল জিহাদ নামের একটি জঙ্গি সংগঠন। সহযোগী হিসেবে ছিল বিএনপির তৎকালীন যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমান, তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপির সেসময়ের শিক্ষামন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, জামায়াত ইসলামের সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মুজাহিদ, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিস চৌধুরী, তৎকালীন গোয়েন্দা সংস্থার ডিজিএিআই এবং এনএসআই এর শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তা। যা আদালতে প্রমাণিতেএবং ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর আদালত এই মামলার রায় ঘোষণা করেছে। এখন সেই চক্রান্তকারীরাদের উত্তরসূরিরা সক্রিয় রয়েছে তাদের মিশন সম্পন্ন করতে।

প্রশ্ন উঠছে এসবই কি মির্জা ফখরুলের অজানা? তিনি কি এ সমস্ত ঘটনার কথা জানেন না? যদি জেনেই থাকেন, তাহলে তিনি কার নাম জানতে চান?



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭