ইনসাইড বাংলাদেশ

ফেনীর ‘দুঃখ ঘোচাতে’ টেকসই বাঁধ নির্মানের আশ্বাস


প্রকাশ: 02/07/2024


Thumbnail

ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির প্রবল চাপে ফেনীর ‍ফুলগাজী ও পরশুরামে মহুরী-কহুয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে পড়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। তাছাড়া এঘটনায় এই দুই উপজেলার এসএসসি পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়। 

মঙ্গলবার (২ জুলাই) পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকসহ বন্যার্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন ফেনী- আসনের (ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া) সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী নাসিম। সময় ফেনীর দুঃখ হিসেবে আলোচিত মুহুরী-কহুয়া-সিলোনীয়া নদী বন্যা নিয়ন্ত্রণ টেকসই বাঁধ বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

আলাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘সকালে বন্যা দুর্গত এলাকা দেখে আসি। এরপর পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সাথে বাঁধের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেছি। মুহুরী-কহুয়া-সিলোনিয়া নদীতে স্থায়ী টেকসই বাঁধ নির্মাণ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। ইতোমধ্যে প্রকল্পের সমীক্ষা করা হয়েছে এবং জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে চেষ্টা করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেনটেকসই বাঁধ নির্মাণে দাপ্তরিক কাজ দ্রুততার সাথে চলছে। এই প্রকল্প ব্যয় প্রায় ৯শ কোটি টাকা হবে। এর দ্রুত বাস্তবায়ন হলে স্থায়ী সমাধান হবে। এতে মানুষের কষ্ট এবং ফসলহানি রোধ হবে।’

এর আগে সোমবার (১ জুলাই) রাতে বাঁধ ভাঙ্গার খবর পেয়ে রাতেই ঢাকা থেকে নিজ সংসদীয় আসনে যান ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন নাছিম। এবিষয়ে পরে তিনি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করলে আজ (মঙ্গলবার) বাঁধের অবস্থা সরেজমিনে দেখতে প্রতিমন্ত্রী ফেনীতে আসেন।


ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের দৌলতপুর এবং পরশুরামের শালধর এলাকায় বাঁধের ভাঙন এবং বন্যার্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে মুহুরী-কহুয়া-সিলোনিয়া নদীতে টেকসই দীর্ঘস্থায়ী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নিয়ে একটি সমীক্ষা করা হয়েছে। দুই মাসের মধ্যে প্রকল্পটি একনেকে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হবে। দ্রুততর সময়ে প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে।’

জেলা প্রশাসক শাহীন আক্তার জানান,‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত পরিস্থিতি তদারকি হচ্ছে। যেসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা ওইসব এলাকা পরিদর্শন করছেন। দুর্যোগ মোকাবিলায় শুকনো খাবারসহ অন্যান্য সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।’

উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার (১ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফুলগাজী উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের তিনটি অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এতে উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুরসহ পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়। এছাড়া পরশুরাম উপজেলার দক্ষিণ শালধর এলাকার জহির চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন বাঁধের একটি অংশে বাঁধ ভেঙে দক্ষিণ শালধর, মালিপাথর, নিলক্ষ্মী, ঘোষাইপুর এবং পাগলিরকুল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া মুহুরী নদীতে বন্যার পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে এক যুবক প্রাণ হারিয়েছেন বলে তার স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। রাতেই মুহুরী বাঁধের একটি স্থান ভেঙে ফুলগাজী বাজার পানিতে তলিয়ে যায়। ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কে তিনফুট পানি উঠে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যে প্লাবিত লোকালয়ে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭