ইনসাইড পলিটিক্স

রিজভীর আওয়ামী লীগ কানেকশন


প্রকাশ: 01/07/2024


Thumbnail

রিজভীর এখন বসন্তকাল চলছে। বিএনপিতে তার অবস্থান অত্যন্ত শক্ত হয়েছে। বিএনপির নতুন কমিটি গুলোতে তার জয়জয়কার। এমনকি তার মহাসচিব হওয়ারও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এইরকম অবস্থায় রিজভীর প্রতিপক্ষরা চুপচাপ বসে নেই। বরং তারা মনে করছে রিজভীকে যেভাবে আপোষহীন এবং আন্দোলনমুখী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বাস্তবতা তা নয়। বরং রিজভীর সঙ্গে সরকারের একটি গোপন সম্পর্ক রয়েছে এবং সেই সম্পর্কের জেরেই রিজভী রাজনীতি করছেন। 

আরও পড়ুন: বিএনপিতে শুরু হচ্ছে রিজভী যুগ

রিজভীর সঙ্গে সরকারের গোপন সম্পর্কের ব্যাপারে বিএনপি নেতারা এখন শুধু খোঁজ-খবরই নিচ্ছেন না। লন্ডনে পলাতক বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করছেন। প্রশ্ন উঠেছে, রিজভী কত বড় সংগঠন? তিনি কোন এলাকায় প্রতিনিধিত্ব করেন এবং এলাকায় তার জনপ্রিয়তা কি? এসমস্ত প্রশ্ন নিয়েই এখন কর্মীদের কাছে যাচ্ছেন রিজভী বিরোধী নেতারা। তারা বলছেন যে, অন্যরা মিছিল করলে তাদেরক গ্রেপ্তার করা হয়, রিজভীকে কেন গ্রেপ্তার করা হয় না? 

আরও পড়ুন: এবার বিএনপিতে স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠনের তোড়জোড়

রিজভী মাত্র একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তারপর জামিন পান। ২৮ অক্টোবর যখন বিএনপি নেতাদের ঢালাওভাবে গ্রেপ্তার শুরু হয় তখনও রিজভী কীভাবে বাইরে ছিলেন? এসময় রিজভী মিছিল করেছেন। সরকারের সঙ্গে একটি গোপন এবং প্রচ্ছন্ন সম্পর্কের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে বলে বিএনপি’র নেতাদের দাবি।

বিএনপির একাধিক নেতা দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে রিজভীর গোপন সম্পর্ক রয়েছে। আর একারণেই রিজভীকে গ্রেপ্তার করা হয় না। তার আন্দোলনকে প্রশ্রয় দেয়া হয়। রিজভীর আন্দোলন নিয়েও বিএনপি নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলছেন, হঠাৎ করে একটি মিছিল করা বা দলীয় কার্যালয়ের নিরাপদ স্থানে থেকে প্রতিদিন গণমাধ্যমের সামনে মুখরোচক কথা বলা রাজনীতি নয়। তিনি সংগঠন গোছানোর জন্য কি করেছেন, বড় আন্দোলনে তিনি কীভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন এসব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এসব ক্ষেত্রে রিজভীর কোন ভূমিকা নেয় বলেই মনে করেন অনেকে। 

আরও পড়ুন: মুখোমুখি ফখরুল-তারেক

বিএনপির একজন নেতা মনে করেন, রিজভী দলীয় কার্যালয় পাহারা দেন বটে। তাছাড়া হঠাৎ করে ঝটিকা মিছিলের নামে একটি উত্তাপ সৃষ্টি করা ছাড়া তার কোন কর্মকাণ্ড নেয়। রিজভী এই ঝটিকা মিছিলগুলো করেন সরকারের সঙ্গে যোগসাজশ করে। সরকার রিজভীকে দিয়ে প্রমাণ করতে চায়, যে বিরোধী দল সক্রিয়। তাদের কর্মসূচিতে বাঁধা দেয়া হয় না। বিরোধী দল যে রাজনীতিতে সক্রিয় আছে এটা প্রমাণ করা হয় রিজভীকে দিয়ে। রিজভী সরকারের কাছ থেকে নানারকম সুযোগ সুবিধা পায় বলেও বিএনপির কোন কোন নেতা দাবি করছেন। 

তবে, রিজভী পন্থীরা এই ধরনের বক্তব্যকে অস্বীকার করেছেন। তারা মনে করেন, রিজভী আপোষহীন নেতার এক প্রতীক। শুধু এখন নয়। এক এগারো থেকেই রিজভী বিএনপি রক্ষার জন্য নিরলস ত্যাগ স্বীকার করেছেন। শুধু রিজভী নয়, তার পরিবারের ত্যাগ বিএনপিতে একটি বড় প্রেরণা বলেও বিএনপির কোন কোন নেতা দাবি করেন। 

কর্মীদের কাছে রিজভী গত কয়েকবছরে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তার জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্যই রিজভীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে বলে কেউ কেউ মনে করে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭