যেকোনো ক্লাবের খারাপ সময় আসতেই পারে। কিন্তু ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ক্ষেত্রে বিষয়টি মনে হচ্ছে একটু বেশিই খারাপ। আসলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কী হয়েছে তা কেউ বলতে পারছে না। শনিবারের খেলায় আবারও সেটা প্রমাণ করলো ইউনাইটেড। ব্রাইটনের কাছে ২-১ গোলের হার দিয়ে প্রিমিয়ার লিগের ২০২২-২৩ মৌসুম শুরু করা ইউনাইটেড শনিবার রাতে ব্রেন্টফোর্ডের কাছে হেরেছে ৪-০ গোলে।
পয়েন্ট তালিকার ছয় নম্বরে থেকে গত মৌসুম শেষ করার পর অনেক পরিবর্তন এসেছে ওল্ড ট্রাফোর্ডে। আয়াক্স থেকে আনা হয়েছে নতুন কোচ এরিক টেন হাগকে। নতুন মৌসুমে তাই নতুন আশায় বুক বেঁধেছিলেন ইউনাইটেড সমর্থকেরা। কিন্তু মৌসুম শুরুর পর দেখা গেল, এ তো সেই পুরোনো ইউনাইটেডই। কিংবা হয়তো এর চেয়েও খারাপ!
হারের চেয়েও ইউনাইটেড সমর্থকদের কাছে হতাশাজনক হারের ধরনটা। ম্যাচের প্রথমার্ধেই ৪টা গোল খেয়েছে ইউনাইটেড। প্রিমিয়ার লিগের কোনো ম্যাচে ইউনাইটেডের জালে বিরতির আগেই ৪ গোল দেওয়া তৃতীয় দল ব্রেন্টফোর্ড।
১০ মিনিটেই জশ দাসিলভার গোলে সেই যে ইউনাইটেডের গোলমুখ খুলেছে, সেটা আর বন্ধ করার উপায়ই যেন খুঁজে পাচ্ছিলেন না দলটির ডিফেন্ডাররা। ১৮, ৩০ ও ৩৫ মিনিটের সময় হলো আরও তিনটি গোল। প্রিমিয়ার লিগ যুগে এত অল্প সময়ে আর কখনো ৪ গোল খায়নি ইউনাইটেড। একে অন্যের দিকে চেয়ে হা হুতাশ করা ছাড়া যেন আর কিছুই করার ছিল না ইউনাইটেড খেলোয়াড়দের।
মৌসুমের শুরুতেই ইউনাইটেড ছাড়তে চেয়ে অনেক জোরাজুরি করেছেন পর্তুগিজ উইঙ্গার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। কেন করেছিলেন, সেটা এই দুটি ম্যাচ দেখে বোঝা যাচ্ছে। রক্ষণভাগের অস্তিত্ব বোঝা যায় না, এমন একটা দলে রোনালদো কেন খেলবেন!
এই ম্যাচের আগে কোচ টেন হাগ বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়েই বলেছিলেন, ‘আমি নিশ্চিত, আমি পারব ইউনাইটেডকে জয়ের ধারায় ফেরাতে। আমি সব জায়গায় এটাই করে এসেছি। কিন্তু এই প্রক্রিয়াটায় সময় লাগবে। এটাই নিয়ম।’
ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর মনে হচ্ছে, সেই সময় কি আদৌ পাবেন টেন হাগ? ইউনাইটেড এ রকম আর দু-একটা ম্যাচ খেললে তো তার চাকরিতেই টান পড়বে।