ইনসাইড পলিটিক্স

১০ ডিসেম্বর: ঢাকায় ৫ রেড জোন


প্রকাশ: 01/12/2022


Thumbnail

আগামী ১০ ডিসেম্বর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কী হবে, তা নিয়ে নানামুখী আলাপ-আলোচনা চলছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, বিএনপি ১০ ডিসেম্বর সন্ত্রাস সহিংসতা সৃষ্টি করতে চায়। আর এ কারণেই তারা নয়াপল্টনে সমাবেশ করছে। ইতোমধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, ১০ ডিসেম্বর যেকোনো মূল্যে তারা নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করবে না। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, ১০ ডিসেম্বর যদি তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করে সেখানে নাশকতার আশঙ্কা রয়েছে কিন্তু। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, এ ধরনের ঘটনা একমাত্র বিএনপি করেছিল ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে, আওয়ামী লীগের এই সংস্কৃতি নেই। শেষ পর্যন্ত যাই হোক না কেন, ১০ ডিসেম্বরের রাজনীতিতে সন্ত্রাস-সহিংসতার সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আর এ কারণেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ১০ ডিসেম্বরকে ঘিরে একের পর এক বৈঠক করছেন, তারা শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং সহিংসতাকে কোনোভাবে প্রশ্রয় না দেয়ার ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। এই বাস্তবতায় ১০ ডিসেম্বরের আগে থেকে পাঁচটি রেড জোনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। যে পাঁচটি এলাকায় সন্ত্রাস, নাশকতা এবং অনভিপ্রেত ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে সেই ৫টি এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে থাকবে এবং কোনো রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য সজাগ থাকবে। যে পাঁচটি রেড জোন চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে-

১. নয়াপল্টন: নয়াপল্টন বিএনপির প্রস্তাবিত সমাবেশস্থল। বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশের জন্য বিএনপি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আর এ কারণেই পুরো নয়াপল্টন এখন রেড জোন মনে করা হচ্ছে। নয়াপল্টনে ৮ ডিসেম্বর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অবস্থান গ্রহণ করবে এবং সেখানে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে।

২. গুলশান: সরকারের পক্ষ থেকে গুলশানের বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন সংলগ্ন এলাকাকেও রেড জোন করা হয়েছে এবং সেখানেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য যথেষ্ট মোতায়েন থাকবে যেন কোনোরকম অনভিপ্রেত ঘটনা না ঘটে। একটি শঙ্কা রয়েছে যে, বেগম খালেদা জিয়াকে ১০ ডিসেম্বর বের করে নিয়ে আসা হতে পারে এবং তাকে সমাবেশে হাজির করা হতে পারে। আর এই কারণেই গুলশানে বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন সংলগ্ন এলাকাকে রেড জোন হিসেবে ডিক্লেয়ার করা হয়েছে।

৩. পুরান ঢাকা: পুরান ঢাকা ইশরাকের নির্বাচনী এলাকায় এবং এ কারণেই সেখান থেকে বড় ধরনের মিছিল এবং উচ্ছৃঙ্খল বিএনপির কর্মীরা যেকোনো উস্কানিমূলক ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এজন্য সূত্রাপুর-কোতোয়ালিসহ পুরান ঢাকার এলাকাকে রেড জোন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, যেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক অবস্থানে থাকবে।

৪. খিলগাঁও: মির্জা আব্বাসের বাড়ি এবং সংলগ্ন এলাকায় বিএনপির বিপুল সংখ্যক কর্মী থাকে এবং এখান থেকেও এক ধরনের উচ্ছৃঙ্খলতা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রচেষ্টা হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে খিলগাঁও রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

৫. কাকরাইল: নয়াপল্টন সংলগ্ন কাকরাইল এলাকায় বিএনপির বিকল্প অবস্থা হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং বিএনপির কর্মীরা সেখানেও সমবেত হতে পারে বলে অনেকেই ধারণা প্রকাশ করছেন। এ কারণে কাকরাইল এলাকাকেও রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে।

তবে এর বাইরেও মতিঝিল, শাহবাগসহ আরও কয়েকটি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে থাকবে বলে জানা গেছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭