ইনসাইড গ্রাউন্ড

দোহায় জাপানি রূপকথা


প্রকাশ: 02/12/2022


Thumbnail

এবারের বিশ্বকাপের চমক যেন থামছেই না। অন্যান্য বিশ্বকাপের থেকে তাই কাতারে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসরকে একটু আলাদাই বলা যায়। কাগজে-কলমে শক্তিশালী দলগুলোকে তুলনামূলক ছোট দলগুলো খাবি তো খাওয়াচ্ছেই, মাঠের খেলাতেও মন জয় করছেন ফুটবল প্রেমীদের। তেমনই আরেকটি ফুটবলীয় ক্ল্যাসিকের সাক্ষী হলো দোহার আল রাইয়ানের খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে আসা দর্শকরা। দুর্দান্ত প্রতাপে বিশ্বকাপ শুরু করা স্পেনকে ২-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে রাউন্ড অব সিক্সটিনে উঠে গেলো জাপান।

ম্যাচের শুরু থেকে দুই দলই চড়াও হওয়ার চেষ্টা করেন। ৭ মিনিটে সার্জিও বুসকেতসের শট বারের উপর দিয়ে চলে যায়। পরের মিনিটে ভাল সুযোগ তৈরি করেছিলো জাপান। তবে জুনায়া ইতোর শটটি সাইড নেটে লাগে। ৯ মিনিটে দানি ওলমোর শট সরাসরি গ্লাভসে জমা করেন জাপান গোলরক্ষক। ১২ মিনিটে দারুণ এক গোছালো আক্রমণে দলেক প্রথম সাফল্য এনে দেন আলভারো মোরাতা। সিজার আজপিলিকুয়েতার ক্রস থেকে হেডে গোল করে এগিয়ে ১-০ গোলে এগিয়ো দেন দলকে।

২৫ মিনিটে মোরাতা আরেকটি সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে অফ সাইডের ফাঁদে পড়েন তিনি। ৩৬ মিনিটে কামাদার নেয়া শট ফিরিয়ে দেন ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ফিরে প্রতিহত হয়। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে বুসকেতসকে ফাউল করে ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন কোউ ইতাকুরা। ৪২ মিনিটে দারি ওলমোর আরেকটি প্রচেষ্টা নষ্ট হয়। প্রথমার্ধের শেষ দিকে আরো দুটি হলুদ কার্ড দেখেন জাপানের ফুটবলাররা।

পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় জাপান। তবে বিরতির থেকে ফিরেই চমক দেখায় এশিয়ার দলটি। বাল্দের ভুলে স্পেনের রক্ষণভাগে বল পেয়ে যান জুনায়া ইতো। ৪৮ মিনিটে সেখান থেকে দুর্দান্ত এক শটে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান রিতসু ডোয়ান। সেই গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই আবার চমক জাপানের। দলকে সমতায় ফেরানোর পাঁচ মিনিট পর তার অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে জাপানকে এগিয়ে দেন আও তানাকা। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় জাপান। তবে বল লাইনের বাইরে চলে যাওয়ার আবেদন জানায় স্প্যানিশ ফুটবলাররা। বেশ খানিকটা সময় নিয়ে ভিএআর রেফারির সাথে আলোচনা করে গোলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন অনফিল্ড রেফারি।

খেলায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ৫৭ মিনিটে মোরাতা এবং নিকো উইলিয়ামসকে উঠিয়ে নেন লুইস এনরিকে। তাদের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন ফেরান তোরেস ও মার্কো অ্যাসেনসিও। ৬২ মিনিটে মায়েদা উঠিয়ে আসানোক মাঠে নামায় জাপান। ছয় মিনিট পর একাদশে আরো দুটি পরিবর্তন আনে স্পেন। গাভি-বাল্দের পরিবর্তে মাঠে ঢোকেন আনসু ফাতি ও জর্দি আলবা। ৭০ মিনিটে ব্যবধান আরো বাড়ানোর সুযোগ ছিলো জাপানের। তবে সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি বদলি হিসেবে নামা আসানো।

৭৪ মিনিটে অ্যাসেনসিও ও ৮০ মিনিটে ওলমো সুযোগ হারান দলকে সমতায় ফেরাতে। হতহাশা বাড়ে স্পেনের। ৮৩ মিনিটে ইতাকুরা আক্রমণে উঠলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি। দুই মিনিট পর অ্যাসেনসিও'র আরো একটি আক্রমণ প্রতিহত হয়।  দুই মিনিট দলকে সমতায় ফেরানোর সুযোগ হাতাছাড়া করেন অ্যাসেনসিও। ৮৯ মিনিটে অ্যাসেনসিও'র নেয়া শট আটকে দেন জাপানের গোলরক্ষক গন্দা। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে দানি ওলমোও ব্যর্থ হন দলকে সমতায় ফেরাতে।

রেফারির শেষ বাঁশি বাজার সাথে সাথে উল্লাসে ফেঁটে পড়েন জাপানের ফুটবলার ও সমর্থকরা। তিন ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে স্পেনকে টপকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউটে পর্ব নিশ্চিত করলো এশিয়ার দলটি। আর হারের তেতো স্বাদ পেলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে পরের রাউন্ডে চলে গেছে স্পেন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭