ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিতর্ক সৃষ্টি করে ক্রিকেটেই ফিরলেন সাকিব


প্রকাশ: 12/08/2022


Thumbnail

আগামী ২৭ আগস্ট দুবাইয়ে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তানের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এশিয়া কাপ। এশিয়া মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই শুরু হতে হাতে সময় বাকি খুব কম। ভারত-পাকিস্তান নিজেদের দল ঘোষণা করে দিয়েছে আগেই। কিন্তু এখন পর্যন্ত স্কোয়াড চূড়ান্ত করতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সাকিব ও বেটিং প্রতিষ্ঠান বেটউইনারের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ক্রীড়া বিষয়ক সংবাদমাধ্যম বেটউইনার নিউজের পণ্যদূত হওয়ার চূক্তির কারণেই এতটা বিলম্ব। কেননা অধিনায়কত্ব পাবার তালিকায় তার নামও রয়েছে। এর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের ইনজুরি সমস্যা তো আছেই। সব মিলিয়ে দল দিতে এত সময়ক্ষেপণ। বোর্ড প্রধান জানিয়েছিলেন, বেটউইনারের সাথে চুক্তি বাতিল না করলে এশিয়া কাপ এর পাশাপাশি বাংলাদেশ ক্রিকেটে থেকে নিষিদ্ধ হতে পারেন সাকিব। বেঁধে দিয়েছিলেন নিয়ম-আজকের মধ্যে উত্তর জানাতে হবে। হয় বেটিং, নয়তো দেশের ক্রিকেট যে কোনো একটা বেছে নেয়ার মধ্যে অবশেষে ক্রিকেটকেই বেছে নিলেন এই তারকা অলরাউন্ডার। বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে বিসিবিকে চুক্তি বাতিল করার কথা জানান তিনি।

এই চুক্তি নিয়ে বিগত কয়েকদিনে জন্ম হয়েছে বিতর্ক ও নানা আলোচনা-সমালোচনার। তবে, সাকিবকে ঘিরে বিতর্ক তো এই প্রথম নয়। এর আগেও নানা সময়ে তিনি জড়িয়েছেন নানা বিতর্কে। সাকিবের চেয়ে তো কোনো দল ছোট নয়, দলের চেয়ে দেশ ছোট নয়। কিন্তু সাকিব তার নিজের কাজে-কর্মে কী প্রমাণ করছেন? যাবতীয় নিয়ম-কানুন থোড়াই কেয়ার করছেন। যেন আইন-কানুন তৈরিই হয় অন্যদের জন্য, সাকিবের জন্য নয়। তিনি যেন অনায়াসেই আইন ভাঙার অধিকার পেয়ে যান। আইন ভাঙলে, নিয়ম ভাঙলেও তাকে কোনো শাস্তির মুখোমুখি হতে হয় না, জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হয় না। সাকিব যেন সব আইন-কানুন আর নিয়মের ঊর্ধ্বে। একবার নয়, বারবার এমন কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে যাচ্ছেন এবং ছাড়ও পেয়ে যাচ্ছেন। সাকিবের ঊর্ধ্বতন নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এ বিষয়টা নিয়ে কী ভাবছে, তারাই হয়তো ভালো জানেন। কিন্তু দেশবাসী এ নিয়ে পুরোপুরি অন্ধকারে।

২০১৯ বিশ্বকাপের আগের সেই ঘটনার কথা নিশ্চয়ই সবার মনে আছে। বিশ্বকাপ খেলতে দল যাবে ইংল্যান্ডে। তার আগে অফিসিয়াল ফটোসেশনে বিশ্বকাপের জার্সি গায়ে টিম বাংলাদেশ মিরপুর স্টেডিয়ামে হাজির হলো গ্রুপ ছবি তোলার জন্য। কিন্তু নেই তিনি। সাকিব আল হাসান থাকতে পারবেন না। একজন সচেতন ক্রিকেটার হিসেবে সাকিবের এসব জানার কথা। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেই কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ভাঙতে দেখা যায় তাকে। এই ছবি তোলার চেয়েও তার জরুরি কাজ পড়ে গেছে। তিনি চলে গেছেন বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং করতে। একটা জাতীয় স্বার্থ, অন্যটা নিজের স্বার্থ। সাকিবের নিজের স্বার্থের সামনে জাতীয় স্বার্থ সেদিন জলাঞ্জলি হয়ে গেছে। ২০১৯ এর বিশ্বকাপের অফিসিয়াল ফটোতে নেই সাকিব। দেশের একজন সেরা পারফরমার, একাদশের অপরিহার্য খেলোয়াড়। তাকে ছাড়াই বিশ্বকাপে দেশের পরিচিতি দাঁড়ালো।

আবার ওই একই সময় জাতীয় দলের স্পন্সর হিসেবে একটি ফোন কোম্পানির আসার কথা ছিল; কিন্তু সেখানে সাকিব একাই গিয়ে সেই কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে গেলেন। যে কারণে, জাতীয় ক্রিকেট দল কিংবা বোর্ডের (বিসিবি) স্বার্থ জলাঞ্জলি হলো একটি ব্যক্তিস্বার্থের সামনে।

মানুষ বেমালুম ভুলে গেলো সাকিবের এই ঔদ্ধত্যের কথা। কারণ, বিশ্বকাপে তিনিই বাংলাদেশ দলের একমাত্র পারফরমার। ব্যাট হাতে ৬০৬ রান, বল হাতে ১১ উইকেট। বাংলাদেশ কেন, বিশ্বের ইতিহাসেই তো এমন অলরাউন্ড নৈপুণ্য আর কারো নেই। যে ইতিহাস রচনা করে এসেছেন তিনি, তা আর কেউ কখনো ভাঙতে পারবে কি না সন্দেহ।

বিশ্বকাপের পরপর ক্রিকেটারদের বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেওয়া থেকে শুরু করে অনেক ঘটনারই জন্ম দিয়েছেন তিনি। কিন্তু কথায় বলে না! পাপ বাপকেও ছাড়ে না। ফিক্সারদের প্রস্তাবের কথা গোপন করায় আইসিসির পক্ষ থেকে এক বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তির খড়গে পড়তে হলো সাকিবকে। এরই মধ্যে এসে গেলো করোনা মহামারি। সাকিবের নিষেধাজ্ঞার সময়টাতে বাংলাদেশ দলেরও তেমন ক্রিকেট খেলা হলো না। করোনার কারণে সারা বিশ্বেই নতুন কিছু নিয়মের অবতারণা হলো। কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন, বায়ো-বাবল - কত কিছুর সাথে মানুষের পরিচয় ঘটলো। এক দেশ থেকে আরেক দেশে গেলে নিয়ম অনুযায়ী কোয়ারেন্টাইন করতে হয়, আইসোলেশনে থাকতে হয়।

একজন সচেতন ক্রিকেটার হিসেবে সাকিবের এসব জানার কথা। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেই কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ভাঙতে দেখা যায় তাকে। কোয়ারেন্টাইন না করে তিনি কোনো এক শো রুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম থোড়াই কেয়ার করে তিনি সড়ক পথে চলে যান কলকাতায়। সেখানে পূজার অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে জন্ম দেন অনেক বড় বিতর্কের। জানা যায়, সেখানেও নাকি ছিল অর্থযোগ। শুধু তাই নয়, বেনাপোল স্থলবন্দরে উৎসুক ভক্ত-সমর্থকরা তার সঙ্গে ছবি তুলতে চাইলে তিনি ভক্তের ফোন ছুঁড়ে মারেন। যারা তাকে ভালোবেসে মাথায় তোলে, বারবার সাকিব তাদের লাথি দেন। ড্রেসিংরুমে বসে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন কিংবা দর্শককে মারার জন্য তেড়ে যান।

নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে আসার পর বাংলাদেশের ক্রিকেট সাকিবের কাছে হয়ে গেছে যেন ইচ্ছের পুতুল। মন চাইলে তিনি খেলবেন, নাহলে খেলবেন না। আইপিএল খেলার জন্য বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটকে ‘না’ করে দেবেন, নিউজিল্যান্ড সফরে ‘না’ করে দেবেন, জিম্বাবুয়ে সফরকে বাদ দিয়ে দেবেন- এসবই তার যেন ইচ্ছের খেল। আবার জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলনেও তার খুব একটা আগ্রহ কম। নিজের মত করে কিছু অনুশীলন করেন। প্রয়োজন মনে করলে করেন, প্রয়োজন না মনে করলে করেন না। মাঝে-মাঝে ইনজুরিতেও আক্রান্ত হন। যদিও ঠিকই ফ্রাঞ্জাইজি ক্রিকেটের মৌসুম এলে, বিশেষ করে আইপিএল-বিপিএল কিংবা সিপিএল, এসব এলেই সাকিব দিব্যি ইনজুরিমুক্ত হয়ে যান। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে তিনি অংশ নেন ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে। দুষ্টজনেরা সোশ্যাল মিডিয়া কাঁপায়, ‘আইপিএল এলো তো, সাকিব সুস্থ হয়ে গেলো।’

যদিও দুর্ভাগ্য, সাকিবকে এবার আর আইপিএলের কোনে দল নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেনি। ২ কোটি রুপি ভিত্তিমূল্যও যে ১০টি ফ্রাঞ্চাইজির সব মালিকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে! আইপিএলে সাকিবের আগের আসরগুলোর পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করে, এই অর্থ অযথা নষ্ট করার পথে কেউ হাঁটেনি। আইপিএলের নিলামের আগে জ্বল্পনা ছিল, সাকিব দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবেন কি না। কারণ, আইপিএলে সুযোগ পেলে দেশের হয়ে কেন খেলবেন তিনি? দেশের জার্সিতে তো ‘চিল!’ হয় না। টাকা কম, গ্ল্যামার কম, বিশ্বের নামি-দামি ক্রিকেটার, বলিউডি তারকাদের সঙ্গে ওঠা-বসা এসব তো আর জাতীয় দলের জার্সিতে খেললে হবে না। কিন্তু সাকিব হয়তো জানতেন না, মুদ্রার উল্টোপিঠও আছে। সময় সেই উল্টো পিঠ দেখিয়ে দেয়।

সাকিবের ঔদ্বত্যের শেষ তবুও হয়নি। বিপিএলে ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক। টানা ৫ ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়ে রেকর্ড গড়েছেন। নিশ্চিতভাবেই বৃহস্পতি তুঙ্গে। তো সন্দেহ নেই, এ সময় বিজ্ঞাপনের বাজারেও নিজের দামটা বেড়ে গেছে। সাকিবও সুযোগটা লুফে নিলেন। বিপিএল ফাইনালের ঠিক আগেরদিন তিনি চলে গেলেন বিজ্ঞাপন করতে। দুই ফাইনালিস্ট দলের অধিনায়কের ট্রফি ধরে অফিসিয়াল ফটোসেশন, অফিসিয়াল প্রেস মিট- এটা একটা নিয়ম। কিন্তু যিনি কোনো নিয়মেরই তোয়াক্কা করেন না, তার কাছে এই নিয়ম ভাঙা তো কোনো ব্যাপারই না। সুতরাং, কোনোটাতেই নেই সাকিব।

প্রথমে জানানো হলো, সাকিবের পেটের পীড়া। এ কারণে তিনি আসতে পারেননি। বিষয়টা এখানেই হয়তো থেমে যেতো। কিন্তু বরিশালের হয়ে এসব আনুষ্ঠানিকতা সারতে আসা নুরুল হাসান সোহান বলে দিলেন, সাকিবের অনুপস্থিতির কারণ তিনি কিছুই জানেন না। ম্যানেজমেন্ট জানেন, সাকিব জানেন। সন্দেহের তীর ছোড়া হলো সেখান থেকে। পরে জানা গেলো, বিজ্ঞাপনের শুটিং করতে গিয়েছেন সাকিব। স্বাভাবিক, বিজ্ঞাপন মানেই টাকা। আর টাকা যেখানে সাকিব সেখানে। এতে কার কী আসবে যাবে? যার যা যায় যাক, সাকিবের কাছে টাকাই আসল। এখানে ব্যক্তি স্বার্থের সামনে উপেক্ষিত হলো দলের স্বার্থ। বিদেশি মিডিয়ার কাছে জলাঞ্জলি হলো দেশের সম্মান। কারণ, বিদেশি মিডিয়াতে নিউজ হয়েছে, সব বাদ দিয়ে সাকিব চলে গেলেন বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং করতে।

বিপিএল ফাইনালের আগে সাকিবের এই অফিসিয়াল আনুষ্ঠানিকতায় যোগ না দেয়ায় দুটি আইন বা নিয়ম ভঙ হলো। একে তো অফিসিয়াল আনুষ্ঠানিকতায় তিনি বরাবরের মতই অনুপস্থিত, এই নিয়ম-কানুনকে তিনি থোড়াই কেয়ার করলেন। আরেকটা হলো তিনি করোনা বিধি লঙ্ঘন করেছেন। বিপিএলের জন্য যে বায়ো-বাবল সিস্টেম তৈরি করা হয়েছিল, তা তিনি ভেঙেছেন। আবার দেখুন, ঠিকই পরেরদিন ফাইনাল খেললেন সাকিব। করোনা বিধিটা আসলে কী? বায়ো-বাবলের নিয়মই বা কী? আমরা সাধারণত জানি, অন্য দেশে পালন করা হয়- কোনো খেলোয়াড় বায়ো-বাবল ভাঙলে তাকে অন্তত সাতদিন আইসোলেশন কিংবা কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়। এরপর আরটি-পিসিআর টেস্ট করে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে পুনরায় বায়ো-বাবলে প্রবেশ করতে হয়।

বায়ো-বাবল ভাঙার অপরাধে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিন শ্রীলংকান ক্রিকেটার। কুশল মেন্ডিস, দানুশকা গুনাথিলাকা, নিরোশান ডিকভেলার মতো ক্রিকেটারকে এক বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। গতবছর পিএসএলে বায়ো-বাবল ভেঙে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন পেশোয়ার জালমির দুই ক্রিকেটার হায়দার আলি ও উমাইদ আসিফ। যে কারণে তারা ফাইনাল পর্যন্ত খেলতে পারেননি। শুধু তাই নয়, ওমান-আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বায়ো-বাবল ভেঙে শাস্তি পেয়েছিলেন ইংলিশ আম্পায়ার মাইকেল গফ। সেখানে সাকিব আল হাসানকে কিছুই করতে হয়নি। স্রেফ ফাইনাল শুরুর আগে একটি আরটি-পিসিআর টেস্ট দিলেন। নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়েই নেমে গেলেন মাঠে। আইসোলেশন-কোয়ারেন্টাইনের কোনো ধার ধারলেন না।

তার বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশন পর্যন্ত নিতে পারলো না আমাদের প্রবল ক্ষমতাধর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। যদিও ফাইনাল শেষে সাকিবের দল ফরচুন বরিশালকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। অর্থাৎ এখানে ব্যক্তি সাকিবকে যেন ঘাঁটাতেই চায় না বিসিবি। নিয়ম ভঙ করেছে ব্যক্তি, জবাব দিতে হবে দলকে! উদোরপিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর মত অবস্থা। আর কারণ দর্শানোটাও যে শুধু কিছু আনুষ্ঠানিকতা করে সাকিবকে দায়মুক্তি দেয়া কিংবা এই বিষয়টাকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা, সেটা নিয়েও বিস্তর আলোচনা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

শেষ করতে চাই সাকিবের ফেসবুক পেজের একটি পোস্ট এবং সেখানে করা কয়েকটি মন্তব্য উল্লেখ করে। রুচি সসের একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশের আগে তার একটি প্রমো নিজের পেজে আপলোড করেছিলেন সাকিব। যেখানে দেখা যাচ্ছে বাগানের ভেতর তিনি দৌড়াচ্ছেন। তিনি ক্যাপশন লিখেছেন, ‘কিসের পেছনে দৌড়াচ্ছি বলুন তো?’ জনৈক ভক্ত সেখানে লিখেছেন, ‘টাকা’। আরেকজন লিখেছেন, ‘টাকা ছাড়া কোনো কিছুর পেছনে তুমি ছোটো না ভাই।’ ভক্ত-সমর্থকরাও এখন জেনে গেছেন, সাকিব ক্রিকেটের চেয়ে টাকার পেছনে কতটা বেশি ছোটেন। ক্রিকেটকে তিনি ব্যবহার করেন শুধু টাকা কামানোর হাতিয়ার হিসেবে। যখনই প্রয়োজন কিছু পারফর্ম করেন আর বিজ্ঞাপনের বাজারে নিজের মূল্য বাড়িয়ে নেন।

সাকিবের অফিসিয়াল ফেসবুজ পেজে ঢুকলেই দেখা যাবে, ক্রিকেটের চেয়ে সেখানে বিজ্ঞাপন কতটা স্থানজুড়ে রয়েছে। স্বর্ণ আমদানি, ব্রোকারেজ হাউজ, বিদ্যুৎ, ই-কমার্স এবং ব্যাংক ব্যবসা থেকে শুরু করে হেন কোনো ব্যবসা নেই, যেখানে সাকিব নাম লেখাননি। ক্রিকেটার সাকিবের চেয়ে তাকে ব্যবসায়ী সাকিব বলাই কি এখন বেশি যুক্তিযুক্ত না?


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭