চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড মাঠে আজ (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ভাষণ দেবেন আওয়ামী লী সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষ্যে আগেই দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপ থেকে ছয় হাজারের বেশি নেতাকর্মী চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছেন।
অন্যদিকে জনসভা ঘিরে আগেভাগে চট্টগ্রামে আসাদের মধ্যে অনেকে আবাসিক হোটেল ও কমিউনিটি সেন্টারে অবস্থান করছেন। অনেকে নিজ আত্মীয়-স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীদের বাসায় উঠেছেন।
সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন ঘাটে ঘুরে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে সন্দ্বীপ উপজেলা থেকে ফিশিং ট্রলার, পণ্যবাহী ট্রলার, বোট, স্পিড বোটে করে সীতাকুণ্ড ঘাটে এসে নামছেন মানুষ। পরে বাসে করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে প্রবেশ করছেন তারা।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সন্দ্বীপের মাইটভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান জানান, পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে এরইমধ্যে সন্দ্বীপ থেকে ছয় হাজার নেতাকর্মী চট্টগ্রামে এসেছেন। জনসভার দিন নানা ঝামেলা পোহাতে হতে পারে। সেই আশঙ্কায় আগেভাগে তারা চট্টগ্রাম শহরে এসেছেন। ২৫টি ট্রলারে করে তাদের আসার ব্যবস্থা করা হয়। স্পিডবোটেও অনেকে এসেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সমাবেশের অগ্রভাগে থাকতে চাই। তাই আগেই সভাস্থলের কাছাকাছি চলে এসেছি। চট্টগ্রামে অনেকে নিকটাত্মীয়ের বাসায় উঠেছেন। অনেকে হোটেলে উঠেছেন। নেতাকর্মীদের যাতে সমস্যা না হয়, সেজন্য সবার থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
শুধু কচি নয়, যুবলীগের শতাধিক নেতাকর্মী আগেভাগে চট্টগ্রামে এসেই যোগ দিয়েছেন জনসভার প্রচারণায়। সীতাকুণ্ড ঘাট থেকে ছোট-বড় বাসে করে মহানগরীতে আসেন তারা। অনেকটা র্যালির আকারে চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ করে সন্দ্বীপের নেতাকর্মীদের বহনকারী গাড়িগুলো।