ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারত থেকে বিদায় নিল ৪২০ ধারা


প্রকাশ: 02/07/2024


Thumbnail

বদলে গেল ব্রিটিশ যুগের ভারতের দণ্ডবিধি আইন। আর কেউ প্রতারণা ও জালিয়াতি ঘটনার জেরে ‘ফোর টোয়েন্টি’ বা ‘৪২০’ বলতে পারবে না। জালিয়াতি বা প্রতারণার দণ্ড থাকলেও সেই দণ্ড আর দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় নেই। সেই ধারা বদলে গেছে নতুন করে কার্যকর হওয়া ভারতের ‘ন্যায় সংহিতা’ আইনে।

সোমবার (১ জুলাই) বিদায় হয়ে গেল ভারতের দণ্ডবিধির এই ধারা। 

ভারতে দণ্ডবিধি আইনকে আমূল পরিবর্তন করে চালু করা হয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বা বিএনএস। এই বিএনএস অনুযায়ী প্রতারণা ও জালিয়াতির ধারা বদলে হয়েছে ৩১৮ (৪) ধারা। আবার গৃহবধূ নির্যাতনের ধারা ছিল দণ্ডবিধির ৪৯৮ এ। নতুন কার্যকর হওয়া ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় সেই ধারা বদলে হয়েছে ৮৫। এছাড়া কিছু দণ্ডের ধারা বদলে গেছে ন্যায় সংহিতায়।

১৮৬০ সালে তৈরি হয় ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ (ভারতীয় দণ্ডবিধি)।

সোমবার ভারতে কার্যকর হয়েছে এই ন্যায় সংহিতা। তবে ৩০ জুন রাত ১২টার আগে সংগঠিত অপরাধের বিচার হবে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুয়ায়ী, আর রাত ১২টা পর সংগঠিত অপরাধের জন্য এই আইন কার্যকর হবে নতুন ন্যায় সংহিতার ধারা অনুযায়ী।

যদিও এই আইনের বদলকে একদল আইনজীবীও মেনে নেয়নি। আলিপুর, কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্ট ও শিয়ালদহের আদালতে আইনজীবীদের একাংশ এই আইনের প্রতিবাদ করে কালো ব্যাজ পরলেও আবার অনেকেই মামলায় শামিল হয়েছেন। তবে সোমবার বামফ্রন্ট, এসইউসিআইর ছাত্র সংগঠন ডিএসও, মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর, সিপিআই (এমএল) এবং নতুনকরে কলকাতায় গড়া ‘সংগঠন বাঁচাও সমিতি’ কলকাতায় এই আইনের প্রতিবাদে সভা সমাবেশ করেছে। 

আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, এই আইন কার্যকর হওয়ায় অনেক আইনজীবী ও মক্কেল সমস্যায় পড়বেন। অনেকে আবার বলছেন, এই আইনে সংশোধন এনে বহু আইনকে আরও কড়া করা হয়েছে। দণ্ডের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। গণপিটুনির মতো অপরাধের শাস্তি যাবজ্জীবন থেকে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত করার বিধান রাখা হয়েছে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭