ইনসাইড টক

‘যে সরকারই আসুক তখন কিন্তু শিল্পীদের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যায়’


প্রকাশ: 02/12/2022


Thumbnail

সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক বলেছেন, নির্বাচন কিন্তু আজকে নতুন করতেছি না। আমি গতবার নমিনেশন তুলেছিলাম নির্বাচন করার উদ্দেশ্যে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গতবার আমাকে নমিনেশন দেয় নাই। কারণ, মনে করেছে যে সিদ্দিকুর রহমান এখনো পারফেক্টলি নৌকার মাঝি হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। গতবার আমি মধুপুর-ধনবাড়ি টাঙ্গাইল-১ আসন থেকে নমিনেশন পেপার ওঠিয়েছিলাম। সেখানে যেহেতু আমার মা থাকে, ডেফিনেটলি সেখানে আমার মায়ের জন্য যেতে হয়। আমি একটা মাকে দেখতে গিয়ে আমার মধুপুর ধনবাড়ীর সাড়ে চার লক্ষ মাকে আমি দেখে আসি। মানে মায়ের সন্তানদেরকে দেখি, মাকেও দেখি। অতএব ভালোবাসাটা ওখানে আমার প্রচুর পরিমাণে। যেহেতু আমার জন্মটা টাঙ্গাইল মধুপুরে।

সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক একজন নাট্য অভিনেতা। বেশিরভাগ সময় কমেডি চরিত্রে অভিনয় করে থাকেন। ২০১৩ সালে তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র 'এইতো ভালোবাসা' মুক্তি পেয়েছিল। বর্তমানে তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছেও পোষণ করেছেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এই অভিনেতার সাথে কথা বলেন বাংলা ইনসাইডারের বিনোদন প্রতিবেদক আসিফ আলম।

সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক বলেন, সেই জায়গা থেকে যেমন আমার ওখানে ভালোবাসা আছে, এখানে গুলশান-বনানী। ঢাকা-১৭ আসনের মানুষও আমাকে খুব ভালোবাসে। কারণ, যেহেতু আমার বেড়ে ওঠাটা ঢাকা শহরেই। আল্টিমেটলিই আমার বাসা গুলশানে, অফিসও গুলশানে। সবকিছু গুলশান বেইজড। যেহেতু এখানে ভিআইপি লোকজনরা থাকে এবং তাদের আনাগোনা থাকে। তাই তাদের সার্ভিস দেওয়ার জন্য আমার মনে হয় এরকম লোক দরকার যে, এই দেশে সিআইপি না হলেও ভিআইপি না হলেও সেলেব্রিটি। কিন্তু সেটার প্রমাণ কিন্তু ইতিপূর্বে দেখেছেন আমার শ্রদ্ধেয় বড় ভাই ফারুক ভাই। ফারুক ভাই এই আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে আছেন। উনি এখন হাসপাতালে ভর্তি, সবাই উনার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ উনাকে ভালো করে এখানে নিয়ে আসুক। সেই জায়গাটা যেহেতু ফারুক ভাই সার্ভিস দিয়েছে, ফারুক ভাইয়ের উত্তসূরী না হলেও আমরা একই পরিবারের সদস্য। আমরা যেহেতু মিডিয়া পরিবারের সদস্য। তাই, সেই জায়গাটা থেকে গুলশান-বনানী তার মানে ঢাকা-১৭ আসনেও এবার নির্বাচনের চিন্তা করেছি।

তিনি আরও বলেন, এটা তো আসলে সম্পূর্ণ জনগণের ওপর নির্ভর করবে। কারণ, যদি বলেন আমি কতটা আশাবাদী? শতভাগ। কারণ, শতভাগ না হলে সিদ্দিকুর রহমান নির্বাচন করবে সেটা কখনো ঘোষণা দিত না। আর আলটিমেটলি আমার চলাফেরা বা সমস্ত কর্মকাণ্ডই কিন্তু এটিকে ভিত্তি করে যে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, একটা মানুষকে হেল্প করা, একটা মানুষের সমস্যা হলে সেটাকে কিভাবে সমাধান করা যায় সেই চিন্তা গুলোই সারাদিন আমার মাথার ভিতরে থাকে। অনেকেই জানে যে, সিদ্দিকুর রহমান তো অভিনয় করতো। সে হঠাৎ করে এখানে কেন? হঠাৎ করে না। এটা আমার ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ডের জায়গা থেকে। মাঝখানে যেটা হয়েছে আমি নাট্যকার অভিনেতা নির্মাতা হিসেবে বেঁচে থাকতে চাই, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু একজন অভিনেতা মারা গেলে মানুষ আল্টিমেটলি তাকে অতটা মনে করে না যদি সে সোশ্যাল এক্টিভিটি না করে। তাই সোশাল এক্টিভিটি করার জন্য আমি সদা প্রস্তুত। সেইজন্য আমি মনে করি, আগামী নির্বাচনে হান্ড্রেট পার্সেন্ট নমিনেশন পাওয়ার আশাবাদী, ইনশাআল্লাহ।

মিডিয়া থেকে যারা এমপি হয়েছেন তাঁরা কিছুই করেননি জানিয়ে সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক বলেন, বাংলাদেশের মিডিয়া থেকে অনেক মানুষ কিন্তু এমপি হয়েছে। কিন্তু আদৌ সেই জায়গাটা তারা ফুলফিল করতে পারে নাই। আমাদের যে অভাবগুলো, আমাদের যে চাহিদা গুলো সেগুলা। সেটার জন্য তোম আমি ব্যাপকভাবে চিন্তা করি সবসময়ই। আমার ফেসবুক পেইজ আপনার দেখেন যে, আমি বিভিন্ন রকমের স্ট্যাটাস দিই। আসলে আমরা অনেক কিছু চাই। আমরা এখন পর্যন্ত শিল্পীরা বাংলাদেশে পেশাগত মর্যাদাটাই পাইনি। মিডিয়ার সাথে যে সমস্ত লোকগুলো জড়িত তাঁরা আলটিমেটলি দিনশেষে কি পায়? তারা কিছু পায় না। দিনশেষে মিডিয়ার লোকগুলো শেষ বয়সে অসুস্থ অবস্থায় কোথায় সে ঔষধের থলে ধরে দাঁড়ায় থাকবে সেটাও করে, আবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে গিয়ে একটা চেক নিয়ে আসে। এটি হলো তা জীবনের অর্জন। সিদ্দিকুর রহমান যদি মিডিয়ার থেকে এমপি হয় তাহলে দেখে দিবে সেগুলো সম্ভব না। কারণ, আমাদের মিডিয়ার ম্যাক্সিমাম লোকের আমরা যেটা করি, একটা বোকামি করি যে একটা প্রফেশনের ওপর ডিপেন্ড করি। বাংলাদেশে ছোট্ট একটা মিডিয়ার জায়গা। এই ছোট্ট জায়গায় কিন্তু তার নিজের লাইফটাকে ফুলফিল করতে পারে কিন্তু পরবর্তী জেনারেশন তার বাচ্চাটার জন্য তেমন কোনো কিছু করতে পারেনা।

এমপি হলে তিনি কি কবেন জানিয়ে বলেন, আমি যদি ওখানে যাই শিল্পীদের পক্ষে যে ধরনের দাবিগুলো আছে আমাদের পেশাগত মর্যাদা এটা নিয়ে আমি কখনোই দেখিনি এতগুলা শিল্পী জাতীয় সংসদে গিয়েছে কোথায় সেই পেশাগত মর্যাদা নিয়ে কথা বলবে, আমাদের ওই জায়গা গুলা ঠিক করবে সেগুলোর না করে। আমাদের এখন পর্যন্ত দেখবেন যে সরকারই আসুক তখন কিন্তু শিল্পীদের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যায়। আওয়ামী লীগের শিল্পী, বিএনপির শিল্পী, জামায়াত ইসলামের শিল্পী, বিভিন্ন জায়গার শিল্পী। শিল্পীদের কিন্তু ভাগ হওয়ার কথা না। আমি সবসময় একটা কথা যে, ব্যক্তি সিদ্দিক একটা দলের হতে পারে কিন্তু নাট্যকার-অভিনেতা-নির্মাতা সিদ্দিকুর রহমান সারা বাংলাদেশের।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭