ইনসাইড টক

‘ষড়যন্ত্রকারী একজনও যদি ঢুকে তাহলে এই ধরণের প্রশ্নের ঘটনা ঘটতে পারে’


প্রকাশ: 10/11/2022


Thumbnail

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন দায়িত্বশীল জায়গা থেকে দেখার কোনো সুযোগ নেই। যারা জানেনা, যাদের জ্ঞান নেই যে প্রশ্ন কিভাবে প্রণয়ন হয় তাঁরা এই ধরণের কথাবার্তা বলে। মন্ত্রী, সচিব, বোর্ডের চেয়ারম্যান -এরা কেউই দেখার কোনো সুযোগ নেই। প্রক্রিয়াটাই এরকম। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করার জন্য কলেজের শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। একজন শিক্ষক প্রাথমিকভাবে প্রশ্নটি তৈরি করেন এবং ৪ জন শিক্ষক এটি মডারেশন করে। এক্ষেত্রে অনেক সময় যে শিক্ষকদের ওপর ভরসা করা হয় তাঁরা দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করবে, দেখা যায় তাঁদের আসলে সেই যোগ্যতা নেই। সেই ধরণের প্রশ্ন তাঁরা করতে পারে না। তাদের সৃজনশীল প্রশ্ন করতে বলা হয়েছে, কিন্তু এদের নিজেদের কোনো সৃজনশীলতা নেই।

এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক প্রশ্ন, ব্যক্তিগত আক্রমণমূলক প্রশ্ন, মুদ্রণ ত্রুটিজনিত কারণে পরীক্ষা স্থগিতের ঘটনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।

অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, প্রশ্ন প্রণয়নের বিষয়টা এমন যে ঢাকা বোর্ডের প্রশ্ন করে খুলনা বোর্ড, আবার খুলনা বোর্ডের প্রশ্ন করে রাজশাহী বোর্ড, রাজশাহী বোর্ডের প্রশ্ন করে কুমিল্লা বোর্ড। এরপর লটারির মাধ্যমে আবার ঠিক করা হয় কোন প্রশ্ন কোথায় যাবে। যারা কর্মকর্তা পর্যায়ে থাকে তাদের এটার মধ্যে কাজ করার বা হাত দেয়ার কোনো সুযোগ নেই, দেখারও সুযোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, দায়িত্ব যেটা উচিৎ ছিলো যে, আমাদের যেসব শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের এই কাজটা করতে দেওয়া হয়েছে তাদের বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। যাদের সুনাম আছে, যারা সহজে কোনো ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত হবে না তাদের দায়িত্ব দিতে হবে।

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এমন প্রশ্ন কিনা সেটা খতিয়ে দেখা দরকার জানিয়ে অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, এমনও হতে পারে যে ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত যারা করে বা রাজনৈতিকভাবে সরকারকে হেয় প্রতিপন্ন করা অথবা বিশেষ কোনো সুবিধা নেয়া -এই ধরণের লোকজন যদি একজনও ঢুকে যায় তাহলে এই ধরণের ঘটনা ঘটতে পারে। এদের চিহ্নিত করে তাদের উদ্দেশ্যটা কি ছিল সেটা অনুযায়ী বোর্ডের ক্ষমতা অনুযায়ী তাদের শাস্তি দেওয়া, তাদের আজীবনের জন্য প্রশ্নপত্র প্রণয়ন থেকে বাতিল করা এবং পুলিশের মাধ্যমে তদন্ত করে এর মধ্যে কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছিলো কিনা সেটা বের করতে হবে। যদি জড়িত থাকে তাহলে পুলিশের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭