ইনসাইড পলিটিক্স

মেঘনা বিভাগ নিয়ে বিরোধিতা: নেপথ্যে আওয়ামী লীগ


প্রকাশ: 23/11/2022


Thumbnail

আগামী রোববার বাংলাদেশে আরো নতুন বিভাগ চালু হতে যাচ্ছে। এই প্রথম জেলার নাম ছাড়া দুটি বিভাগ চালু চালু করা হচ্ছে। বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে ইতিমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী রবিবার প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) বৈঠকে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন হবে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচটি জেলা নিয়ে পদ্মা এবং বৃহত্তর কুমিল্লার তিনটি এবং নোয়াখালীর তিনটি মোট ছয়টি জেলা নিয়ে মেঘনা বিভাগ গঠিত হবে। এই প্রথম নদীর নামে দুটি বিভাগ গঠিত হচ্ছে এবং পুরনো জেলার নাম বাদ দিয়ে বিভাগ গঠিত হচ্ছে। এর আগে রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, চট্টগ্রাম, ময়মনসিং, খুলনা, বরিশাল ইত্যাদি সব বিভাগই প্রাক্তন জেলার নামে হয়েছিল। এবারই প্রথম জেলার বাইরে পদ্মা এবং মেঘনা নিয়ে আলাদা বিভাগ গঠিত হতে যাচ্ছে।

জানা গেছে যে কুমিল্লা নামটি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আপত্তি থাকার কারণে তিনি কুমিল্লা দিয়ে বিভাগ করতে চান না। এখানে মেঘনা বিভাগ করার ব্যাপারে তিনি সিদ্ধান্ত নেন এবং সেই সিদ্ধান্তটি মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। এর আগেও প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লা নামে বিভাগ করার ক্ষেত্রে তার আপত্তি সরাসরি জানিয়েছেন এবং সেই সময় কুমিল্লা আওয়ামী লীগের নেতা বাহার এর প্রতিবাদ করেছিলেন। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি বাহজে লিপ্ত হয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তার অবস্থান থেকে এতটুকু সরে আসেননি। এখন যখন আনুষ্ঠানিকভাবে মেঘনা বিভাগ হতে যাচ্ছে তখন কুমিল্লায় এটি নিয়ে আপত্তি এবং উত্তেজনা সৃষ্টির একটি পাঁয়তারা চলছে। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একটি মহল সেখানে প্রতিবাদ, আন্দোলন এবং বিক্ষোভের পরিকল্পনা তৈরি করছে।

একাধিক সূত্র জানিয়েছে যে, মেঘনা বিভাগ ঘোষিত হওয়ার পর কুমিল্লায় এর প্রতিবাদ করা হবে এবং কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়ন কমিটি (যার নেতা হলেন আওয়ামী লীগের নেতারা বাহার) এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ করবেন বলেও জানা গেছে এবং কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করার কথা শোনা যাচ্ছে। তবে সরকার দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, সকল বিষয় বিবেচনা করেই মেঘনা বিভাগ নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। কাজেই এটাকে কুমিল্লা করার কোন সুযোগ নাই।

উল্লেখ্য যে, কুমিল্লার দাউদকান্দি কুখ্যাত খুনি পঁচাত্তরের ঘাতক মোশতাকের আবাসভূমি। এজন্য কুমিল্লা নামে বিভাগ করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত রিজার্ভেশন ছিল এবং তিনি সেটি প্রকাশ্যেই বলেছেন। তবে আওয়ামী লীগের বাহার পন্থীরা বলছেন যে, যে একজন ব্যক্তির কারণে কুমিল্লা কলঙ্কিত হতে পারেনা। খন্দকার মোশতাক কুমিল্লার কুসন্তান। তবে এছাড়াও অনেক বড় বড় নেতা এবংমনিষী রয়েছেন। তাদেরকে বাদ দিয়ে শুধু কেনো মোস্তাকের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। অবশ্য প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্ট হয়ে জানিয়ে দিয়েছেন কু নাম দিয়ে কোন বিভাগ করার ইচ্ছা তার নাই। এখন দেখার বিষয় রোববারে নিকার’র বৈঠকে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন হওয়ার পর আওয়ামী লীগের এই অংশ কি ধরনের প্রতিবাদ করেন এবং কুমিল্লা এর প্রতিক্রিয়া কি হয়। 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭