ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান দেশের মুক্তি আর সংগ্রামের সাক্ষী। নানা আন্দোলন আর সংগ্রামের যাত্রা শুরু হয়েছে এখান থেকেই। বিশেষ করে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়েছে। সঙ্গত কারণেই রাজনৈতিক দলগুলোর সভা সমাবেশের ক্ষেত্রে প্রথম পছন্দ এই ঐতিহাসিক ময়দান।
দীর্ঘদিন পর আবার স্বরূপে ফিরছে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। গত ১১ নভেম্বর যুবলীগের মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে রাজনীতির উত্তাপ ফিরেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বাকি আরও এক বছর। আগেভাগেই মাঠে নেমেছে সরকারবিরোধী বিএনপি। আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। যদি ডিএমপি জনস্বার্থে নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি না দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যোন সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে। তবে নয়াপল্টনেই সমাবেশ করার ব্যাপারে অনড় অবস্থানে রয়েছে বিএনপি। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপি এবং ডিএমপির মধ্যে চলছে ত্রিমূখী লড়াই।
এদিকে ময়দানে উত্তাপ ছড়াচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলটি বলছে, তারা জনমুখী দল। নানান সংকটের মধ্যেও কমেনি তাদের জনপ্রিয়তা। সেই বার্তা দিতেই, দলীয় কর্মসূচিতে বেশি মনযোগ দিচ্ছে, দেশের প্রাচীনতম এই রাজনৈতিক সংগঠন।
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে প্রস্ততি। ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। তার আগেই ইতোমধ্যে গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে যুবলীগের মহাসমাবেশ। এরপর ২৫ নভেম্বর স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সন্মেলন, ২৬ নভেম্বর মহিলা আওয়ামী লীগের সন্মেলন, ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ছাত্রলীগের যৌথ বার্ষিক সম্মেলন, ৩ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখার সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ মনে করে, নিয়মিত সাংগঠনিক কর্মসূচির মাধ্যমে চাঙ্গা হয়ে উঠবে নেতাকর্মীরা। সরকারের জনপ্রিয়তার বার্তাও পৌছে যাবে দেশজুড়ে।