ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব: তোফাজ্জল, জাকিয়া না কামাল


প্রকাশ: 25/05/2024


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের বর্তমান চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৭ জুলাই। এর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসেবে নতুন কে হবে, তা নিয়ে সরকারের নীতি নির্ধারক মহলে এবং প্রশাসনে নানামুখী আলাপ-আলোচনা চলছে। উল্লেখ্য যে, প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ইতোমধ্যে এক বছরের চুক্তিতে আছে। সরকার নতুন করে কাউকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সেই সিদ্ধান্তের আলোকে সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক ব্যক্তির চাকরির মেয়াদ শেষ হয়েছে এবং সেখানে নতুন সচিব পদায়ন করা হয়েছে।

চুক্তিতে থাকা বাণিজ্য সচিবের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাড়ানো হয়নি। বাড়ানো হয়নি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সচিবের চাকরির মেয়াদও। এসব জায়গায় নতুন সচিব দেওয়া হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে অনেকে মনে করছেন যে, তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার চাকরির মেয়াদ নতুন করে বৃদ্ধি নাও করা হতে পারে। তার চুক্তির অবসানের পর সেখানে নতুন কাউকে মুখ্যসচিব পদে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।

আবার এই নিয়ে সরকারের নীতি নির্ধারক মহলের ভিন্ন মতও আছে। অনেকেই মনে করছেন যে, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসেবে তো হোসেন মিয়া হয়ত আবারও এক বা দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে পারেন।

প্রধানমন্ত্রীর সচিব হিসেবে মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন আছেন। তিনি ১৩তম ব্যাচের কর্মকর্তা। কাজেই প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসেবে তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চাকরির মেয়াদ যদি এক বছর নবায়ন করা হয় তাহলে পরবর্তীতে সালাহ উদ্দিনই প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হতে পারেন। এরকম একটি বিবেচনা থেকে তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাড়ানো হতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করছেন।

তবে যেহেতু সরকার এখন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ব্যাপারে শূণ্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করেছেন, সে কারণে তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তির মেয়াদ নাও বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে দুই জনের নাম আলোচিত হচ্ছে। এর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানার নাম সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে। জাকিয়া সুলতানা ১০ম ব্যাচের কর্মকর্তা। যদিও জ্যেষ্ঠতার বিচারে তিনি নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামালের চেয়ে পিছিয়ে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা এবং আগ্রহ বিবেচনা করে জাকিয়া সুলতানাই মুখ্য সচিব হওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে আছেন বলে অনেকে মনে করছেন।

তবে প্রশাসনের ভিতরে কারও কারও মত যে, প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতার বিবেচনা করে মুখ্য সচিব পদে কাউকে নিয়োগ দেবেন না। মোস্তফা কামাল নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া পেশাদারিত্বে তিনি অনেক এগিয়ে। জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনারের দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা আছে মোস্তফা কামালের। প্রশাসনে তিনি একজন সৎ, কর্মঠ এবং বিচক্ষণ অফিসার হিসেবে পরিচিত। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসেবে যাবার জন্য যে সমস্ত যোগ্যতা গুলো থাকা দরকার তার সবই আছে। সবকিছু বিবেচনা করেই প্রধানমন্ত্রী হয়তো মুখ্যসচিব পদে একজনকে নির্বাচিত করবেন।

তবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে বিভিন্ন সরকারি সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো মনে করছে যে, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব প্রশাসনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ। কাজেই এখানে জ্যেষ্ঠতা, দক্ষতা এবং সততা বিবেচনা করেই প্রধানমন্ত্রী হয়ত কাউকে পদায়ন করবেন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭