ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজার শুজাইয়া ছেড়ে পালিয়েছেন ৬০ হাজার ফিলিস্তিনি


প্রকাশ: 29/06/2024


Thumbnail

ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছেই। এই উপত্যকার কোনো স্থানই এখন নিরাপদ নয়। নিরীহ নারী, পুরুষ এবং শিশুদের নৃশংসভাবে হত্যা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় ৮ মাস ধরে চলা এ আগ্রাসনে অন্তত ৩৭ হাজার ৮৩৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮৬ হাজার ৮৫৮ জন।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেছেন, গাজা শহরের শুজাইয়ার আশেপাশে ইসরায়েল নতুন করে অভিযান চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে ৬০ হাজার বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন। অপরদিকে দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি এলাকায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে ৫ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, গাজা সিটিতে রাতভর ইসরায়েলি অভিযানে চার শিশুসহ ৬ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১৫ জন। গাজার মাঘাজি শরণার্থী শিবিরেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সেখানেও হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জানিয়েছে, তাদের সঙ্গে লড়াইয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর চার সেনা নিহত এবং পাঁচ সেনা আহত হয়েছে।

এর আগে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের প্রধান এক ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, হাজার হাজার নিখোঁজ শিশুর মৃতদেহ গাজার বিভিন্ন স্থানে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে যত মানুষ নিহত বা আহত হয়েছে তার মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। সেখানে প্রতিদিনই ছোট ছোট শিশুরা যুদ্ধের তাণ্ডবে প্রাণ হারাচ্ছে বা আহত হচ্ছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা আনরোয়া জানিয়েছে, ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রতিদিন গড়ে ১০টি শিশু একটি অথবা দুটি পা হারিয়ে পঙ্গু হচ্ছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭