ইনসাইড বাংলাদেশ

সাদিক অ্যাগ্রোতে ডিএনসিসির অভিযান, ইমরানের দম্ভচূর্ণ


প্রকাশ: 27/06/2024


Thumbnail

দম্ভ চূর্ণ হলো সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরানের। মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খাল দখল করে ব্যবসা করার সত্যতা মেলায় ভেঙে ফেলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির একাংশ। এছাড়া উচ্ছেদ করা হয়েছে অন্য দখলদারদেরও। সিটি করপোরেশন জানায়, খালে পানি প্রবাহ ফেরাতে কোনও অবৈধ দখলদারকেই ছাড় দেয়া হবে না।

খাল সড়কের জায়গা দখল করে রাখায় মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকার সাদিক অ্যাগ্রোতে অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) অভিযানে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সাদিক অ্যাগ্রোর দখল করা অবৈধ অংশ।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকার সাদিক অ্যাগ্রোতে অভিযান শুরু হয়। অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসান। অভিযানে ডিএনসিসির এক্সেভেটর বুলডুজারসহ বিশেষ যান দিয়ে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

অভিযানে ডিএনসিসির অভিযান পরিচালনাকারী দলের সদস্যরা ছাড়াও পরিচ্ছন্নতা কর্মী অংশ নিয়েছেন। এছাড়া, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন।

অভিযানের শুরুতে খালের অংশে দখলে থাকা অস্থায়ী স্থাপনাগুলো গুড়িয়ে দেওয়া হয়। সাদিক অ্যাগ্রো ছাড়াও বেশ কিছু অস্থায়ী স্থাপনা এখানে গড়ে উঠেছিল, সেগুলোও উচ্ছেদ করেছে ডিএনসিসি। মূলত খালের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছিল সাদিক অ্যাগ্রোর খামার। দখলের কারণে মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খাল সাদিক অ্যাগ্রোর অংশে একটি নালাতে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি সড়কের জায়গাও দখল করেছে তারা। মূলত সেই কারণে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে ডিএনসিসি।

উচ্ছেদ অভিযানের সময় আলোচিত সেই ১৫ লাখ টাকার ছাগলটিসহ অন্যান্য গবাদিপশু সরিয়ে নেওয়া হয়। এই ‘উচ্চবংশীয়’ ১৫ লাখ টাকা দামের ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনায় আসেন এনবিআরের সদ্য সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ওরফে ইফাত।

উচ্ছেদ অভিযান চালানো ঢাকা উত্তর সিটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, কোনো ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই অভিযান চালানো হচ্ছে না। খালের জায়গা যে বা যারা দখল করে রেখেছে, তাদের উচ্ছেদে এ অভিযান চালানো হচ্ছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন বলেন, ‘এই জমির মালিক আমি নই। আমি এই জায়গার একজন ভাড়াটিয়া। তাই উচ্ছেদ অভিযানে আমার কিছু যায় আসে না। আমি অন্য জায়গায় চলে যাব।’

তিনি বলেন, ‘এই জায়গায় মালিক দ্বিতীয়তলায় থাকেন। আমি নিচতলা ভাড়া নিয়েছি। খাল ভরাটসহ যা কিছু বলা হচ্ছে সবই মালিকের করা। আমার কিছুই না। দ্বিতীয় তলায় যেহেতু তিনি থাকেন এবং সিটি কর্পোরেশন যদি মনে করে যে এটা ভেঙে দেবেন, তো ভেঙে দিতে পারে।’





প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭