প্রকাশ: 23/11/2022
বিখ্যাত জাহাজ টাইটানিকের
কথা কে না শুনেছে। ১৫ এপ্রিল, ১৯১২ সালে
জাহাজটির প্রথম সমুদ্রযাত্রায় সাউথহ্যাম্পটন থেকে নিউ ইয়র্ক সিটি যাওয়ার পথে হিমশৈলের সঙ্গে সংঘর্ষে উত্তর অ্যাটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায়। এটি ঐ
সময়ের সবচেয়ে বৃহৎ আধুনিক ও বিলাসবহুল যাত্রীবাহী জাহাজ ছিল।
এবার আবারও একদল ডিজাইনার এক দানবীয় জাহাজ
নির্মানের স্বপ্ন দেখছেন। স্বপ্ন সত্যি হলে বিশ্বের বৃহত্তম জাহাজের তকমা দখল করে নেবে,প্যাঞ্জিওস।
সামুদ্রিক কচ্ছপের মতো দেখতে প্যাঞ্জিওস-এর নকশা করেছে ইতালির কোম্পানি লাজ্জারিনি’র
ডিজাইনাররা।
কল্পিত ভাসমান শহরটির নামকরণ করা হয়েছে সুপারকন্টিনেন্ট
প্যাঞ্জিয়া’র নামানুসারে। প্যাঞ্জিয়া নামটি অপরিচিত মনে হলেও এই সুপারকন্টিনেন্ট ভেঙ্গে
বেড়িয়ে আসা ভূখণ্ডের ওপরই গড়ে উঠেছে আজকের মানব সভ্যতা।
২০ থেকে ৩৩ কোটি ৫০ লাখ বছর আগে অস্তিত্ব ছিল এই সুপারকন্টিনেন্টের।
হালের এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপসহ মহাদেশীয় ভূখণ্ডের সবগুলোই ছিল প্যাঞ্জিয়ার অংশ। ভূপৃষ্ঠের
ওপরের স্তরের টেকটোনিক প্লেটের নড়াচড়ায় প্যাঞ্জিয়া ভেঙ্গেই সাত মহাদেশের উৎপত্তি। আর
লাজ্জারিনির ডিজাইনারদের ভাবনাতেও প্যাঞ্জিয়া’র প্রভাব স্পষ্ট।
আটশ কোটি ডলার খরচ করেই জাহাজটি নির্মাণ সম্ভব বলে জানিয়েছেন এর ডিজাইনাররা।
লাজ্জারিনির
নকশা অনুযায়ী,প্যাঞ্জিওসের দৈর্ঘ্য হবে ৫৫০ মিটার বা ১ হাজার ৮০০ ফুট এবং প্রস্থ হবে
৬১০ মিটার বা ২ হাজার ফুট। বিলাসবহুল ইয়ট নির্মাণের ভাবনা নতুন মাত্রা পেয়েছে লাজ্জারিনির
ডিজাইনারদের পরিকল্পনায়। প্যাঞ্জিওসে হোটেল, শপিং মল,পার্ক এমনকি আকারে ছোট জাহাজের
জন্য ঘাট এবং হেলিকপ্টার অবতরণের জন্য যথেষ্ট জায়গা থাকবে বলে দাবি তাদের।
তবে,
পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় প্যাঞ্জিওসের নির্মাণ সম্ভব নয়।পৃথিবীর সবচেয়ে আধুনিক ও সক্ষম
জাহাজ নির্মাতাদের হাতেও নকশা অনুযায়ী প্যাঞ্জিওস নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা
নেই। তাই,এ ভাসমান শহর নির্মাণের আগে ,এর নির্মাণ কারখানা স্থাপনের জায়গা খুঁজছেন ডিজাইনাররা।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭