সোশ্যাল থট

একাত্তর টিভির নারী সাংবাদিকদের নিয়ে যা বললেন তসলিমা নাসরিন


প্রকাশ: 08/11/2022


Thumbnail

সম্প্রতি একাত্তর টেলিভিশনে আয়োজিত একাত্তর জার্নালের একটি টকশোতে বাকৃবির গবেষক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালকসহ অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিরা অধ্যাপক ড. জাকির হোসেনের প্রক্রিয়াধীন গবেষণামূলক কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং অশোভন ও আক্রমণাত্মক আচরণ করে। এরপর একাত্তর টেলিভিশনের ওই সাংবাদিকদের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠে। অনেকেই তাদের এই ধরণের আচরণের নিন্দা করেছেন। অধ্যাপক তসলিমা নাসরিনও তাদের সমালোচনা করেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া পোস্টে তিনি লেখন-

একাত্তর টিভিতে তিন মূর্খ মহিলা-সাংবাদিক একজন কৃষিবিজ্ঞানীর নতুন গবেষণা নিয়ে যেসব হাস্যকর, বিরক্তিকর, অশালীন, অশ্লীল, উদ্ভট মন্তব্য করেছেন, এবং গবেষককে যেভাবে অপমান আর অপদস্থ করেছেন তা দেখে হতবাক হয়ে গেলাম। বাংলাদেশ বলেই বোধহয় এমন গণ্ডমূর্খের দল শুধু সরকারের চাটুকারবৃত্তিতে পারদর্শিতার গুণে নানা প্রতিষ্ঠানের উচ্চস্থানে বসার সুযোগ পেয়েছেন। বিজ্ঞান সম্পর্কে, বৈজ্ঞানিক গবেষণা সম্পর্কে, গবেষণাপত্র প্রকাশ সম্পর্কে যাঁদের ন্যূনতম জ্ঞান নেই , তাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গবেষকের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করতে! একাত্তর টিভির উচিত ছিল গবেষকের নতুন গবেষণা নিয়ে আলোচনা করার জন্য গবেষণা সম্পর্কে সম্যক ধারণা আছে এমন একজন বিজ্ঞানী বা বিজ্ঞানমনস্ক কোনও জ্ঞানী ব্যক্তিকে নির্বাচন করা।

আজকাল টেলিভিশনে এমন হয়েছে, ঘটে দু'ছটাক বুদ্ধি নেই, এমন মেয়েদেরও টিভি ক্যামেরার সামনে কিছু বুলি শিখিয়ে বসিয়ে দেওয়া হয় যাদের সম্বল বলতে সুন্দর নাক চোখ মুখ, সুন্দর পোশাক আশাক, সুন্দর দেহসৌষ্ঠব। তারাই খবর পড়ে, তারাই রাজনীতিকের সঙ্গে আলোচনায় বসে, তারাই বিজ্ঞানীকে প্রশ্ন করে, অর্থনীতি বিষয়ে জ্ঞানদান করে, শিল্প সাহিত্য নিয়ে মত প্রকাশ করে। জনগণ এদের দেখছে প্রতিদিন, এরাই হয়ে উঠছে জনপ্রিয়, এরাই হয়ে উঠছে বরেণ্য বুদ্ধিজীবী।

দেশ যখন রসাতলে যায়, এভাবেই যায়।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭