ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সামরিক শক্তিতে কতটা এগিয়ে মিয়ানমার?


প্রকাশ: 23/09/2022


Thumbnail

সামরিক শক্তির দিক থেকে প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশের তুলনায় বেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে মিয়ানমার। বাংলাদেশের থেকেও দেশটির অবস্থান শক্তিশালী।

অং সান সুচির রাজনৈতিক দল এনএলডি নির্বাচনে বিজয়ের পর ক্ষমতায় তাদের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুর ঠিক আগে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশোটির ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। 

ওই অভ্যুত্থানের পর দেশটির ওপর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এর যৌথ নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে এক রকম বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে মিয়ানমার। কিন্তু তা সত্ত্বেও ক্রমশ সামরিক সামর্থ্য বাড়িয়ে চলছে এশিয়ার এই দেশটি। সমরাস্ত্র কেনাও থেমে নেই মিয়ানমার সেনাবাহিনীর।

মিয়ানমারের যুদ্ধ বহর চলতি বছর বিশ্বের ১৪২টি রাষ্ট্রের সামরিক সামর্থ্যের একটি সূচক প্রকাশ করেছে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার নামে একটি সংস্থা। এই সূচকে ৩৯ নম্বরে অবস্থান করছে মিয়ানমার। বাংলাদেশের অবস্থান এই তালিকায় ৪৬; অর্থাৎ সামরিক শক্তির দিক দিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৭ ধাপ এগিয়ে রয়েছে মিয়ানমার।

সূচক অনুযায়ী, সামরিক সামর্থ্যের দিক থেকে এখন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। তারপরেই রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত এবং জাপান।

এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সামরিক শক্তির দিক থেকে ১৮তম অবস্থানে আছে মিয়ানমার। দেশটির বহরে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র থেকে শুরু করে সাবমেরিন এবং নজরদারি করার সর্বাধুনিক প্রযুক্তি পর্যন্ত সবই রয়েছে। প্রতি বছর দেশটি তাদের সামরিক সামর্থ্য বাড়িয়ে যাচ্ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে তাদের প্রতিরক্ষা বাজেটের আকার। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স বলছে, ২০২২ সালে প্রতিরক্ষা খাতে মিয়ানমারের বরাদ্দ সাড়ে ২২৮ কোটি মার্কিন ডলার।

এই মুহূর্তে দেশটির সৈন্য সংখ্যাও কম নয়। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের ২০২২ সালের ইনডেক্স বলছে, দেশটির সেনাবাহিনীতে এখন সৈন্য সংখ্যা আনুমানিক সাড়ে চার লাখ এবং প্যারা-মিলিটারি বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৫০ হাজার। আকাশপথে মিয়ানমারের সামরিক সামর্থ্যও বেড়েছে গত কয়েক বছরে। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার সূচক অনুযায়ী, মিয়ানমারের রয়েছে ২৮০টি বিমানের এক বহর।

এসব বিমানের মধ্যে মধ্যে ফাইটার বা ইন্টারসেপ্টর এয়ারক্রাফট ৫৫টি, প্রশিক্ষণ বিমান ৯৩টি এবং আক্রমণ চালানোর জন্য সংরক্ষিত বিমানের সংখ্যা ২১টি।

এছাড়া ২৬টি যুদ্ধবিমান পরিবাহী যান, ৮০টি সামরিক হেলিকপ্টার ও ৯টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার রয়েছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীতে।

সামরিক যানের মধ্যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর মোট ট্যাংক রয়েছে ৬৬৪টি, সাঁজোয়া যান রয়েছে ১৫৮৭টি, স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারি গান বা কামান আছে ১৯০টি এবং, কামানের সংখ্যা ১৮৬৯টি এবং রকেট প্রজেক্টর রয়েছে ৪৮৬টি। দেশটির যুদ্ধবহরে নৌযান আছে মোট ১৫৫টি। তার মধ্যে ফ্রিগেট আছে ৫টি, ছোট যুদ্ধ জাহাজ কর্ভেটসে ৩টি, ১৩৩টি টহল জাহাজ রয়েছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি সাবমেরিনও আছে, সেই সঙ্গে মাইন ওয়ারফেয়ার ক্রাফট আছে দুইটি।
এছাড়া জনগণের ওপর নজরদারি করার জন্য ইসরায়েলের কাছ থেকে পেগাসাস নামের একটি সফটওয়্যারও কিনেছে মিয়ানমারের সামরিক সরকার। এই সফটওয়্যার দিয়ে মোবাইল ফোন হ্যাক করে গোপনে নজরদারি চালানো যায় যেকোন ব্যক্তির ওপর।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭