প্রকাশ: 25/11/2022
আজ ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে ফর দ্য এলিমিনেশন অব ভায়োলেন্স এগেইনস্ট উইমেন’ বা আন্তর্জাতিক
নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ১৯৮১ সালে লাতিন আমেরিকায়
নারীদের এক সম্মেলনে ২৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস পালনের ঘোষণা
দেওয়া হয়। আর জাতিসংঘ দিবসটি পালনের স্বীকৃতি দেয় ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর।
নারীর আত্মমর্যাদা এবং সম্মান বাড়াতে নারীকেই আওয়াজ তুলতে হবে। নারীকে তার শক্তির জাগরণ ঘটাতে হবে। নারীর প্রতি সহিংসতামুক্ত দেশ আর নির্যাতন প্রতিরোধে চাই নারীর আওয়াজ। আর সেই আওয়াজ গুলো নিয়ে আজকের প্রতিবেদন। আর এই প্রতিবেদনে আওয়াজ তুলেছেন ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লি: (বিজ্ঞাপনী সংস্থা) এবং বাংলা ইনসাইডারের নারী কর্মীবৃন্দ।
‘শুধু
মাত্র নারী বলে সমাজে যেসব সহিংসতা চলে আসছে তা যেন এই উন্নত মানব সভ্যতাকে চোখে আঙ্গুল
দিয়ে মনে করিয়ে দেয় যে আমরা আজও বর্বর চিন্তার মননে। পরিবার থেকে শু করে রাস্তা-ঘাট,
কর্মক্ষেত্র, শিক্ষাঙ্গন সবখানে নারী এই সর্বগ্রাসী সহিংসতার স্বীকার। শিশু থেকে বয়স্ক
সকল বয়সের সকল পেশার সব শ্রেণীর নারী ভুক্তভোগী বিভিন্ন ধরনের সহিংসতায়। শারীরিক, মানসিক,
অর্থনৈতিক, সামাজিক সব ধরনের সহিংসতার স্বীকার হতে হয় নারীকে এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ
ব্যবস্থায়। নারীর প্রতি সহিংসতা নানা সময়ে নানা ধরনের প্রতিবাদ হয়। নারী পুরুষ সবাই
সম্মিলিত ভাবে প্রতিবাদ করে তখন আমরা আশার আলো দেখতে পাই। কিন্তু যতদিন নারী তার নিজের
যোগ্যতা আর ক্ষমতা দিয়ে আওয়াজ তুলে ধরবে ততক্ষণ এর সমাধান হবে না। তাই নারীকে সব ধরনের
সহিংসতা যে ‘না’ বলে আওয়াজ তুলেতে হবে।’
কাজী
ফাহমিদা মজিদ,
হেড অব রিসার্চ এন্ড প্রোগ্রাম, ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লি:
এইচ আর এক্সিকিউটিভ, ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লি:
‘সময়ের
পরিবর্তন ঘটেছে কিন্তু নারী ও নারীর প্রতি সহিংসতা কমেনি বরঞ্চ সর্ব স্থানেই ঘটছে।
ইরানের হিযাব আন্দোলনে মাহসা আমিনী তার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ যেখানে ধর্মকে সামনে এনে
নারীকে আঘাত করা হয়েছে ধর্মের নামে। এটা ততদিন চলবে যতদিন না এটাকে বন্ধ করা হবে। নারীর
প্রতি সহিংসতা পৃথিবীর যেকোনো সমাজেই শাস্তি যোগ্য অপরাধ। কিন্তু এর কার্যকারিতা নিয়ে
কমবেশি সমাজেই ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি পূরণ এখন সময়ের দাবী।’
মাইশা
আলিয়া
রিসার্চ এসোসিয়েট, ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লি:
রিসার্চ এসোসিয়েট, ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লি:
রিপোর্টার, বাংলা ইনসাইডার
‘আমরা আধুনিক যুগে অনেক আগেই প্রবেশ করেছি কিন্তু নারীর প্রতি সহিংসতা কোনো দিক থেকেই কমেনি। বরং দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। ঘরে কিংবা বাইরে সবখানেই নারীকে পড়তে হয় নানা অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে।
পাবলিক বাসে উঠতে গেলে নারী বলে অনেক সময় উঠতে দিতে চায় না হেলপার। কারণ নারীদের জন্য নাকি বেশি জায়গা লাগে, তারা দাড়িয়ে যেতে পারবেন না। তাহলে এই কর্মজীবী নারীরা কি করবেন? তাদের সবার পক্ষে কি পার্সোনাল ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করা সম্ভব? এটাও এক ধরনের সহিংসতা। আমি প্রায়ই এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হই। একজন কর্মজীবী নারী হিসেবে আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট কিংবা রাস্তাঘাট সবখানেই নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ হোক। নারীদের প্রতিদিনকার যাতায়াত নিরাপদ হোক।’
অন্তরা পিংকি
সাব-এডিটর, বাংলা ইনসাইডার
নারী
তুমি তোমার আওয়াজ তোলো। তোমার কিসের অভাব, যার কারণে আজও অপমান-অবিচার, শাসন-শোষণকে
নীরবে সয়ে যাচ্ছে! জীবনকে নিরাপদ করে তুলতে সরব প্রতিবাদে আওয়াজ তুলতে হবে। নারী তুমি
ভুলে যেও না তুমিও যোগ্য, তোমার সম্মানের মান আছে। নিজ শক্তিতে বলীয়ান হয়ে অন্যায়ের
বিরুদ্ধে সরব প্রতিবাদ করো।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭