ক্লাব ইনসাইড

গাছের গুঁড়ি-খড়ি পাচার করতে গিয়ে ধরা, ইবি কর্মচারী বরখাস্ত


প্রকাশ: 27/06/2024


Thumbnail

গ্রীষ্মকালীন ও পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে গত ৬ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত বন্ধ ছিলো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) একাডেমিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রম। ছুটি চলাকালীন ক্যাম্পাসে কেটে রাখা শত মণ গাছের গুঁড়ি ও খড়ি পাচারের ঘটনা ঘটে। ক্যাম্পাস নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের কর্মচারী ফরিদুল ইসলাম গোপনে এসব গুঁড়ি সরিয়ে নেন বলে জানা যায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ওই কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফরিদ উদ্দীন বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের কম্পিউটার অপারেটর। ঈদের ছুটিতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ইবি ক্যাম্পাস থেকে গাছের গুঁড়ি ও খড়ি নিয়ে যান তিনি। এই অপরাধে কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা-বিধির ১২ এর ১ ধারা অনুযায়ী ২৬ জুন অপরাহ্ন থেকে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। তবে বরখাস্ত থাকাকালীন বিধি অনুযায়ী জীবন-ধারণ ভাতা পাবেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আনসার সদস্যরা জানান, গত ১৪ জুন ভোর ৫টার দিকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক দিয়ে ৭-৮টি ভ্যানযোগে গাছের গুঁড়ি ও ডালপালা বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় আনসার সদস্যরা ভ্যান বের হতে বাঁধা দিলে ওই কর্মচারী সশরীরে উপস্থিত হয়ে ভ্যানগুলো বাইরে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। ভ্যান যাতায়াতের সময় অভিযুক্ত কর্মচারী মোটরসাইকেলে করে টহল দেন। সিসিটিভি ফুটেজে ভ্যানে গাছের গুঁড়ি সরিয়ে নেওয়া এবং ওই কর্মচারীর চলাচলের দৃশ্য দেখা যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে ফটকের বাইরে ও ভেতরে যাওয়া-আসা করছেন। এসময় গাছের গুঁড়িভর্তি কয়েকটি ভ্যান বের হয়। সেগুলোতে কয়েকটিতে বড় গাছের গুঁড়ি আর কয়েকটিতে ছোট-বড় খড়ি ছিল।

বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিল করতে এস্টেট প্রধান বরাবর নোট দেওয়া হয় প্রক্টর অফিস থেকে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর নোট আকারে সেটা রেজিস্ট্রার দপ্তরে পাঠানো হয়। পরে অভিযুক্ত কর্মচারীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। পরে কর্তৃপক্ষ এই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত মালি আলতাফ হোসেন বাংলা ইনসাইডারকে জানান, ঈদের ছুটির আগে বিভিন্ন জায়গায় ১০০-১৫০ মণের মতো খড়ি কেটে রেখে গিয়েছিলাম। ক্যাম্পাসে ফিরে দেখি এর কিছুই নেই।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত কর্মচারী ফরিদুল ইসলাম বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, আমি একটি ভ্যানে কিছু খড়ি নিয়ে যাচ্ছিলাম। প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা (আব্দুস সালাম সেলিম) স্যারের সঙ্গে কথা বলেই নিয়েছিলাম। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়র কর্মচারী বাধা দিলে সেগুলো আনসার ক্যাম্পের সামনে রেখে আসি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম সেলিম বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, আমাকে বলেছিল কিছু ছোটখাটো খড়ি আর পাতা নিয়ে যাবে। তাই বাধা দেইনি। যখন শুনলাম তিন ভ্যান খড়ি নিয়ে গেছে, আমি তাকে সব ফেরত দিয়ে যেতে বলেছি। এটা অবশ্যই চুরি এবং বড় অপরাধ। সিকিউরিটির দায়িত্বে থেকে এমন কাজ করা মোটেও সমীচীন নয়।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭