ইনসাইড গ্রাউন্ড

ক্যারিয়ারের গোধূলিতে আবারও এক হলেন মেসি-রোনালদো!


প্রকাশ: 04/07/2024


Thumbnail

লিওনেল মেসি নাকি ক্রিষ্টিয়ানো রোনালদো, কে সেরা? এমন বিতর্ক তো এখনও চলেই আসছে। ভক্ত সমর্থকদের মধ্যেও সেরার তর্ক-বিতর্ক এখনও চলমান। ফুটবলের এই দুই মহাতারকার ক্যারিয়ারের যত অর্জন তার বেশির ভাগই এসেছে একই সময়ে। ভিন্ন মহাদেশের এই দুই সুপারস্টার সাফল্যে তাদের মধ্যে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করেছে।

একটা সময় ছিল যেখানে আজ মেসি রোনালদোকে ছেড়ে গেছেন তো পরদিনই আবার মেসিকে ছুয়ে ফেলেছেন রোনালদো। এই দুই মহাতারকার প্রাইম টাইমে এমন রেকর্ড আর রেকর্ড ব্রেক তো হরহামেশাই দেখতে পেতেন দর্শকরা। সাফল্যের ক্ষেত্রে দুজনের যেমন অনেক মিল পরিলক্ষিত, এবার ব্যর্থতার ক্ষেত্রেও এরকমই মিল খুজে পাওয়া গেল মেসি রোনালদোর মধ্যে। 

আমেরিকা জার্মানিতে এই মুহুর্তে চলছে দুটি মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে, কোপা আমেরিকা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। আর চলমান এই দুই আসরেই দুই সুপারস্টারের ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা হল। নিজ নিজ মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতায় খেলতে নেমে গ্রুপ পর্বে কোনো গোলই পাননি লিওনেল মেসি ক্রিষ্টয়ানো রোনালদো!

অথচ নিজ নিজ দেশের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় সবার উপরেই আছে এলএমটেন সিআর সেভেনের নাম। পর্তুগীজ সুপারস্টার তো আন্তর্জাতিক ফুটবলের ইতিহাসেই সর্বোচ্চ সংখ্যক গোলের মালিক।

৩৭ বছর বয়সী লিও মেসি কোপায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে। অপরদিকে ৪০ ছুঁই ছুঁই রোনালদো ২০১৬ ইউরো চ্যাম্পিয়নদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

কোপা আমেরিকায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে এরইমধ্যে কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লিখিয়েছে মেসির আর্জেন্টিনা। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে তিন ম্যাচের তিনটিতেই জয় পেয়েছে আলবিসেলস্তেরা। যেখানে এলএমটেন মাঠে নেমেছিলেন দুই ম্যাচে আর ইনজুরি থাকায় খেলতে পারেননি গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ। কিন্তু দুই ম্যাচে মাঠে থাকলেও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি মেসি। মেসি যে পাননি একটিও গোল।

এলএমটেনের এমন অভিজ্ঞতা অবশ্য এবারই প্রথম নয়। এর আগে ২০০৭ এবং ২০১১ কোপা আমেরিকার আসরের গ্রুপ পর্বেও গোলের দেখা পাননি মেসি। ফলে ক্যারিয়ারের সম্ভাব্য শেষ কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্ব গোল ছাড়াই শেষ করতে হল আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে

এদিকে নিজের প্রথম দুই কোপার আসরে গোলের খাতা খুলতে না পারলেও পরের চার আসরে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তী ঠিকই পেয়েছিলেন গোলের দেখা। ২০১৫ কোপার গ্রুপ পর্বে এক গোল করা মেসি ২০১৬ তে গ্রুপ পর্বের হ্যাটট্রিক করেছিলে। এরপর ২০১৯ সালেও এক গোল করেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। আর সর্বশেষ ২০২১ সালে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আসরে গ্রুপ পর্বে মেসি করেছিলেন গোল। তবে চলমান কোপা আমেরিকায় প্রুপ পর্বে গোল না পাওয়া আর্জেন্টাইন মহাতারকা প্রথম ম্যাচে একটি গোলে সহায়তা করেন।

অন্যদিকে মেসির এমন অভিজ্ঞতা একাধিকবার থাকলেও রোনালদোর ক্যারিয়ারে এমন অভিজ্ঞতা এবারই প্রথম। চলমান ইউরোর গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচে মাঠে নেমে একবারও গোলের দেখা পাননি পর্তুগীজ মহাতারকা। তবে চলমান ইউরোয় প্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে একটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন রোনালদো। কিন্তু নিজে গোল না করে সেটি ব্রুনো ফার্নান্দেজকে এসিস্ট করেন এর আগে ইউরোতে গ্রুপ পর্ব থেকে কখনোই খালি হাতে না ফেরা রোনালদো।

২০০৪ সালে ইউরোয় আগমন ঘটে রোনালদোর। ২০০৪ ২০০৮ সালে গুরপ পর্বে সমান একটি করে গোল করেন রোনালদো। এরপর ২০০৮ ২০১২ সালে গ্রুপ পর্বে সমান জোড়া গোলের দেখা পাওয়া রোনালদোর সেরা আসর ছিল ২০২০ ইউরো। গত আসরে গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে রোনালদো একাই করেছিলেন গোল।

ইউরোয় সবচেয়ে বেশি ১৪ গোলের মালিক রোনালদো এখনও পর্যন্ত চলমান আসরের গ্রুপ পর্ব দ্বিতীয় রাউন্ড কোথায় গোলের দেখা পাননি। নক আউট পর্বের ম্যাচে তো পেনাল্টি থেকেও গোল করতে ব্যার্থ হন পর্তুগীজ মহাতারকা।

মেসি রোনালদো ক্যারিয়ারের সম্ভাব্য শেষ কোপা ইউরোতে গ্রুপ পর্বটা গোলহীনই কাটালেন। তবে শেষ পর্যন্ত ট্রফি জিততে পারলে গোল না পাওয়ার বেদনা নিশ্চয়ই ভুলে যাবেন এই দুই মহাতারকা।

কোপা ইউরোর শেষ চারে যাওয়ার লড়াইয়ে শুক্রবার ভোরে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর। একইদিন দিবাগত রাতে পর্তুগাল লড়বে ফ্রান্সের বিপক্ষে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭