ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘হাম নেহি জিতেঙ্গে, হামারা মর্জি’


প্রকাশ: 26/06/2024


Thumbnail

২০০২ সালে শুরু হওয়া পাকিস্তানের এআরআই টিভির জনপ্রিয় একটি শো ‘লুস টক’। পাকিস্তানের বিখ্যাত টিভি স্ক্রিপ্ট রাইটার আনোয়ার মাকছুদের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটির ৪৬ তম এক এপিসোডে বাংলাদেশের এক প্লেয়ারের ভূমিকায় শো তে উপস্থিত হতে দেখা যায় পাকিস্তানের বিখ্যাত কমেডিয়ান মঈন আকতারকে। সেখানে আনোয়ার মাকছুদের পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের পর পর তিন টেস্ট হারের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মঈন আকতার উত্তর দিয়েছিলেন ‘হামরা মর্জি হে হাম নেহি জিতেঙ্গে, দিস ইজ আওয়ার টার্গেট’। পুনরায় আনোয়ার মাকছুদ জিজ্ঞেস করলেও তিনি (মঈন আকতার) তার জবাবে অটুট থাকেন। এবার তিনি উত্তর দেন ‘হাম নেহি জিতেঙ্গে মতলব হাম নেহি জিতেঙ্গে’। আজ দীর্ঘ ২৪ পর বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তানের ম্যাচ কিংবা এ পুরো টি-২০ বিশ্বকাপ পূর্ব পর বাংলাদেশের ম্যাচ গুলো দেখলে ‘লুস টক’এর সেই ৪৬ তম এপিসোডটির কথা মনে পড়ে যাবে যেকোন বাংলাদেশি ক্রিকেট ভক্তের।

টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসরে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। যে ম্যাচে বাংলাদেশকে ২০ ওভারে মাত্র ১১৫ রানের টার্গেট দেয় আফগানিস্তান। তবে সেমিফাইনালে উঠতে বাংলাদেশকে এই রান সংগ্রহ করতে হতো ১২.১ ওভারে। আধুনিক টি-২০-তে এটি খুব একটা কঠিন না হলেও বাংলাদেশ এ রান ১২.১ ওভারে জেতা তো দূরের কথা উল্টো নির্ধারিত ওভার শেষেও এ রান তুলতে পারেনি। ১৭.৫ ওভারে বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছে ১০৫ রান। এতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৮ রানে হেরেছে টাইগাররা। যার ফল টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে বাংলাদেশকে।  এই ম্যাচের ফলাফলে বাংলাদেশি ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে দেখা গেছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। 

একটি দেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মর্যাদা পাওয়ার ২৭ বছর পরও আন্তর্জাতিক বৈশ্বিক কোন টুর্নামেন্টে সফলতার মুখ দেখেনি, নেই জয়ের তীব্র ক্ষুধা, আত্মবিশ্বাস নেই, এমনকি নেই কোন সঠিক গেমপ্ল্যান। যার উপর ভর করে দলটি সফলতার মুখ দেখবে। অথচ ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মর্যাদা পাওয়া আফগানিস্তান পুরো বিশ্বকে চোখে আঙুল তুলে দেখিয়ে দিয়েছে ম্যাচ জিততে বা আন্তর্জাতিক বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে ভালো কিছু করতে মনের জোড় আর আত্মবিশ্বাসই যথেষ্ট। 

বাংলাদেশ আইসিসি থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মর্যাদা পায় ১৯৯৭ সালে। আর টেস্ট ক্রিকেটের মর্যাদা পায় ২০০০ সালের ২৬ জুন। এরপর থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেটে অর্জন কতটুকু? এই প্রশ্নের উত্তর কি হবে তা আমরা সবাই জানি। অন্যদিকে ২০০৯ সালে ওডিআই-এ স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকে আস্তে আস্তে আফগানিস্তান তাদের সক্ষমতা জানান দিয়ে গেছে পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে। বিশ্বের বাঘা বাঘা দল নাকানি চুবানি খেয়েছে তাদের স্পিন ঘূর্ণিতে। এসব প্রসঙ্গ তুললে অনেকে হয়তো বলবেন, অন্যের ১০ তলা ভবন দেখে কি নিজের টিনের চালা ঘর ভেঙ্গে ফেলা উচিত? কিন্তু আসলেই একবার ভেবে দেখা উচিত ক্রিকেটে এই ২৭ বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশের অর্জন কতটুকু? দেশের ক্রিকেট কি আদৌ উন্নতি করেছে? নাকি ক্রমাগত ব্যর্থতার ধাক্কায় গর্তে পড়ে যাচ্ছে? এটি বিচার করার দায়িত্ব দেশের কোটি ক্রিকেট প্রেমীর, বিসিবির। 

আসুন একনজরে দেখে নেয়া যাক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মর্যাদা লাভের পর বাংলাদেশের অংশগ্রহণকৃত প্রত্যেকটি আন্তর্জাতিক বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের অর্জনসমূহ। 

১৯৯৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ: 

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মর্যাদা লাভের পর প্রথম অংশগ্রহণকৃত কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট এটি। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ শক্তিশালী পাকিস্তান ও স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের আগমনী বার্তা দেয়। টুর্নামেন্টে ৫ ম্যাচে ২টি জয় তুলে নেয় টাইগাররা। তবে এই টুর্নামেন্টে প্রত্যাশিতভাবেই পয়েন্ট টেবিলের ৫ নম্বরে থেকে বিদায় নেয় তারা। 

২০০৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ:

এ বিশ্বকাপটি ছিলো বাংলাদেশের জন্য এক দুঃস্বপ্ন। আগের বিশ্বকাপের ধারাবাহিকতা এই আসরে ধরে রাখতে অক্ষম হয় বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে গ্রুপ-বি-তে থাকা দলটি ৬ ম্যাচ খেলে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে সেখান থেকে ২ পয়েন্ট নিয়ে বিদায় নিতে হয় বাংলাদেশকে। 

২০০৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপ: 

আগের বিশ্বকাপের আসরগুলো থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে শুরু হয় ২০০৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপ। এ বিশ্বকাপে গ্রুপ বি’ তে বাংলাদেশের সঙ্গী ছিলো ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বারমুডা। গ্রুপ পর্বে ভারত ও বারমুডাকে হারিয়ে শ্রীলঙ্কার সঙ্গী হয়ে প্রথমবারের মতো সুপার এইটে ওঠে বাংলাদেশ। তবে সুপার এইটে আবার যথারীতি হতাশা। সুপার এইটে ৭ ম্যাচ খেলে মাত্র ১ টি জয় তুলতে সক্ষম হয় দলটি। এই একমাত্র জয়টি আসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। অন্যদিকে তুলনামূলক দুর্বল দল আয়ারল্যান্ডের সাথে ম্যাচ হেরে যায় বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে শেষ পর্যন্ত সুপার এইট থেকে বিদায় নিতে হয় বাংলাদেশকে। 

২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপ:

ক্রিকেটের সম্পূর্ণ নতুন এই সংস্করণে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বকাপ। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত এ বিশ্বকাপে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে গ্রুপ পর্বে দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। এ দুই ম্যাচ থেকে ১ জয় ও ১ হার দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে বাংলাদেশ। 

২০০৯ ও ২০১০ টি-২০ বিশ্বকাপ: 

যথারীতিভাবে এই দুই বিশ্বকাপেও ব্যর্থ টাইগাররা। ক্রিকেটের বৈশ্বিক এই দুই আসরে হতশ্রী পারফর্মমেন্স করে বাংলাদেশ। দুই বিশ্বকাপেই গ্রুপ-এ তে পড়ে বাংলাদেশ। উভয় আসরে কোন ম্যাচ না জিতে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে প্লেনের টিকেট কেটেছে বাংলাদেশ। 

২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপ:

২০১১ সালের বিশ্বকাপকে ঘিরে দেশের কোটি ক্রিকেট প্রেমীর মধ্যে ছিলো অন্যরকম উন্মাদনা। কেননা প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে নিজ দেশে। কিন্তু এ বিশ্বকাপেও ক্রিকেট ভক্তদের হতাশ করেছে টাইগাররা। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে মাত্র ৫৮ রানে অলআউট হয়ে লজ্জায় ডুবতে হয় টাইগারদের। তবে এর পরের ম্যাচগুলোতে ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডকে হারালেও শেষ পর্যন্ত পরের রাউন্ডে উঠতে যথারীতি ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। 

২০১২ টি-২০ বিশ্বকাপ: 

আরেকটি নতুন বছর আরেকটি নতুন টুর্নামেন্ট। দেশ তখন টু-জি থেকে থ্রি-জিতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অনেক কিছুই পাল্টেছে। শুধু পাল্টেনি একটি জিনিস সেটি হলো বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যর্থতা। এ বিশ্বকাপেও ব্যর্থ বাংলাদেশ। ২ ম্যাচের দুইটিতেই হার। ফলাফল কোন পয়েন্ট না নিয়ে শ্রীলঙ্কা থেকে দেশে ফেরত আসে বাংলাদেশের টাইগাররা। 

২০১৪ টি-২০ বিশ্বকাপ: 

২০১২ সালের ব্যর্থতা ভুলে যেতে বাংলাদেশের কাছে আবারও সুযোগ আসে ২০১৪ সালে। কারণ এবার নিজেদের ঘরের মাঠে একক ভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু হায় সেলুকাস! ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বাংলাদেশকে বের করবে কে? গ্রুপ পর্বের ৪ ম্যাচের সব ক’টিতে হেবে বাদ বাংলাদেশ। সব ছাপিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭১ রানের বিশাল হার লজ্জায় ফেলে বাংলাদেশকে পুরো বিশ্ববাসীর কাছে। তাও আশার কথা এবার নিজেদের ঘরের মাঠে খেলা হওয়ায় বিমানের টিকেট কাটতে হয়নি টাইগারদের। 

২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপ: 

বিশ্বকাপের এই আসরে গ্রুপ পর্বে গ্রুপ-তে খেলে বাংলাদেশ। এ গ্রুপ থেকে ৬ ম্যাচে ৩ জয়, ২ হার ও ১ ড্র নিয়ে শেষ পর্যন্ত স্বপ্নের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত ভারতের কাছে ১০৯ রানে হেরে দেশে ফিরতে হয় বাংলাদেশকে।  

২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপ: 

ভারতে অনুষ্ঠিত এ বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডে ভালোই করে বাংলাদেশ। ৩ ম্যাচের ২ ম্যাচ জিতে মূল পর্বে জায়গা করে নেয় দলটি। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা থেকে বেরোতে নারাজ। টাইগাররা যেনো ‘লুস টক’এর সেই মঈন আকতারের কথাটি খুবই গুরুত্বের সাথে নিয়ে নিয়েছে। এবারও তারা ‘হাম নেহি জিতেঙ্গে মাতলাব হাম জিতেঙ্গে’ এমন বিশ্বাসে অনঢ়। এই বিশ্বকাপের মূল পর্বে যেন ২০১৪ সালের পুনরাবৃত্তি। ৪ ম্যাচের ৪টিতেই হার!

২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি: 

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বৈশ্বিক কোন আসরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন এই টুর্নামেন্টে। ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ। আর এই টুর্নামেন্টে গ্রুপ-এ রানার্স আপ হয়ে সেমি ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ। যদিও বৃষ্টিতে অস্ট্রেলিয়ার দুইটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে ১ জয় এবং ১ ড্র মিলিয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে সেমি নিশ্চিত করে তৎকালীন মাশরাফি বাহিনী। এতে আশায় বুক বাধে দেশের হাজারও ক্রিকেট প্রেমী। তবে সেমি ফাইনালে ভারত বাধা আর পার করতে পারেনি টাইগাররা। ভারতের কাছে ৯ উইকেটে হেরে বিদায় নিতে হয় টুর্নামেন্ট থেকে। 

২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ: 

এর আগে ২০১৫ বিশ্বকাপ ও ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সুখস্মৃতি নিয়ে বাংলাদেশ ইংল্যান্ডে যায় ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলতে। সম্পূর্ণ নতুন সংস্করণের এই বিশ্বকাপে শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এক নয়া সূর্য উদিত করে টাইগাররা। কিন্তু এরপর শুরু হয় আবার হারের বৃত্তে আটকে পড়া। ১০ দলের এই বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচের মাত্র ৩টিতে জিততে পেরেছিল বাংলাদেশ। যা ছিল ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে এক হতাশার গল্প। 

২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপ: 

টি-২০ বিশ্বকাপের এই আসরে আবারো পুনরাবৃত্তি ২০১৪ ও ২০১৬ আসরের। এ আসরেও যথারীতি প্রথম পর্ব থেকে মূল পর্বে কোন যদি কিন্তু ছাড়া উত্তীর্ণ হয় বাংলাদেশ। কিন্তু মূল পর্বের ৫ ম্যাচে ৫ হার। আবার কোন অর্জন ছাড়া দেশে ফেরে টাইগার বাহিনী। 

২০২২ টি-২০ বিশ্বকাপ: 

টি-২০ বিশ্বকাপের সব ব্যর্থতা ভুলে নতুন রূপে বাংলাদেশ। এবার বিশ্বকাপে সরাসরি মূল পর্বে জায়গা করে নিল টিম টাইগার্স। এ বিশ্বকাপে তেমন আশানুরূপ ফল অর্জন করতে না পারলেও অস্ট্রেলিয়ার বাউন্সি উইকেটে গ্রুপ পর্বের ২ টি ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ এবং টুর্নামেন্টে গ্রুপ-ডি তে ৫ নম্বরে থেকে শেষ করে টুর্নামেন্ট।

২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ: 

সবশেষ ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়া আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের এ আসরে ৯ ম্যাচে মাত্র দুই জয় থেকে ৪ পয়েন্ট তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। এরপর ফল পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে ৮ নম্বর স্থান এবং বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার আগেই বিমানের টিকেটে দেশের পথ ধরেছে বাংলাদেশ।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭