ইনসাইড টক

‘১৪ দলের কর্মসূচি দেওয়া, না দেওয়া সেটা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব’


প্রকাশ: 14/08/2022


Thumbnail

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেছেন, ১৪ দলীয় জোটের সদস্য হিসেবে আমরা তো চাই ১৪ দলীয় জোট সক্রিয় হোক। এ ব্যাপারে আমাদের প্রচেষ্টার কোনো ঘাটতিও নাই। গতকাল শনিবার ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ওয়ার্কার্স পার্টির আয়োজিত এক আলোচনা সভা করেছি। সেখানে ১৪ দলের সমন্বয়কারী এবং মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আমরা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড নিয়ে আলোচনা সভা করেছি। ওই আলোচনা সভায় ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু উনিও উপস্থিত ছিলেন। সুতরাং এ ব্যাপারে আমাদের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। 

সাম্প্রতিক সময়ের বাংলাদেশের বিভিন্ন সংকটসহ রাজনীতিতে ১৪ দলীয় জোটের নিষ্ক্রিয় এবং বর্তমান সংকটের কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থাও শ্রীলঙ্কার মতো হবে কিনা ইত্যাদি নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় ফজলে হোসেন বাদশা এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য ফজলে হোসেন বাদশা এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।

ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, এখন রাজনীতিতে বিভিন্ন দল সরকার বিরোধী আন্দোলন করছে। ১৪ দলীয় জোট আমরাও চাই তাদের সে আন্দোলনকে প্রতিহত করতে। তবে যারা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তাদেরকে তো একটা আদর্শে ভিত্তিতে লড়াই করতে হবে। সেটা কিন্তু হচ্ছে না। আদর্শের বাইরে অন্য কোনোভাবে করলে তো সেটা যুক্তি সঙ্গত হবে না এবং আন্দোলন করলে সঠিক রাজনীতির ভিত্তিতেই করতে হবে। আমরাও চাই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে একটা ভালো নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হোক। কিন্তু সেটা অবশ্যই যেন আদর্শের ভিত্তিতে হয়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের নিজেদের দলীয় কর্মসূচি নিয়ে আমরা মাঠে আছি কিন্তু ১৪ দলীয় কর্মসূচি তো আমরা দিতে পারি না। কারণ সমন্বয়কারী ওয়ার্কার্স পার্টি নয়। সেটা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন রয়েছে। তাই ১৪ দলের কর্মসূচি দেওয়া, না দেওয়া সেটা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব। তবে আমাদের দিক থেকে প্রচেষ্টার কোনো ঘাটতি নেই। আমরা চাই ১৪ দলীয় জোট মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকুক।

বর্তমান পরিস্থিতিতে জোট ভেঙ্গে যাওয়ার কোনো আশঙ্কা আছে কিনা জানতে চাইলে ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ১৪ দলীয় জোটের মধ্যে থাকা অন্যান্য দুই-একটি দল সরকারের বিরোধিতা করে কথা বলছে। তার মানে জোট ভেঙ্গে যাবে সেটা কিন্তু নয়। একটি দল তার নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করতেই পারে। সেটা তার অধিকার। বিশেষ করে এখন যে বিষয়গুলো নিয়ে কথা হচ্ছে সেগুলো হলো সরকারের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করাকে কেন্দ্র করে। কিন্তু জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে সরকার। এখানে ১৪ দলের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তাছাড়া যারা সরকারের বিরোধিতা করে কথা বলছে সেটা তারা তাদের মতামত জানাচ্ছে। সেটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। গণতন্ত্র চর্চা করতে গিয়ে সেটা যদি কারো বিপক্ষে চলে যায় তার মানে তো তার বিরোধিতা করা নয়। সুতরাং ১৪ দলের ভাঙন কিংবা জোটের মধ্যে দূরত্ব এ বিষয়গুলো অপ্রাসঙ্গিক বিষয়। তবে যেহেতু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে এবং দলটি ১৪ দলীয় জোটের একটি অংশ। সেহেতু জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির করার আগে এই নিয়ে জোটের মধ্যে আলোচনা করলে হয়তো এখন যে বিষয় গুলো নিয়ে মত পার্থক্য তৈরি হয়েছে, সেগুলো থাকত না।

তিনি আরও বলেন, অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন যে, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যেতে পারে। আমি মনে করি এ ধরনের কোনো আশঙ্কা করা যুক্তি নেই। কারণ শ্রীলঙ্কা যে শ্রীলঙ্কা হয়েছে বা তাদের যে অর্থনৈতিক বিপর্যয় হয়েছে, সেটা হয়েছে সেদেশের সরকারের দুঃশাসনের কারণে। সেই দুঃশাসনের কারণেই শ্রীলঙ্কার আজকের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কিন্তু সে জায়গায় থেকে বাংলাদেশের এ ধরনের কোনো সম্ভাবনা আছে বলে আমার মনে হয় না।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭