কালার ইনসাইড

মিশার ‘৩৩’


প্রকাশ: 12/08/2022


Thumbnail

তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বড় পর্দায় দর্শক মাতাচ্ছেন তিনি। চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে ৯০০’রও বেশী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। শুরুতে রাজীব, হুমায়ূন ফরীদ, মিজু আহমেদ, আহমেদ শরীফ, নাসির খানদের সাথে দ্বিতীয় ভিলেন হিসেবে অভিনয় করলেও অচিরেই তিনি বাংলা চলচ্চিত্রে প্রধান ভিলেন হিসেবে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করেন। বলছি ঢাকাই চলচ্চিত্রের দর্শকপ্রিয় অভিনেতা মিশা সওদাগরের কথা। দেখতে দেখতে ক্যারিয়ারের ৩৩ বছর পার করলেন এই অভিনেতা।

১৯৬৬ সালের ৪ জানুয়ারি পুরান ঢাকার একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে মিশা সওদাগর জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ওসমান গনি ও মা বিলকিস রাশিদা। তাদের তিন পুত্র ও দুই কন্যার মধ্যে মিশার অবস্থান চতুর্থ। ব্যক্তিগত জীবনে তিনিও দুই পুত্রের বাবা। ১৯৮৬ সালে এফডিসি আয়োজিত নতুন মুখ কার্যক্রমে নির্বাচিত হয়ে সিনেমায় যাত্রা শুরু করেন মিশা সওদাগর। ছটকু আহমেদ পরিচালিত ‘চেতনা’ সিনেমার মধ্য দিয়ে ১৯৯০ সালে নায়ক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। ‘অমরসঙ্গী’ সিনেমাতেও তিনি নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন, কিন্তু দু’টির একটিতেও ব্যবসায়িক সাফল্য পাননি।



পরবর্তীতে বেশ কয়েকজন পরিচালক তাকে ভিলেন হিসেবে অভিনয়ের পরামর্শ দেন। প্রথম তমিজ উদ্দিন রিজভীর ‘আশা ভালোবাসা’ সিনেমাতে ভিলেন চরিত্রে অভিনয় করেন মিশা। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ভিলেন হিসেবে নিজেকে বড় পর্দায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। হুমায়ুন ফরীদিকে দেখে নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করতে আগ্রহী হন মিশা। এ কারণে ফরীদিকে তিনি বলেন, ‘আত্মিক ওস্তাদ’।

মিশার প্রকৃত নাম শাহিদ হাসান। তবে সিনেমায় আসার পর স্ত্রী মিতার নামের ‘মি’ এবং নিজের নামের ‘শা’ একসঙ্গে করে নিজেই নাম রাখেন মিশা। তার দাদার নাম থেকে সওদাগর টাইটেল নিয়ে নিজের পুরো নামকরণ করেন মিশা সওদাগর।



অভিনয়ের পাশাপাশি ২০১৩ সালে ফাগুন অডিও ভিশনের বিশেষ অনুষ্ঠান পাঁচফোড়ন-এর সঞ্চালক হিসেবে দেখা যায় মিশা সওদাগরকে। পূর্বে তিনি ফাগুন অডিও ভিশনের ইত্যাদি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এছাড়া একই বছর তিনি মাহফুজ আহমেদের পরিচালনায় আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে নাটকে অভিনয় করেন। নাটকে অভিনয় প্রসঙ্গে মিশা বলেন, আমার কাছে প্রচুর নাটকের প্রস্তাব আসে। কিন্তু আমি নাটকে কাজ করি না। এই নাটকে অভিনয় করতে রাজি হয়েছি মাহফুজ আহমেদের অনুরোধের কারণেই।

মিশা অভিনীত প্রথম টেলিভিশন নাটক হল একুশে টেলিভিশনে প্রচারিত জুয়েল মাহমুদের ললিতা।



এদিকে কাজের সম্মাননা হিসেবে দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও অর্জন করেছেন এই অভিনেতা। ক্যারিয়ারের ৩৩ বছর নিয়ে এই মিশা সওদাগর বলেন, আমার এই দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ নির্মাতাদের সাথে কাজ করেছি। শুধু তাই নয় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অভিনেতা-অভিনেতাদের সাথে আমি অভিনয় করেছি। রাজ্জাক ভাই, ফারুক ভাই, ওয়াসিম ভাই, সোহেল রানা ভাই, জাভেদ ভাই, ইলিয়াস কাঞ্চন ভাই, জসীম ভাই, ববিতা আপা, কবরী আপা, শাবানা আপা, সুচরিতা আপা, চম্পা আপা, দিতি ম্যাডামও বাংলাদেশের বড় সব সুপারস্টারদের বুকে গিয়েছি আমি। সবার ভালোবাসায় আজ আমি এই জায়গায়। আসলে কিভাবে এত দ্রুত ৩৩ বছর হয়ে গেলো তা বুঝতেই পারলাম না। দর্শকদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, তাদের ভালোবাসায় আমি আজকের এই মিশা সওদাগর।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭