ইনসাইড বাংলাদেশ

দুদক মতির হিসেবের খাতা খুলছে কাল


প্রকাশ: 22/06/2024


Thumbnail

এনবিআরের সদস্য এবং কাস্টমস ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট ড. মো. মতিউর রহমানে দুর্নীতির হিসেবের খাতা কাল দুর্নীতি দমন কমিশন খুলতে পারে বলে জানা গেছে। আগামীকাল দুদক এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারে। ড. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে যেসমস্ত অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তার ভিত্তিতে একজন তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। ওই তদন্তকারী কর্মকর্তা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অভিযোগের তথ্যগুলো যাচাই বাছাই করে দেখবেন। প্রাথমিক ভাবে যদি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে সেক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশন তার অস্থাবর সম্পত্তিগুলোকে ক্রোক করার জন্য নির্দেশনা দিতে পারে। এরপর তাকে দুর্নীতি দমন কমিশনেও হাজির হতে পারে বলে জানা গেছে।

দুদকের আইন অনুযায়ী একজন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে এবং তিনি যদি আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ গ্রহণ করেন তাহলে তার বক্তব্যের ভিত্তিতে তদন্তকে আবার পুনঃনিরীক্ষা করতে হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন মনে করে যে প্রত্যেকটি অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা অত্যন্ত জরুরী। এই ধারাবাহিকতায় দুর্নীতি দমন কমিশন হয়ত তার স্ত্রী এবং পুত্র কন্যাদেরকেও তদন্তের জন্য দুদকে হাজির হতে বলতে পারে। এভাবেই তদন্ত এগোবে।

উল্লেখ্য, ঈদের আগে ছাগল কাণ্ড নিয়ে ফেঁসে যান ড. মতিউর রহমান। একজন ১৫ লাখ টাকার ছাগল কিনে ফেসবুকে ভাইরাল হন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি এনবিআরের সদস্য ড. মতিউর রহমানের পুত্র। কিন্তু পরদিনই মতিউর রহমান অস্বীকার করেন। তিনি বলেন যে, এই নামে তার কোন পুত্র নাই। তার কোন আত্মীয় স্বজন নেই। আর এর প্রেক্ষিতেই শুরু হয় নতুন করে আলোচনা এবং জল ঘোলা করা।

ইফাত মতিউর রহমানের পুত্র কি না এটা খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে আসে মতিউর রহমানের রত্নভাণ্ডারের খবর। তার বিপুল পরিমাণ সম্পদ সম্পর্কে গণমাধ্যমে লেখালেখি হচ্ছে। দুর্নীতি দমন কমিশন বলছে যে, এই বিষয়টি তারা উপেক্ষা করতে পারে না। আর এ কারণেই দুর্নীতি দমন কমিশন তার ব্যাপারে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তবে দুদকের একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে, গণমাধ্যমের রিপোর্ট এলেই যে একজন দুর্নীতিবাজ এমনটা মনে করার কারণ নেই। এটি উপযুক্ত যাচাই বাছাইয়ের পর বলা যাবে যে ড. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোর সত্যতা কতটুকু?

উল্লেখ্য, এর আগেও মতিউর রহমানকে কয়েকবার দুর্নীতি দমন কমিশন তলব করেছিল। দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত মতিউর রহমানকে নির্দোষ হিসেবে বলা হয়েছিল। মতিউর রহমান অবশ্য গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন তিনি নিদোর্ষ। তিনি কোন দুর্নীতি করেননি। তিনি শেয়ার বাজারের ব্যবসা করে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে তিনি বিভিন্ন জনের কাছে দাবি করেছেন। তবে এবার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্ন।

প্রশ্ন উঠেছে যে, শুধুমাত্র শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে এত বিপুল পরিমাণ বিত্তের মালিক হওয়া যায় কি না। তাছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন তার দুই স্ত্রী এবং সন্তানদেরও সম্পদের উৎস সম্পর্কে তথ্য আরোহণ করবে বলে জানা গেছে। আগামীকাল থেকে শুরু হবে ড. মতিউর রহমানের খাতা খোলা। পরবর্তীতে জানা যাবে মতিউর রহমানের দুর্নীতির অভিযোগগুলো কতটুকু সত্য এবং আইনের চোখে তিনি দোষী না নিদোর্ষ।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭