ইনসাইড গ্রাউন্ড

প্রথম আসরের পর প্রথমবারের মতো সুপার এইটের স্বপ্নপূরণ বাংলাদেশের


প্রকাশ: 17/06/2024


Thumbnail

জিতলেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার সুপার এইট নিশ্চিত বাংলাদেশের। আবার হেরে গেলেও ছিল টিকে থাকছে সম্ভাবনা। এবং সে সম্ভাবনাও বেশ জোরাল। এমন সম্ভাবনা বেশ জোরালোর কারণেই কী নেপালের বিপক্ষে টাইগারদের এমন ব্যাটিং ধস? 

ঈদের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে যারা বাংলাদেশের ম্যাচের খবর নিয়েছেন, তাদের জন্য সকালটা বেশ বিভীষিকাময়ই কেটেছে বলা যায়। টিম টাইগার্সদের সুপার এইটে ওঠার ভাগ্য নিজেদের হাতেই ছিল। সমীকরণটাও ছিল সরল, নেপালের বিপক্ষে হার এড়ালেই চলবে শান্ত বাহিনীর। বৃষ্টি বা কোনো কারণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেও বাংলাদেশই যাবে সুপার এইটে। তবে নেপাল যদি অঘটন ঘটায়ও, এরপরও বেশ জোরালো সম্ভাবনা থাকবে বাংলাদেশের। কিংবা নেপালের বিপক্ষে ব্যাটিং-বোলিং দুটিতেই চরম বাজে দিন না এলে মোটামুটি নেদারল্যান্ডসকে টপকে সুপার এইটে যাওয়ার সম্ভাবনা বাংলাদেশের বেশ জোরালোই ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোন অঘটন ঘটলো না! নেপালের বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয়কে সঙ্গী করেই সুপার এইটে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। 

টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নেপাল অধিনায়ক রোহিত পৌড়েল। আর প্রথমে ব্যাটিংয়ে এসে তানজিদ তামিমের এমন দৃষ্টিকটু আউটে বাংলাদেশ যে চাপে পড়ে যায়, এরপর ব্যাটিংয়ে সেই চাপ থেকে আর বেরুতে পারেনি টাইগাররা। নেপালের সামনে মাত্র ১০৭ রানের লক্ষ্য দাড় করাতে পারে টাইগার ব্যাটসম্যানরা। বিশ্বকাপে আইসিসির সহযোগী কোনো দেশের বিপক্ষে বাংলাদেশের এটিই সর্বনিম্ন স্কোর।

তবে, শেষ পর্যন্ত টাইগারদের ওই ১০৬ রানের সংগ্রহই মনে হয়েছে বড় অর্জন। আবার এমন উইকেটে রান তাড়াও সহজ নয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাত্র দ্বিতীয়বার এত কম রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এর আগে ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ার সাথে ব্রিজটাউনে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারিয়েছিল ১৫ রানের মধ্যে।

তবে শেষ পর্যন্ত কোন অঘটন নয় ছাড়াই নেপালকে হারিয়ে সুপার এইটের টিকিট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। ১০৭ রানের টার্গেটে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি নেপালের ব্যাটসম্যানরা। বোলিংয়ে ৭ রানে চার উইকেট নিয়েছেন তানজিম সাকিব যা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার। বিশ্বকাপে প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে এক ইনিংসে ২ মেডেন। সপ্তম ওভারেই যিনি শেষ করে ফেলেছেন নিজের স্পেল। এছাড়াও মুস্তাফিজ ৩ টি, সাকিব ২টি আর তাসকিন নেন ১টি উইকেট। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৮৫ রানেই গুটিয়ে যায় নেপাল।

অবশেষে ১৭টি বসন্তের অবসান। দীর্ঘ এই সময়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট দেখেছে কত শত উত্থান-পতন। কিন্তু ২০০৭ সালের পর টাইগাররা কখনও দেখা পায়নি ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট সংস্করণ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সুপার এইটের দেখা। অবশেষে, ১৭ বছর আর এই ফরম্যাটের নবম আসরে এসে দ্বিতীয়বারের মতো সুপার এইটে বাংলাদেশ। 

সুদুর ওয়েস্ট ইন্ডিজে টাইগার ক্রিকেটাররা যখন ২০ ওভারের ক্রিকেটে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে, ঠিক সেসময় বাংলাদেশে উদযাপিত হচ্ছে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-আজহা। এমন খুশির মুহুর্ত টাইগার ক্রিকেটে খুব কমই এসেছে। সব মিলিয়ে সমর্থকদের যেন ডাবল খুশির খোরাক। 

চলমান বিশ্বকাপে সবশেষ দল হিসেবে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। আর 'ডি' গ্রুপের অন্য প্রতিনিধি দক্ষিণ আফ্রিকা ৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার আগে উঠে যায় সুপার এইটে। আগামী ২১, ২২ ও ২৫ তারিখে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, সাবেক চ্যাম্পিয়ন ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুপার এইটে লড়বে টাইগার বাহিনী।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭