ইনসাইড টক

'মূল্য বৃদ্ধির পরও জ্বালানি তেলে সরকারকে লোকসান দিতে হচ্ছে'


প্রকাশ: 06/08/2022


Thumbnail

জ্বালানি তেলে এত বেশি পরিমাণ মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ বলেছেন, যেটা আমাদের মূল জ্বালানির সব থেকে বড় অংশ সেটা হলো ডিজেল এবং এই ডিজেলের মোট ব্যবহারের পরিমাণ ৭১ শতাংশের উপরে। ডিজেলের প্রতি লিটারের আমদানি খরচ এখন (জুলাই মাসের হিসেবে) ১২২.১৩ টাকা। সেখানে সমন্বয় করে নতুন দাম ধরা হয়েছে ১১৪ টাকা। এখনও ৮.১৩ টাকা সরকারকে লোকসান বা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। ডিজেলের দাম ৩৪ টাকা বাড়লেও খরচ কিন্তু পুরোটা সমন্বয় হলো না।

সাম্প্রতিক দেশে সব ধরনের জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, পরিবহনের ভাড়া সমন্বয়সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এ বি এম আজাদ এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য এ বি এম আজাদ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর প্রধান বার্তা সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান।

এ বি এম আজাদ বলেন, প্রান্তিক মানুষ ডিজেল ব্যবহার করে থাকে। সেখানে আমরা দেখেছি যে, ডিজেলের মূল্য ৩৪ টাকা বাড়ার কারণে দূরপাল্লার বাসের যাত্রীদের ভাড়া বৃদ্ধি পাবে ১৬.২২ শতাংশ। আগে দূরপাল্লার বাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ছিল ১.৮০ টাকা। আর এখন ২৯ পয়সা বেড়ে কিলোমিটার প্রতি ভাড়া হবে ২.০৯ টাকা। সিটি এলাকার বাসের ক্ষেত্রে ভাড়া বাড়বে ১৩.১৬ শতাংশ। সে হিসেবে আগে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া ছিল ২.১৫ টাকা। সেটা এখন ২৮ পয়সা বেড়ে হবে ২.৪৩ টাকা। এখানে ভাড়া বৃদ্ধির হার সেই অর্থে বেশি নয়। তাহলে রোড সেক্টরে ১৬ শতাংশ এবং ১৩ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি পাবে। লঞ্চেও মানুষ যাতায়াত করে। এটিও আমাদের এটি পরিবহণ ব্যবস্থা। সেখানে ভাড়া বাড়বে ১৯.১৮ শতাংশ। আগে ছিল প্রতি কিলোমিটারে ২.১৯ টাকা। সেখানে ৪২ পয়সা যোগ হয়ে হবে। তাহলে হবে ২.৬২ টাকা প্রতি কিলোমিটারে লঞ্চের ভাড়া। এটা আমাদের সব ক্যালকুলেশন অনুযায়ী করা হয়েছে। জ্বালানি সেক্টরে পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধিটা হবে। 

বিদ্যুৎ উৎপাদনে ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকলেও কি ডিজেলের কম খরচ হচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমাদের আগে জানতে হবে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ডিজেলের ব্যবহার কতটুকু। আমার কাছে যে তথ্য আছে সেটা হলো, বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ৭.২২ শতাংশ ডিজেল ব্যবহার হয়। এই ক্ষেত্রে পরিমাণের দিক দিয়ে যদি চিন্তা করি তাহলে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিক টর ডিজেল বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। বিদ্যুতের বড় অংশ অর্থাৎ প্রায় ৭০ শতাংশ ব্যবহৃত হয় গ্যাস। এখন ডিজেল চালিত যে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে সেগুলোর উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কারণ ডিজেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে সব থেকে বেশি খরচ হয়। যার জন্য আগে থেকে বন্ধ রাখা হয়। গত বছর কিছুটা ব্যবহৃত হতো। এ বছর হয়তো আরও একটু কম ব্যবহৃত হবে। কারণ একটি বা দুই যে প্লান্ট ইকোনমিক্যালি ভায়াবল সেগুলো হয়তো করবে। এটার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। এটা বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য। 

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান বলেন, বিদ্যুতের সাশ্রয় দরকার। করণ অনন্য জ্বালানিও তো এর সঙ্গে যুক্ত। যেটা আমার অংশ সেটা আমি বললাম। ডিজিলের বড় ব্যবহার হয় হলো পরিবহনে। এখানে সেই অর্থে সাশ্রয়ের কোনো পদক্ষেপ নেই। ডিমান্ড থাকলে সেটা তো আমাকে পূরণ করতে হবে। কারণ আমি তো পরিবহণ খাত নিয়ন্ত্রণ করি না।  


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭