ইনসাইড গ্রাউন্ড

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলেই ব্যালন ডি'অর?


প্রকাশ: 14/08/2022


Thumbnail

ফুটবলারদের ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের জন্য দেওয়া হয়ে থাকে ব্যালন ডি'অর। সেই ধারাবাহিকতায় অন্য বছরেরে মতো এবারো প্রকাশিত হয়েছে ব্যালন ডি’অরের ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা। এই তালিকায় নেই লিওনেল মেসির নাম। শুধু মেসিই নয়, তালিকায় নেই তার বন্ধু ও সতীর্থ নেইমারের নামও।

তবে, মেসি-নেইমারের নাম না থাকলেও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ঠিকই নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন।

২০০৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১৪ বছরের মধ্যে মোট ১৩ বার দেওয়া হয়েছে পুরস্কারটি (কোভিডের কারণে ২০২০ সালে দেওয়া হয়নি)। এই সময়ে মেসি জিতেছেন রেকর্ড সাতবার আর রোনালদো পেয়েছেন পাঁচবার।

মাঝে ব্যতিক্রম কেবল ২০১৮ সালে, সেবার সেরা হয়েছিলেন লুকা মদ্রিচ। রিয়াল মাদ্রিদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় ও ক্রোয়েশিয়াকে রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলতে মুখ্য ভূমিকা ছিল তারকা এই মিডফিল্ডারের। তবে কি লিভারপুল কোচের কথা মত চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জিতলে তবেই মিলবে এই উপাধী? 

ব্যালন ডি’অরের জন্য আগে পুরো বছরের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নেওয়া হলেও গত মার্চে নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়। এই বছর থেকে বিবেচনা করা হচ্ছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের পুরো একটি মৌসুমের সময়কে (অগাস্ট-জুলাই)।

এইবারের ব্যালন ডি'অর এর লড়াইয়ে এগিয়ে আছেন স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ ফরওয়ার্ড করিম বেনজেমা। গত মৌসুমে রিয়ালের রেকর্ড ১৪তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে বড় অবদান ছিল তার। ছিলেন আসরের সর্বোচ্চ স্কোরার (১৫)। এর মধ্যে ১০টিই করেন নকআউট পর্বে। একের পর এক ম্যাচে রিয়ালের রূপকথার প্রত্যাবর্তনের নায়ক তিনি।

লা লিগায় রিয়ালের শিরোপা জয়েও তিনি রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ৩২ ম্যাচে ২৭ গোল করে লিগে তিনি গোল স্কোরারের তালিকায় যোজন যোজন এগিয়ে ছিলেন বাকিদের চেয়ে।

শুধু ক্লাব ফুটবলেই নয়, জাতীয় দলে গত অক্টোবরে ফ্রান্সের নেশন্স লিগ জয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বেনজেমা। চার দলের ফাইনালসের সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে একটি করে গোল করেন তিনি। শুক্রবার প্রকাশিত উয়েফার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের লড়াইয়ে শীর্ষ তিন জনের তালিকায়ও আছেন তিনি।

এদিকে, গত কয়েক মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে তো রীতিমতো ‘গোল মেশিন’ হয়ে ওঠেন লেভানদোভস্কি। সেই ধারাবাহিকতায় গত মৌসুমে দলটির টানা দশম বুন্ডেসলিগা শিরোপা জয়েরও কারিগর তিনি। ৩৫ গোল করে তিনিই ছিলেন আসরের সর্বোচ্চ স্কোরার। ক্লাবের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৬ ম্যাচে জালের দেখা পান ৫০ বার।

মানেও পিছিয়ে নেই। সেনেগালকে আফ্রিকান নেশন্স কাপের শিরোপা এনে দেওয়ার পর আসন্ন ফুটবল বিশ্বকাপ কোয়ালিফাই করানোর মূল কারিগর এই ফরোয়ার্ড। অন্যদিকে লিভারপুলের হয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে করেছেন ১৬ গোল। রেডদের এফএ কাপ এবং লিগ কাপ জয়ের গর্বিত সদস্যও ছিলেন তিনি।

বেনজেমা, লেভান্দস্কি কিংবা মানে, কেউই আগে ব্যালন ডি’অর জেতেননি। একটা লম্বা সময় ধরে এটির লড়াই সীমাবদ্ধ ছিল কেবল মেসি ও রোনালদোর মধ্যে। গত কয়েক বছরে তাদের সেই ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়েছে। এই দুজন বাদে শুধু লুয়াক মদ্রিচ একবার জিতেছেন। ব্যক্তিগতভাবে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখানোর পাশাপাশি তাদের ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাটাও রেখেছে বড় ভূমিকা। এবারও কি তবে তাই হতে যাচ্ছে? সেই উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হবে ব্যালন ডি অর বিজয়ী ঘোষনার দিন পর্যন্ত।

আগামী ১৭ অক্টোবর প্যারিসে জাঁকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঘোষণা করা হবে এবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ীর নাম।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭