প্রকাশ: 03/07/2024
বিদায়ী অর্থবছরে দেশের তীব্র ডলার সংকটের সময়েও বাংলাদেশ ব্যাংক বিপুল পরিমাণে ডলার বিক্রি করেছে। দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে রিজার্ভ থেকে ১২.৭৯ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়। আমদানি বিল পরিশোধে সহায়তা করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই উদ্যোগ নেয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুসারে, ২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক ৭.৬২ বিলিয়ন ডলার, ২০২৩ অর্থবছরে ১৩.৫৮ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২৪ অর্থবছরে ১২.৭৯ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে সরবরাহ করে। আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি (বিপিএম৬) অনুযায়ী, গত ৩০ জুন পর্যন্ত মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২১.৮৩ বিলিয়ন ডলার এবং নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৬.০৩ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া, ২০২৩–২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছে ৪৯.৩৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১২.৫৯ শতাংশ কম।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে অস্থিতিশীলতার পেছনে রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘন ঘন নীতি পরিবর্তন এবং অফিসিয়াল ও অনানুষ্ঠানিক বিনিময় হারের মধ্যে ব্যবধান। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই ডলার সংকট বাড়তে থাকে, যা এক পর্যায়ে তীব্র আকার ধারণ করে। এক সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছালেও পর্যায়ক্রমে তা কমে যায়।
সাম্প্রতিক সময়ে রেমিট্যান্সের উচ্চ প্রবাহ এবং আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকসহ উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বাজেট সহায়তাসহ বিভিন্ন ঋণের কিস্তি পাওয়ায় রিজার্ভ কিছুটা বেড়েছে। তবে ব্যাংকাররা জানান, বিদেশি মুদ্রা বাজারের অব্যবস্থাপনা এবং নীতিগত অস্থিরতা ডলারের সংকটকে আরও ঘনীভূত করেছে।
ডলারের এই অস্থিতিশীলতা মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক কীভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হলে দীর্ঘমেয়াদি ও স্থিতিশীল নীতি গ্রহণ করা জরুরি।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭