ক্লাব ইনসাইড

জাবি শিক্ষকদের অর্ধদিবস কর্মবিরতি


প্রকাশ: 25/06/2024


Thumbnail

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপারগ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভূক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। 

 

পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল নয়টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো অনুষদে এ কর্মসূচি পালিত হয়। পরে দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত সমাজবিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। 

 

এসময় শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় শিক্ষকরা দ্রুততম সময়ে এ পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানান।

 

পলিসি মেকাররা শিক্ষকদের মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করেছে মন্তব্য করে ভূগোল ও পরিবেশে বিভাগের অধ্যাপক নূরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকরা প্রতিটি ক্ষেত্রে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছে। প্রথমে ৭৮ হাজার টাকার গ্রেড নিয়ে টালবাহানা হয়েছে। প্রফেসরদের তিনটা ক্যাটাগরি করেছে। এখন সার্বজনীন পেনশন একটা ইন্সুরেন্সের মতো।  দুইদিন পর রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে অর্থ না থাকলে আপনাকে বেতনের জন্য আন্দোলন করতে হবে। ইউজিসি নির্ধারিত সময়ে আমাদের বেতনের টাকাও দিবে না। সরকারি কলেজে শিক্ষকদের পাসপোর্টটাও সরকারি। সরকারি কর্মকর্তারা গাড়ি পরিচালনার জন্য ৫০ হাজার পায়।  এর প্রতিবাদে দল-মত নির্বিশেষে আমাদের রাজপথে থাকতে হবে।

 

এসময় গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের ডিন অধ্যাপক আব্দুর রব বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। স্বাধীনতার পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্বায়ত্তশাসন দেয়ার মূল স্পিরিট ছিল শিক্ষকদের কাজের ফ্রিডম, আর্থিক ফ্রিডম, প্রশাসনিক ফ্রিডম দেয়। কিন্তু এখন যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে তাতে শিক্ষকরা আগামীতে বেতনাদি পাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আশা করি সরকারের এ শুভবুদ্ধির উদয় হবে। আশা করি আমাদের ১ জুলাই থেকে কর্মবিরতিতে যেতে হবে না৷

 

সমাপনী বক্তব্যে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোতাহার হোসেন বলেন, গত দুইমাস যাবৎ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দাবি আদায় না হওয়ায় আমরা অর্ধদিবস কর্মসূচি দিতে বাধ্য করেছি। দাবি আদায় না হলে আমরা ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাব। কারণ এই প্রত্যয় স্কিম বৈষম্যমূলক। আমরা তো নতুন কিছু চাই না, আমরা যেখানে ছিলাম সেখানেই থাকতে চাই। আর সুপারগ্রেড তো অনেক আগের দাবি। যদি এই স্কিম সার্বজনীনই হয়ে থাকে তবে কেন শুধু শিক্ষকদেরকে আলাদা করা হলো। সরকারকে বুঝতে হবে শিক্ষকদের পিঠ যদি দেয়ালে ঠেকে যায় তাহলে তারা সবার্ত্মক আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে। সরকার যত দ্রুত আমাদের দাবি মেনে নিবে তত তাড়াতাড়ি আমরা ক্লাসে ফিরে যাব। সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলাকালে শিক্ষকরা হলের প্রভোস্ট, লাইব্রেরি, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস কোথাও দায়িত্ব পালন করবেন না। 

উল্লেখ্য, পেনশন স্কিম বাতিলের দাবি জানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি, কর্মবিরতি ও সমাবেশ করে আসছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৫, ২৬ ও ২৭ জুন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। ৩০ জুন পূর্ণ কর্মদিবস পালন করা হবে। তবে এ সময় পরীক্ষা ও পরীক্ষাসংক্রান্ত কাজ কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে। পাশাপাশি সে সময় ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি থাকবে। তবে দাবি পূরণ না হলে আগামী ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭