ইনসাইড টক

‘যেকোনো সংকটে গ্রামীণ কৃষি রক্ষাকবজ হিসেবে কাজ করে’


প্রকাশ: 05/12/2022


Thumbnail

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা পৃথিবীর অর্থনীতি এখন একটি ঝুঁকির মধ্যে আছে। বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনীতির বাইরে না। সুতরাং বাংলাদেশের অর্থনীতিও বিশ্ব অর্থনীতির মতো ঝুঁকিতে আছে। তবে ঝুঁকি মোকাবিলায় বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতি বেশ ভালো। সবচেয়ে বড় আশার কথা হলো আমাদের কৃষি খাত। আমরা সব সময় বিভিন্ন সংকটে দেখেছি যে, কৃষি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের দেশে অনেক সংকটে কৃষি ত্রাতা হিসেবে কাজ করেছে। যেমন, করোনাকালীন, এর আগে ২০০৮-২০০৯ সালের বিশ্ব মন্দা ছিলো তখন কৃষি আমাদের দেশে খুব ভালো ভূমিকা রেখেছে। মানুষের পেটে খাবার থাকলে যেকোনো সংকট মোকাবিলা করা খুব সহজ হয়। সে বিবেচনায় আমাদের গ্রামীণ কৃষি আমাদের যেকোনো সংকটে রক্ষাকবজ হিসেবে কাজ করেছে। সেজন্য অন্যান্য দেশে খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি হয়তো আছে কিন্তু বাংলাদেশে ২০২৩ সালে বড় রকমের কোনো ঝুঁকি তৈরি হবে বলে আমার কাছে মনে হয় না। অর্থাৎ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার কোনো আশঙ্কাই নেই। আর খাদ্যের দুর্ভিক্ষ সেটি কল্পনা করাও অবান্তর।

সদ্য সমাপ্ত নভেম্বরে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বা প্রবাসী আয় এবং রপ্তানি আয় উভয় বেড়েছে। দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ দুটি সূচকের ইতিবাচক পরিবর্তন অর্থনৈতিক সংকটকে কাটাতে পারবে কিনা তা নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় ড. আতিউর রহমান এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য ড. আতিউর রহমান এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।

ড. আতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশ অনেক আগেই দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা থেকে বের হয়ে এসেছে। এখন দেশের কৃষিখাত এতোই স্বয়ং সম্পূর্ণ যে, দেশের মানুষকে খাওয়ানোর মতো দেশের যথেষ্ট খাদ্য শস্য আছে বা উৎপাদন হচ্ছে। তবে শুধু উৎপাদন হলেই হবে না, মানুষ যেন কৃষি দিয়ে আয় রোজগার করে খেতে পারে সেটিও নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি যে সরকারের নজরে নেই এমনটি কিন্তু না। সরকারের নজরে সেটি আছে। সরকার কৃষির স্বয়ংসম্পূর্ণতার গ্রামের মানুষের জন্য ততটা চিন্তিত না, সরকার চিন্তিত শহরের মানুষের জন্য। আর সেজন্য সরকার ফ্যামেলি কার্ড এর মাধ্যমে সুলভ মূল্যে খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে সামষ্টিক অর্থনীতি সেটিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। সেটি করতে হলে আমাদের যে রপ্তানি আয় সেটি বাড়াতে হবে। গত নভেম্বরে আমাদের রপ্তানি আয় হয়েছে ৫ বিলিয়ন ডলার। এটি দেশের অর্থনীতির জন্য একটি দারুণ ইতিবাচক খবর। নভেম্বরে আমাদের রেমিট্যান্সও বেড়েছে। হুন্ডির কারণে আমাদের রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গিয়েছিলো। বৈধ পথে রেমিট্যান্স বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে। বৈধ পথে প্রবাসী আয় দেশে আসা উৎসাহিত করতে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে এখন থেকে ঘরে বসেই প্রবাসীরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন। এ প্রক্রিয়া সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট আছেন তাদের সবার উচিত এব্যাপারে সহযোগিতা করা তাহলে সামনে আামাদের রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়বে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭