ইনসাইড বাংলাদেশ

আগাম জামিন চাইতে পারে মতি


প্রকাশ: 29/06/2024


Thumbnail

এনবিআরের সদ্য সাবেক সদস্য ড. মতিউর রহমান আগাম জামিন চাইতে পারেন। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, ইতোমধ্যে তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ শুরু করেছেন এবং এই পরামর্শের অংশ হিসেবেই হাইকোর্টে আগামী রোববার অথবা সোমবার তিনি আগাম জামিনের আবেদন করতে পারেন। তবে অন্য একটি সূত্র বলছেন, প্রথমে তার স্ত্রী লায়লা কানিজ আগাম জামিনের আবেদন করবেন এবং এটির অবস্থান বুঝে তারপর মতিউর রহমান আগাম জামিনের আবেদন করবেন।

এখনও মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে কোনরকম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়নি। কেবল দুদক তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। এরকম পরিস্থিতিতে আগাম জামিনের প্রয়োজনীয়তা কেন- এ রকম প্রশ্নের জবাবে একজন আইনজীবী বলেছেন যে, আগাম জামিনের বিষয়টি মামলার আগে আগে করতে হয়। মতিউর রহমান যদি মনে করেন যে, তাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে গ্রেপ্তার করা হবে বা মামলা হতে পারে, তাহলে তিনি আগাম জামিনের আবেদন করতেই পারেন। তবে বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। সারাদেশে মতিউর রহমানের সীমাহীন দুর্নীতি নিয়ে একটি আবহ তৈরি হয়েছে। এই কারণেই শেষপর্যন্ত আগাম জামিনের আবেদন তিনি করবেন কি না তা নিয়ে অনেকের সংশয় রয়েছে।

এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন সূত্র বলছে যে, আগামী সপ্তাহে কোন এক সময় দুর্নীতি দমন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে ড. মতিউর রহমান, তার দুই স্ত্রী এবং সন্তানদেরকে দুদকে তলব করতে পারেন। পৃথক পৃথক ভাবে প্রত্যেককে দুদকে হাজিরা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হতে পারে বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।  সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আগামী রোববার তদন্তকারী কর্মকর্তারা এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

ইতোমধ্যে ড. মতিউর রহমান এবং তার পরিবারের অবৈধ সম্পত্তির ব্যাপারে তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এই তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে মতিউর রহমান এবং তার পরিবারের অবৈধ সম্পদের ব্যাপারে অনুসন্ধান শুরু করেছে। তারা মতিউর রহমানের কিছু সম্পত্তি জব্দ করার জন্য আদালত থেকে অনুমতি পেয়েছে। একই সাথে মতিউর রহমান এবং তার পরিবারের বিদেশ যাওয়ার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে মতিউর রহমানকে দুর্নীতি দমন কমিশন কবে তলব করবে সে সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। আগামী রোববার বা সোমবার এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, মতিউর রহমান তার প্রথম স্ত্রী এবং প্রথম পক্ষের ছেলে দেশেই অবস্থান করছে। তবে তার দ্বিতীয় স্ত্রী এবং সন্তানরা মালয়েশিয়া চলে গেছেন বলে নিশ্চিত খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া মতিউর রহমানের কন্যা ইপ্সিতাও এখন দেশে নেই। তিনি কানাডায় অবস্থান করছেন। এখন দেখার বিষয় যে মতিউর রহমান দুর্নীতি দমন কমিশনের এই তদন্ত কিভাবে মোকাবেলা করেন।

একটি সূত্র বলছে যে, এর আগেও চারবার দুর্নীতি দমন কমিশন মতিউর রহমানকে নিয়ে তদন্ত করেছিল এবং চারবারই দুর্নীতি দমন কমিশন মতিকে ক্লিনশিট দিয়েছে। কাজেই মতিউর রহমান দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনের ফাঁক ফোকর গুলো ভালোমতোই জানেন এবং এ নিয়ে তিনি প্রস্তুতিও শুরু করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, মতিউর রহমানের সঙ্গে যাদের ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব আছে এবং সরকারি বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা যারা মতিউর রহমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ তারাই তাকে পরামর্শ দিচ্ছেন। সাময়িক ঝড় সামাল দেওয়ার পর মতিউর রহমানকে কিভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে সে ব্যাপারেও তাদের পরামর্শ মতিউর রহমান নিয়মিতভাবে গ্রহণ করছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আগামী রোববার বা সোমবার মতিউর রহমান প্রকাশ্য হতে পারেন এবং প্রকাশ্য হওয়ার জন্য তিনি প্রথমে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করতে পারেন। তবে শেষ পর্যন্ত মতিউর রহমান কি করবেন সেটি এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা প্রকাশ্য হওয়ার প্রেক্ষিতে এই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে যে, খুব শিগগিরই প্রকাশ্যে আসছেন মতিউর রহমান।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭