ইনসাইড টক

‘চন্দ্রিমা উদ্যোনে জিয়ার মাজার বানিয়ে জাতিকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে’


প্রকাশ: 12/11/2022


Thumbnail

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু বলেছেন, বাঙালি জাতির এক কলঙ্কমুক্ত অধ্যায় হলো ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ নামক কালো আইন জারি করা। জিয়া-মোশতাক সরাসরি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে অংশ না নিলেও জিয়ার ভূমিকা অনেক রহস্যজনক। বিশেষ করে খুনিদের উঁচু কূটনৈতিক পদে চাকরি দেয়া এবং ১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনি মর্যাদা দিয়ে পঞ্চম সংশোধনী আইন প্রণয়ন করা। তথাকথিত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ যে শুধু বন্দুকধারী খুনিদের জন্য রক্ষাকবচ তৈরি করা হয়েছিল, তা নয় এতে সুরক্ষা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত সব ষড়যন্ত্রকারীদেরও। এখন জিয়ার বিচার করা যাবে না এমন কোনো ইনডেমনিটি নেই। কিন্তু এরপর বিএনপি জিয়া হত্যার বিচার করতে পারেনি। কারণ তারা বিষয়টি ভালোভাবে জানে। 

আজ ১২ নভেম্বর। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল দিবস। ১৯৯৬ সালে ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর সপ্তম জাতীয় সংসদে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ নামক ইতিহাসের কালো আইনটি বাতিল করা হয়। এ নিয়ে বিষয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।

অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, জিয়া হত্যার বিচার করা যাবে না বলে তো ইনডেমনিটি নেই। বরং জিয়ার যখন কোনো অস্থিতই পাওয়া যায়নি, তার পুরো শরীর ভস্থ হয়ে গেছে। কিন্তু বিএনপি সেই ভস্থ এনে চন্দ্রিমা উদ্যোনে সমাধিস্থ করে সেখানে একটি মাজার বানিয়েছে। চন্দ্রিমা উদ্যোনে জিয়ার মাজার বানিয়ে জাতি এক ধরনের ব্ল্যাক মেইল করা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে কথনোই জিয়া হত্যার বিচার চাননি। সুতরাং ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারির পেছেনে জিয়ার ভূমিকা সত্যিই রহস্যজনক। কোনো বাধা না থাকা স্বস্তেও তারা সেটি করেনি। তার মানে হচ্ছে তারা প্রকৃত ঘটনা জানে। আর তারা সেটা জেনে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিয়েছে। তাদের কোনো মিছিল মিটিংয়ে কখনোর বিচার চায়নি। 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধি বিনিময় চুক্তি থাকার দরকার। অর্থাৎ এই দেশের নাগরিক যদি ওই দেশে বন্ধি থাকে বা তাদের কোনো নাগরিক আমাদের দেশে বন্ধি থাকে সে আইনের আওতায় সহজে আনা যায়। কিন্তু সেটি নেই। তাছাড়া বঙ্গবন্ধুরা খুনীরা আসলে কোথায় আছে সেটিও পরিষ্কার নয়। তাদের অবস্থান সম্পর্কে মাঝে মাঝে বিভিন্ন তথ্য শোনা গেলেও সেগুলো সুস্পষ্ট নয়। তারপরও কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো হচ্ছে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে। এখন এটার আলোকে নতুন করে যদি বন্ধি বিনিময় চুক্তি করতে হয় তাহলে খুনীদের সহেজে আনা যাবে। কিন্তু সেটা না থাকার কারণে সম্ভব হচ্ছে না। সরকার প্রশাসনিকভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে কিন্তু বাধ্য করতে পারছে না। 


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭