প্রকাশ: 01/07/2024
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচন ঘিরে গত
সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে প্রথম প্রসিডেন্সিয়াল ডিবেট। বলা যায়, সাবেক
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে হেরে একেবারে নাস্তানাবুদ হয়ে নিজ দলের কাছেই এখন সমালোচনার
মুখে পড়েছেন মার্কিন মুল্লুকের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এমনকি ৮১ বছর বয়সী বয়োজ্যেষ্ঠ এ নেতাকে
সরিয়ে
অন্য
কাউকে
প্রার্থী করা
যায়
কি
না,
তা
নিয়েও
দলের ভেতরে চলছে আলোচনা। তবে রাজনীতির এমন
টালমাটাল পরিস্থিতিতে বাইডেন অবশ্য তার পরিবারকে ঠিকই পাশে পেয়েছেন। মার্কিন
প্রেসিডেন্টের পরিবার চায়, বাইডেন যেন
শেষ
পর্যন্ত নির্বাচনী লড়াইয়ে
থাকেন।
একইসঙ্গে তার পরিবারের পক্ষ থেকে
অভিযোগ বিতর্কে খেই হারানোর জন্য
বাইডেন
নন বরং তার উপদেষ্টারাই দায়ী।
রোববার ক্যাম্প ডেভিডে অনুষ্ঠিত এক পারিবারিক অনুষ্ঠানে
বাইডেনের ভবিষ্যত রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নিয়ে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেন তার পরিবারের
সদস্যরা। সদ্য হয়ে যাওয়া প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটের পর থেকেই এমন প্রশ্ন জেগেছে তার
পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। এসময় পরিবারের ওই অনুষ্ঠানে তার স্ত্রী, সন্তান ও তার
নাতিরা উপস্থিত ছিলেন। নিউ ইয়র্ক টাইমসের বিবৃতি দিয়ে জানা যায়, তার পরিবারের সদস্যরা
আগামী চার বছরের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে বাইডেনের সক্ষমতার
বিষয়ে এখনও পুরোপুরি আস্থাশীল।
এমনকি প্রথম বিতর্কে কীভাবে
নাস্তানাবুদ হয়েছেন
এ ডেমোক্র্যাট নেতা, সে
বিষয়েও জানেন পরিবারের সদস্যরা। তা সত্ত্বেও তাদের বিশ্বাস ট্রাম্পকে হারানোর জন্য এ মুহুর্তে বাইডেনই সবচেয়ে
যোগ্য
ব্যক্তি।
বার্তা
সংস্থা
এপি’র খবরে বলা
হয়েছে,
নির্বাচনের মাঠে চাপ সামলে
শেষ
পর্যন্ত বাইডেনকে লড়াইয়ে টিকে থাকার বিষয়ে
সবচেয়ে
জোরালো
সমর্থন
যুগিয়ে যাচ্ছেন তার স্ত্রী
জিল
ও পুত্র হান্টার।
অবশ্য প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠরা আরও
দাবি
করেন,
বিতর্কের জন্য
বাইডেনকে ঠিকভাবে প্রস্তুত করেননি
উপদেষ্টারা।
গত
সপ্তাহে বিতর্কের সময়
ট্রাম্পের ঝাঁঝালো আক্রমণের বিরুদ্ধে কর্কশ
ও কম্পিত কণ্ঠে কথা বলতে শোনা
যায়
মার্কিন এ প্রেসিডেন্টকে। কিছু
কিছু
সময়
পুরো
বাক্যও
শেষ
করতে
পারেননি তিনি।
বিপরীতে ট্রাম্পের ধারাবাহিক মিথ্যা দাবির কাছে বাইডেনকে দেখা যায় বেশ
অপ্রস্তুত। এসময় ট্রাম্প বলেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে তিনিই
জিতেছিলেন। কিন্তু
সেই
ভুলগুলো ধরিয়ে
দেওয়া
বা
এমন দাবির বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ করতে
পারেননি বয়োবৃদ্ধ বাইডেন।
ফ্লোরিডাভিত্তিক অ্যাটর্নি এবং
বাইডেনের নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের
দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যতম জন মরগান বলেন,
আমার
বিশ্বাস, তাকে
(প্রেসিডেন্ট) অতিরিক্ত শেখানো
হয়েছিল,
তিনি
অতিরিক্ত অনুশীলন করেছিলেন।
অন্যদিকে বাইডেনের ঘনিষ্ঠ আরেক
ব্যক্তি বার্তা
সংস্থা
রয়টার্সকে জানিয়েছেন, উপদেষ্টাদের কাছে
তিনি
অনুরোধ
করেছিলেন, বিতর্কের আগে
যেন
প্রেসিডেন্টের জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয় ও এবিষয়টি নিশ্চিত করা
হয়।
বাস্তবিকে সেটি হয়নি।
বাইডেন
ক্লান্ত হয়ে
পড়েছিলেন। তার
কথায়,
অসুস্থ
ও ক্লান্ত দেখানো প্রেসিডেন্টকে বাইরে
পাঠানো
খুবই
খারাপ
সিদ্ধান্ত ছিল।
ক্যাম্প ডেভিডের ওই অনুষ্ঠানটিতে মূলত আসন্ন জাতীয় গণতন্ত্র
সম্মেলনের প্রস্তুতি হিসেবে এক ফটোশুটের আয়োজন করা হয়েছিল।
এদিকে ডিবেট পরবর্তী সময়ে ৪৬ শতাংশ মার্কিন জনগণ মনে করছেন
বাইডেনের নির্বাচনে অংশ নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়া উচিত। যদিওবা এর আগে গত
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে তার পক্ষে জনমত ছিল মাত্র ৩৬ শতাংশ।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭