এডিটর’স মাইন্ড

শেখ হসিনার পর আওয়ামী লীগের হাল ধরবে কে?


প্রকাশ: 23/06/2024


Thumbnail

আওয়ামী লীগ তার গৌরবের ৭৫ বছর পার করছে। এক ঝঞ্ঝা, বিক্ষুব্ধ, প্রতিকূল অবস্থাকে জয় করে আওয়ামী লীগ তার ৭৫ বছর সময় কাটিয়েছে। যেকোনো রাজনৈতিক দলের জন্য ৭৫ বছর টিকে থাকা গৌরবের এবং অবিস্মরণীয় সাফল্যের অধ্যায়। ৭৫ বছরে আওয়ামী লীগ ক্ষয়িষ্ণু হয়নি, আওয়ামী লীগ ম্রিয়মান হয়নি। আওয়ামী লীগ পথ হারায়নি। বরং এখনো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে উর্ধ্বে তুলে রেখে দলটি এগোচ্ছে। এখনো প্রান্তিক, দরিদ্র মানুষের আশার ঠিকানা হলো আওয়ামী লীগ। এখনো জনগণের আশা-ভরসার কেন্দ্রস্থল আওয়ামী লীগ। এখনো আওয়ামী লীগকে ঘিরেই মানুষের সব স্বপ্ন, সব চাওয়া-পাওয়া, সব প্রত্যাশা, সব দাবি। আর একারণেই আওয়ামী লীগের সমালোচনাও বেশি হয়। যাকে মানুষ ভালোবাসে, যার কাছে মানুষের প্রত্যাশা বেশি তাকে ঘিরেই মানুষ সমালোচনা করে। আওয়ামী লীগ মিশে আছে এদেশের মাটি এবং মানুষের সঙ্গে। আওয়ামী লীগ এমন একটি রাজনৈতিক দল যে রাজনৈতিক দলের শেকড় জনগণের হৃদয়ে প্রোথিত। এই শেকড় এতো গভীর যে সেখান থেকে আওয়ামী লীগকে কেউই উপড়ে ফেলতে পারেনি। বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা হয়েছে কিন্তু সেই চেষ্টা জনগণই প্রতিহত করেছে। আওয়ামী লীগ জনগণের ভালোবাসার দল। কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে এসে সবচেয়ে বড় যে প্রশ্নটি উঠেছে তা হলো আওয়ামী লীগের পরবর্তী নেতা কে? শেখ হাসিনার পর আওয়ামী লীগের হাল কে ধরবে? 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগকে জনগণের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। জনগণের ভরসার স্থল হিসেবে সৃষ্টি করেছিলেন আওয়ামী লীগকে। বিশেষ করে দরিদ্র, প্রান্তিক, খেটে খাওয়া মানুষের আপন ঠিকানায় পরিণত হয়েছিল আওয়ামী লীগ। তাদের অধিকার, তাদের আশা-আকাঙ্খার প্রতীক হয়ে উঠেছিল আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু সারা দেশে আওয়ামী লীগকে জনপ্রিয়ই শুধু করেননি, জনগণের একান্ত আপন-বিশ্বস্ত একটি রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। ৭৫’এর ১৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ ঠিকানা বিহীন হয়ে পরেছিল। অস্তিত্বের সংকটে পরেছিল মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী দলটি। এ দলটি টিকবে কি টিকবে না তা নিয়েও অনেকের প্রশ্ন ছিল। অনেকেই ধারণা করেছিল শেষ পর্যন্ত হয়তো আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত যাবে। আওয়ামী লীগ হবে মুসলিম লীগ, এমন কথাও বলেছিলেন অনেকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এগুলোর কোনটাই সত্য হয়নি। সত্য না হওয়ার একটি বড় কারণ হলেন ‘শেখ হাসিনা’। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব গ্রহণ করে তিনি হতশ্রী অবস্থা থেকে আস্তে আস্তে আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠন করেন। হতশা গ্রস্থ নেতা-কর্মীদের জাগ্রত করেন। অধিকারহারা মানুষকে নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন। গণতন্ত্রহীন মানুষকে গণতন্ত্রের জন্য উজ্জ্বীবিত করেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আবার নতুন ঠিকানা দেয়ার জন্য সংগ্রাম শুরু করেন। আর সেকারণেই শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে আস্থার প্রতীক। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা হিসেবেও তিনি প্রতিষ্ঠিত। আওয়ামী লীগের ৭৫ বছরের ইতিহাসের ৪৩ বছরই শেখ হাসিনা দলটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আওয়ামী লীগকে কেবল পুনর্গঠিতই করেননি, আওয়ামী লীগকে কেবল সংগঠিতই করেননি, তিনি আওয়ামী লীগকে দিয়েছেন এক নতুন জীবন। তার হাত ধরেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। এই ৪৩ বছরের নেতৃত্বদান কালের প্রায় অর্ধেক সময় তিনি আওয়ামী লীগকে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আনতে পেরেছেন। অর্থাৎ জনগণের ভালোবাসা এবং জনগণের আস্থাভাজন রাজনৈতিক দল হিসেবে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। 

আওয়ামী লীগের বয়স যেমন ৭৫, শেখ হাসিনার বয়সও ৭৬। তাই তিনি অবসরের কথা বলেন। গত কয়েকটি কাউন্সিলে বার বার তিনি বলেছেন, ‘আমার বিদায় নেয়ার সময় হয়েছে, আমাকে বিদায় দেন।’ আওয়ামী লীগ সভাপতি এটিও বলেছেন, ‘একজন কাউন্সিলরও যদি বলেন তারা আমাকে দলের সভাপতি হিসেবে চান না তাহলে আমি আর নেতৃত্বে থাকবো না।’ কিন্তু শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা এমনই যে, আওয়ামী লীগের কোন কাউন্সিলরই কেন, আওয়ামী নেতৃবৃন্দ ও দেশের সাধারণ মানুষও মনে করে শেখ হাসিনা বিকল্পহীন। শুধু আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নয়, দেশের অভিভাবক হিসেবে শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ নেই। শেখ হাসিনার চরম শত্রুও স্বীকার করেন, তিনি আছেন জন্যই বাংলাদেশ এই উন্নতি করেছে। শেখ হাসিনার চরম প্রতিপক্ষও স্বীকার করেন, আজকের বাংলাদেশকে যে মর্যাদার জায়গায় পৌঁছেছে সেটিও শেখ হাসিনার অবদান। বাংলাদেশের জন্য যা ছিলো অকল্পনীয়। যে দেশটি বিদেশিদের কাছে হাত পেতে থাকতো সাহায্য সহযোগিতার জন্য, যে দেশটি সব সময়ই দারিদ্রের প্রতীক হিসেবে ছিলো, যে দেশটি ছিলো অভাব-অনটনের দেশ, ক্ষুধা, বন্যা, দুর্ভিক্ষ পিড়িত দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত ছিলো, সেই দেশকে শেখ হাসিনা বদলে দিয়েছেন। দীর্ঘ সংগ্রাম এবং কঠোর পরিশ্রম করে তিনি বাংলাদেশেরই নতুন গল্প লিখেছেন। বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নে সীমানাটা তিনি অনেক বড় করে দিয়েছেন। আওয়ামী লীগকে তিনি সংগঠিত করেছেন। বিভক্ত-কোন্দলরত দলটিকে তিনি তিল তিল করে গড়েছেন। এদেশের প্রতিটি মানুষ যেমন মনে করে শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের কি হবে? এদেশের প্রতিটি মানুষ যেমন শংকিত যে, শেখ হাসিনা না থাকলে বাংলাদেশ পথ হারাবে। ঠিক তেমনিই আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীও উদ্বিগ্ন। তারা মনে করে, যদি শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে না থাকে তাহলে আওয়ামী লীগ পথ হারাবে। আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ রাখা দুঃস্বাধ্য হবে অন্য কারো আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে এ আশঙ্কা এখন প্রবল। 

গত ১৫ বছর ধরে টানা ক্ষমতায় থাকার কারণে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকেছে, ঢুকেছে সুবিধাবাদী-মতলববাজরা। এরা আওয়ামী লীগকে রীতিমতো ঘিরে ফেলেছে। এদের কারণে আওয়ামী লীগের অনেক বদনাম হচ্ছে। আওয়ামী লীগের ত্যাগী, পরীক্ষিত, দুঃসময়ের সঙ্গীরা এখন কোণঠাসা এমন অভিযোগ উঠে। কিন্তু এই সমস্ত ত্যাগী, পরীক্ষিত এবং দুঃসময়ের সাথীরাও আশা-ভরসার একমাত্র ঠিকানা মনে করেন শেখ হাসিনাকে। শেখ হাসিনাও তাদেরকে ডাক দিলে ছুটে আসেন। শেখ হাসিনাও তাদেরকে মূল্যায়নের চেষ্টা করেন। শেখ হাসিনা আছে জন্যই এখনো আওয়ামী লীগের তৃণমূল শক্তিশালী, তারাই ক্ষমতাবান। প্রশ্ন উঠেছে শেখ হাসিনার পর কে? 

মানুষের বয়স বাড়বেই এবং একটা সময় তাকে অবসরে যেতে হবে, বিদায় নিতে হবে। এটাই চিরন্তন সত্য। আওয়ামী লীগে অনেকের মধ্যেই ইদানিং উৎকণ্ঠা দেখা যায়। শেখ হাসিনার পর আওয়ামী লীগের কি হবে? কে হাল ধরবে? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের অনেক নেতারাই নানারকম আলোচনা করেন। কিন্তু কেউই সন্তুষ্ট হতে পারেন না। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বারবার একটি কথায় বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিকল্প একমাত্র শেখ হাসিনা নিজেই।’ কিন্তু তিনি যখন থাকবেন না তখন এ দলটির কি হবে? কে হাল ধরবে?  অনেকেই মনে করেন যে নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ের সময় হয়েছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দল যেমন সাম্ভাব্য ভবিষ্যত নেতা নির্ধারণ করে ফেলে বহু আগেই সেখানে আওয়ামী লীগ অদ্ভুত ও আশ্চর্য ব্যতিক্রম। এই ব্যতিক্রম কি সঠিক না ভুল তা নিয়েও কম চর্চা হয় না, কম বিতর্ক হয় না। অনেক সমালোচক বলার চেষ্টা করেন যে, এখনই উচিত আওয়ামী লীগের বিকল্প নির্বাচন করা। পরবর্তী নেতা হিসেবে কাউকে গড়ে তোলা এবং আস্তে আস্তে তাকে জনসমক্ষে নিয়ে আসা। জনগণের কাছে তিনি যেন গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে পারেন সেই চেষ্টা করা উচিত। কিন্তু শেখ হাসিনা এই ব্যাপারে আশ্চর্য নির্লিপ্ত। তিনি এ ব্যাপারে মোটেও কথা বলতে রাজি না। আওয়ামী লীগের পরবর্তী নেতৃত্ব কে হবে এসব প্রশ্নের উত্তরে তিনি সবসময় দার্শনিক উত্তর দেন। তিনি বলেন, এটি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই ঠিক করবেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যেভাবে নেতৃত্ব বাছাই করবে সেইভাবে নতুন নেতা তৈরী হবে। 

একথা সত্য যে, শেখ হাসিনার শূন্যস্থান কখনো পূরণ হবে না। কিন্তু শেখ হাসিনা যদি নেতৃত্ব থেকে চলে যান তাহলে নতুন নেতা কি পারবে শেখ হাসিনার মতো দলকে আগলে রাখতে। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া সকল নেতা-কর্মীকে চিনতে? তাদের নাম বলতে? এই প্রশ্ন নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ক্রমশ বাড়ছে। এই উদ্বেগ-উৎকন্ঠার প্রেক্ষাপটেই আমি ৭৫ পরবর্তী আওয়ামী লীগের কথা স্মরণ করতে চাই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কাউকে তার উত্তরসূরী হিসেবে মনোনীত করেন নি। তিনি সবসময় জনগণের উপর আস্থা রাখতেন এবং জনগণ নেতা-কর্মীদের উপর ভরসা রাখতেন। বঙ্গবন্ধু যখন ছিলেন তখন দ্বিতীয় নেতা কে হবে তা নিয়ে কোন রকম আলোচনায় হতো না। বঙ্গবন্ধুর শূন্যস্থান যে শেখ হাসিনা পূরণ করবেন সেটিও কারও ভাবনায় ছিলো না। বাস্তবতাই শেখ হাসিনাকে নেতৃত্বের আসনে আসীন করেছে। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি হবেন ১৯৭৩ কিংবা ৭৪ সালে কয়জন ভেবেছিল? হয়তো কেউই ভাবেনি। কিংবা যারা ভেবেছেন তারাও হয়তো সুপ্ত আকঙ্খার কথা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে পারেন নি। কিন্তু পরিস্থিতি শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের  সভাপতি করেছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের ইতিহাস যদি আমরা মূল্যায়ন করি তাহলে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কেউই একজন আরেকজনের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেননি। বরং কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে যাকে নেতা হিসেবে নির্বাচিত করেছেন তিনি নেতা হয়েছেন। জাতির  পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েছেন কর্মীদের প্রবল আকাংখার প্রকাশ হিসেবে। নেতা-কর্মীরা তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বসিয়েছে। তিনি নিজে আওয়ামী লীগের সভাপতি হননি। শেখ হাসিনাও স্বেচ্ছায় বা আগ্রহ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সভাপতি হননি। আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েছেন নেতা-কর্মীদের অকুণ্ঠ ভালোবাসায়, সমর্থনে। নেতা-কর্মীরা বুঝেছিলো এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগকে টিকে থাকতে হলে শেখ হাসিনার বিকল্প নাই। যেমনটি তারা বুঝেছিলো বঙ্গবন্ধু ছাড়া আওয়ামী লীগ কখনোই লড়াই-সংগ্রামে জয়ী হতে পারবে না। আর ঠিক সেই কারণে শেখ হাসিনা অত্যন্ত সচেতনভাবে তার উত্তরাধিকার ঠিক করছেন  না। এটি তিনি নেতা-কর্মীদের উপর ছেড়ে দিয়েছেন। এটি সম্ভবত একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। উত্তরাধিকার নির্ধারন করা বা আগে থেকেই জোর করে নেতৃত্ব কারো কাঁধে চাপিয়ে দেয়া কোন গণতান্ত্রিক দলের কাজ নয়। গণতান্ত্রিক কাঠামোতে, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগঠনে নেতৃত্ব উঠে আসে কর্মীদের আকাঙ্খার প্রকাশ হিসেবে। কর্মীরাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে একজনকে নেতা বানান। কর্মী এবং সাধারণ জনগণ একজনকে নেতা হিসেবে সিংহাসনে বসান, তাকে সম্মান করেন, ভালোবাসেন এবং তার জন্য জীবন উৎসর্গ করেন। আওয়ামী লীগ জনগনের রাজনৈতিক দল। জনগণের হৃদয় থেকে উৎসারিত এ দলের নেতৃত্ব কার কাছে যাবে সেটি ঠিক করবে আওয়ামী লীগের কর্মীরাই। তৃণমূলের আওয়ামী লীগের কর্মীদের কাছে যিনি বিশ্বাসযোগ্য হবেন, যিনি আস্থাভাজন হবেন তিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের আসনে অলংকিত হবে। আওয়ামী লীগ গত ৭৫ বছরে একটি বিষয় প্রমাণ করেছে। তাহলো জনগণের চেয়ে বড় কোন শক্তি নেই। আর একটি রাজনৈতিক দলের মূল শক্তির জায়গা হলো তৃণমূল। আর একারণে তৃণমূলের শক্তিতে বলীয়ান জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব আসবে একদম প্রান্তিক মানুষের আকাংখা থেকে। প্রান্তিক মানুষ যেভাবে তাদের নেতাকে পছন্দ করবেন সেভাবে নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। নেতৃত্ব কোন উপর থেকে চাপিয়ে দেয়ার বিষয় নয়। নেতৃত্ব স্বতঃস্ফূর্ত ভালোবাসা থেকে উৎসারিত একটি আকাঙ্খার নাম। আর একারণেই আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনার পর কে তার উত্তরের জন্য আমাদের তাকাতে হবে জনস্রোতের দিকে, জনগণের দিকে, তৃণমূলের দিকে। তৃণমূলই নির্ধারন করবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব কার হাতে যাবে। আওয়ামী লীগ কোন ব্যক্তির দল নয়। আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতায়নের এক প্রতীক। শেখ হাসিনা গত ৪৩ বছরে এই সত্যকেই প্রতিষ্ঠিত করেছেন। যেই সত্য আবিষ্কার করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। 

সৈয়দ বোরহান কবীর, নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত
ই-মেইল: poriprekkhit@yahoo.com


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭