টেক ইনসাইড

চুয়েট আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের যাত্রা শুরু

প্রকাশ: ০৩:২৩ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২২


Thumbnail চুয়েট আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের যাত্রা শুরু

তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ এবং জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশের প্রথম আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে।

বুধবার (০৬ জুলাই) সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে শেখ জামাল ও রোজী জামালের নামে দুটি পৃথক ডরমেটরির উদ্বোধন করেন তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানটি গণভবন, আইসিটি মন্ত্রণালয় ও চুয়েট তিন প্রান্ত থেকে একযোগে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

চুয়েট প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, চুয়েট ভিসি, চুয়েট আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর প্রকল্প পরিচালক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ দশমিক ৭ একর জায়গায় দেশের প্রথম আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন করা হয়েছে। এখানে ২২০ জনের প্রশিক্ষণের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি বিটিসিএল'র মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ আছে। ২০১৭ এর জুলাই থেকে শুরু করে ২০২২ এর জুন পর্যন্ত নির্ধারিত মেয়াদেই এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এখান থেকেই উদ্ভাবিত হবে নতুন নতুন আইডিয়া। সেই সকল আইডিয়াকে বাস্তবায়নে রূপদান করার একটি ক্ষেত্র হবে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরির মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে এই ইনকিউবেটর ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

চুয়েটের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম জানান, শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর প্রকল্পের আওতায় ৫০ হাজার বর্গফুট আয়তনের ১০ তলা ইনকিউবেশন ভবন এবং ৩৬ হাজার বর্গফুটের ছয় ও চারতলা দুটি বহুমুখী প্রশিক্ষণ ভবন তৈরি করা হয়েছে। ইনকিউবেশন ভবনে রয়েছে স্টার্টআপ জোন, ইনোভেশন জোন, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিক জোন, ব্রেইনস্টর্মিং জোন, এক্সিবিশন সেন্টার, ই-লাইব্রেরি জোন, ডাটা সেন্টার, রিসার্চ ল্যাব, ভিডিও কনফারেন্সিং কক্ষ ও সভাকক্ষ। এ ছাড়া ব্যাংক ও আইটি প্রতিষ্ঠানের জন্য পৃথক কর্নার, সাইবার ক্যাফে, ফুড কোর্ট, বিনোদনের ব্যবস্থা ও মিডিয়ার জন্য নির্ধারিত স্থান থাকবে।

চুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বিশ্বে তাক লাগিয়েছে চীন ও ভারত। চুয়েটে শেখ কামাল বিজনেস ইনকিউবেটর প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সে পথেই হাঁটছে বাংলাদেশ।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ১১৭ কোটি ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও ১১৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকায় পুরো কাজ শেষ করা হয়েছে। বাকি ৩ কোটি ২২ লাখ টাকা সরকারকে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের মধ্যে আছে ১০ তলা পর্যন্ত ডিম্বাকৃতির ইনকিউবেশন ভবন। এর প্রতি ফ্লোর ৫ হাজার বর্গফুট করে মোট ভবনের আয়তন ৫০ হাজার বর্গফুট। শেখ জামাল ও রোজি জামালের নামে নারী ও পুরুষদের জন্য রয়েছে পৃথক দুটি চার তলা বিশিষ্ট ডরমিটরি। প্রতি ডরমেটরিতে ৪০টি কক্ষ আছে। দুটি ভবনের মোট আয়তন ৪০ হাজার বর্গফুট। আরও আছে ৬ ছয় তলা মাল্টিপারপাস প্রশিক্ষণ ভবন যার প্রতি ফ্লোর ৬ হাজার বর্গফুট করে মোট আয়তন ৩৬ হাজার বর্গফুট।

চুয়েট আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর   যাত্রা শুরু  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

গুগল হোমপেজের বিশেষ ডুডলে মহান স্বাধীনতা দিবস

প্রকাশ: ১০:৪১ এএম, ২৬ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বাঙালি জাতির জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আজ ২৬ মার্চ,  সেই মহান স্বাধীনতা দিবস। এ উপলক্ষে হোমপেজে বিশেষ ডুডল দিয়েছে বিশ্বের জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল। ছবিতে গুগলের নামের মধ্যে শোভা পাচ্ছে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা।

কোনো কিছু খোঁজার জন্য আজ সারাদিন গুগলে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে বাংলাদেশের পতাকা সংবলিত দৃষ্টিনন্দন এ ডুডল। এতে কার্সর ধরলে বা ট্যাপ করলে উঠছে ‘বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্স ডে ২০২৪’। আর তাতে ক্লিক করলেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের ইতিহাস এবং এ সম্পর্কিত ওয়েবসাইটগুলো দেখাবে গুগল।

বিশেষ কোনো দিন, বিশেষ কোনো ব্যক্তি কিংবা আবিষ্কার নিয়ে সার্চ বক্সের ওপরে নিজেদের লোগোর পরিবর্তে এর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নকশার যে লোগো তৈরি করে গুগল, তাকেই বলা হয় ডুডল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসে দৃষ্টিনন্দন ডুডল প্রকাশ করেছে জনপ্রিয় এ সার্চ ইঞ্জিন।


গুগল   ডুডল   স্বাধীনতা দিবস  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

সারা দেশে আজ বিঘ্নিত হবে ইন্টারনেট সেবা

প্রকাশ: ০৮:০৬ এএম, ০২ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সাবমেরিন ক্যাবলের রক্ষণাবেক্ষণের কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। আজ শনিবার (২ মার্চ) সাবমেরিন ক্যাবল (সি-এমই-ডব্লিউই-৪) সিস্টেমের সিঙ্গাপুর প্রান্তে রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলবে। যার কারণে সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে।

গত বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)-এর পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাবমেরিন ক্যাবল (সি-এমই-ডব্লিউই-৪) সিস্টেমের সিঙ্গাপুর প্রান্তে কনসোর্টিয়াম কর্তৃক গৃহীত রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করার জন্য ২ মার্চ সকাল ৭টা হতে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রায় ১২ ঘণ্টা এই ক্যাবলের মাধ্যমে সংযুক্ত সার্কিটগুলো আংশিক বন্ধ থাকবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, কুয়াকাটায় স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন (সি-এমই-ডব্লিউই-৫) ক্যাবলের মাধ্যমে সংযুক্ত সার্কিটগুলো যথারীতি চালু থাকবে।

এ বিষয়ে গ্রাহকদের আগাম তথ্য জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে এবং মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে অপারেটর কোম্পানিগুলো। এসব বার্তায় বলা হয়েছে, শনিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সারাদেশে ইন্টারনেট সার্ভিস ব্যবহারে অসুবিধা হতে পারে।


ইন্টারনেট   সি-এমই-ডব্লিউই-  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

স্মার্ট বাংলাদেশ: শিগগিরই প্রণয়ন হচ্ছে এআই পলিসি

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

স্মার্ট বাংলাদেশ বলতে স্বাভাবিকভাবে বোঝায় প্রযুক্তিনির্ভর নির্মল ও স্বচ্ছ তথা নাগরিক হয়রানিবিহীন একটি রাষ্ট্র বিনির্মাণ প্রক্রিয়া, যেখানে ভোগান্তি ছাড়া প্রত্যেক নাগরিক পাবে অধিকারের নিশ্চয়তা এবং কর্তব্য পালনের সুবর্ণ এক সুযোগ। সেই স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখাকে চার ভাগে ভাগ করে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার।

স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকনোমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি-এ শব্দগুলোর সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমেই স্মার্ট বাংলাদেশ থিওরিকে বাস্তবে রূপায়ণ করা সম্ভব, যার মূল সারমর্ম হলো-দেশের প্রত্যেক নাগরিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবে, উইথ স্মার্ট ইকনোমি; অর্থাৎ অর্থনীতির সব কার্যক্রমে প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিচালনা করা। আর এ বিবেচনা থেকেই খুব শিগগিরই বাংলাদেশে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) পলিসি প্রণয়ন হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউনেস্কো বাংলাদেশের প্রধান ড. সুজান ভাইজের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ১৮-২৫ বছর বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের সাংবাদিকতা বিষয়ে প্রশিক্ষণের জন্য এটুআই এবং ইউনেস্কো একসঙ্গে কাজ করবে। শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাবের মাধ্যমে এআই শিক্ষাকে বিভিন্ন বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের সম্মুখে তুলে ধরার জন্য শিক্ষকদের সচেতন হিসেবে গড়ে তোলার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আইসিটি বিভাগ, ও ইউনেস্কো একসঙ্গে সচেতনতা এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। 

তিনি বলেন, স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমি, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের এজ প্রকল্পের সঙ্গে এআই লিটারেসি এবং এআই সচেতনতা তৈরির জন্য আমরা পলিটিক্যাল লিডারশিপ, ব্যুরোক্রেটিক লিডারশিপ, একাডেমিয়া এবং ইন্ডাস্ট্রি এই চারটি প্রধান স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে চারটি সেশন আয়োজন করা হবে। ২০৪১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য আইসিটি বিভাগ এবং ইউনেস্কো একসঙ্গে কাজ করবে। আমাদের ৫ কোটি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে স্মার্ট দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এবং সরকারের সেবাগুলোকে পেপারলেস ও প্রযুক্তির আওতায় আনতে আমরা ইউনেস্কোর সঙ্গে কাজ করতে চাই।

এছাড়া, সাইবার সিকিউরিটি, প্রয়োজনীয় আইন ও নীতিমালা সম্পর্কে সচেতন করার জন্য আইসিটি বিভাগ এবং ইউনেস্কো একসঙ্গে সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

স্মার্ট বাংলাদেশ   এআই পলিসি   কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

টেলিভিশন অ্যাড বা বিজ্ঞাপনের রহস্য

প্রকাশ: ১০:৫৯ এএম, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

টেলিভিশনে কোন গুরুত্বপূর্ণ খবর বা ছবি, ক্রিকেট ম্যাচ বা কোন অনুষ্ঠান দেখার সময় হঠাৎ নিত্যপ্রয়োজনীয় বা প্রমোশনাল কোন বিজ্ঞাপন যদি ভেসে উঠে সেটাকে সবাই অ্যাড নামেই চিনে। সাধারণত টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের একটি দৃশ্যমান বা শ্রবণমান প্রদান করার জন্য তৈরি করা হয় বিজ্ঞাপন যা প্রচারিত হয় টেলিভিশনে।

এই বিজ্ঞাপনগুলোতে কোন প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য, সেবা, বা ইভেন্টগুলি প্রমোট বা প্রচার করতে ব্যবহার করে। মূলত দুইটি মাধ্যমে প্রচারিত হতে পারে এই বিজ্ঞাপন। একটি হল দৃশ্যমান বিজ্ঞাপন, যা কোন চলচ্চিত্র, সিরিজ, বা কোন স্পেশাল কার্যক্রম প্রচাকালে ব্যবহৃত হয়। আর অন্যটি শ্রবণমান বিজ্ঞাপন, যা কোন অনুষ্ঠান, রেডিও বা দৃশ্যমান নয় সেখানেই প্রচারিত হয়ে থাকে।

দেখা যায়, টেলিভিশনে মাঝে মাঝে এই অ্যাড বা বিজ্ঞাপন খুব বিরক্তিকর বলে মনে হলেও, কখনো কি মনে হয়েছে আচ্ছা এই বিজ্ঞাপনের রহস্য কি? কবেই বা শুরু হয়েছিল এই বিজ্ঞাপন? অথবা এই বুদ্ধিটা কোথা থেকে বা কীভাবে এলো? কেই-বা প্রথম শুরু করল অ্যাড বা বিজ্ঞাপন বানানো?

মূলত, টেলিভিশন বা অন্যান্য মাধ্যমে ব্যবসায়িক বিক্রির উদ্দেশ্যে কোনো পণ্য বা সেবা সাধারণ মানুষের কাছে প্রচারের মাধ্যম হল বিজ্ঞাপন। সর্বপ্রথম বিজ্ঞাপনের শুরুটা হয় সূচের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রায় খৃষ্টপূর্ব সাত শত বছর আগে চীনের ইনান শহর থেকে। প্রথম বিজ্ঞাপনটি প্রচারিত হয়লিউ ফ্যমিলি নিডেলশপ ব্রোঞ্জের প্লেটে খোদাই করে। তখনকার সময়ের বিজ্ঞাপনে বর্তমান সময়ের বিজ্ঞাপনের তুলনায় কোনো ভাষাগত পরিবর্তন ছিল না। বর্তমান সময়ের ভাষার সঙ্গে যথেষ্ট মিল ছিল।

পরবর্তীতে ছাপাখানার আবিষ্কারের পর যখন ১৭ শতকের দিকে পত্রিকার জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করল,পত্রিকাকেই তখন বিজ্ঞাপনের প্রচারের প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হলো। (Bofton news letter) পত্রিকায় জমি বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়। এবং এটিই পত্রিকা ইতিহাসে সর্বপ্রথম বিজ্ঞাপন প্রচার। ১৪৭৬-৭৭ সালের দিকে সর্বপ্রথম ইংরেজি ভাষায় (Caxton Press) বই বিপণনের জন্যে লন্ডনের চার্চ গুলোর দেয়ালে, ফটকে বিজ্ঞাপন দেন।

তারপর ১৮৩০ সালে বিজ্ঞাপনের নতুন এক মাধ্যম হিসেবে আবিভার্ব ঘটল বিলবোর্ডর।জারেড বেল’ নামক আমেরিকান পেইন্টার ইলাস্ট্রেটর একটি ৫০ স্কয়ার ফিটের বিলবোর্ড আঁকেন যেটি ছিল প্রথম বিজ্ঞাপনী বিলবোর্ড। বিলবোর্ডটি ছিল একটি সার্কাসের। এরপর শুরু হলো টেলিভিশনে বিজ্ঞাপনের যাত্রা। টিভিতে বিজ্ঞাপনের সূচনা সর্বপ্রথম হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৪১ সালে, মাত্র ২০ সেকেন্ডের একটি ফুটবল ম্যাচের সময় সূচি প্রচারের মাধ্যমে। যেটি প্রচার করতে খরচ হয়েছিল ডলারের মতো।

বাংলায় বিজ্ঞাপনের আবিভার্বে দেখা যায়, ৭০৭ ডিটারজেন্ট সোপের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১৯৬৭ সালে বাংলাদেশে টিভিতে প্রথম বিজ্ঞাপনটি প্রচারিত হয়। বাংলা শব্দে প্রথম বিজ্ঞাপন ছাপা হয় ১৭৭৮ সালে 'ক্যালকাটা ক্রনিকল' নামক একটি ইংরেজি পত্রিকায়। একটি বাংলা ব্যাকরণবিষয়ক বইয়ের প্রচারণা ছিল সেটি।

১৮৫০ সালে যখন ব্রিটিশ সরকার চায়ের চাষ শুরু করল তখন সেটিকে প্রচার করে তুলতে পোস্টার ছাপানো শুরু করে। যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞপনের মাধ্যমেও ঘটেছে ব্যাপক পরিবর্তন। বিস্তার ঘটেছে দেশের সবর্ত্র। হয়েছে বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইন্টারনেটভিত্তিকও।

ডিজিটালযুগে বিজ্ঞাপনের সবচেয়ে নতুন মাধ্যম হলো ইন্টারনেট। সবচেয়ে আধুনিক মাধ্যম এই ইন্টারনেট বিজ্ঞাপনকে সবার পকেট অবধি পৌঁছে দিয়েছে।

যদিও ১৯৯৪ সালকে ইন্টারনেট জগতে বিজ্ঞাপন প্রচারের সূত্রপাত ধরা হয়। (hotwire.com) প্রথম (ad banner) এর মধ্যদিয়ে বিজ্ঞাপনের সূচনা করে। বিজ্ঞাপন প্রচারে ইতিহাসের সর্বশেষ সংযোজন হল সোশ্যাল মিডিয়া সাইট গুলোতে বিজ্ঞাপনের বিস্তার। এখন প্রায় সব ওয়েব সাইটেই কিছুটা জায়গা বরাদ্দ থাকে বিজ্ঞাপনের জন্য, আপনি যখন আর্টিক্যালটি পড়ছেন তখনও হয়তো লিখাটির আশেপাশে বিজ্ঞাপন রয়েছে।

উল্লেখ্য, শুধু পত্রিকার বিজ্ঞাপন ছাড়া বিজ্ঞাপনের অন্যকোন মাধ্যম আজ আর সংরক্ষিত নেই, তবে বিজ্ঞাপনী ভাষায় দিনকে দিন পরিবর্তন এসেছে।


টেলিভিশন   অ্যাড   বিজ্ঞাপন   ইভেন্ট  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

রাজশাহীতে শুরু হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ টেক এক্সপো

প্রকাশ: ১১:৩৩ এএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি রাজশাহী শাখার আয়োজনে ১৫-১৯ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর নবনির্মিত বিলাসবহুল এবং আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন বিপণী বিতান স্বপ্নচূড়া প্লাজার উদ্বোধন এবং প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের জাঁকজমকপূর্ণ প্রদর্শনী ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টেক এক্সপো ২০২৪, রাজশাহী’।

‘তারুণ্য আর প্রযুক্তি/ স্মার্ট রাজশাহীর শক্তি/ তরুণরাই গড়বে স্মার্ট বাংলাদেশ’ শ্লোগানে আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে তথ্যপ্রযুক্তির ৭০টি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টেক এক্সপো ২০২৪ রাজশাহী’ উপলক্ষে রাজশাহীর ওম্যানস কলেজ রোডের মধুবন মাল্টিকুইজিন রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিসিএস রাজশাহী শাখার চেয়ারম্যান এবং প্রদর্শনীর আহ্বায়ক এ এফ কাশেমী সোহেল।

এসময় বিসিএস রাজশাহী সিটি কর্পোরেশেনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাফিজ মিশু, শাখার ভাইস চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাদ হোসেন, জয়েন্ট সেক্রেটারি মো. খাইরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ এস.এম. মুসফিক-উস-সালেহীন এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. নজরুল ইসলামসহ প্লাটিনাম স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পরিচালনায় কাদীরগঞ্জে অবস্থিত ‘স্বপ্নচূড়া প্লাজা’ আধুনিক সুযোগ সুবিধাসম্পন্ন বিপণী বিতানে মিলবে কেনাকাটার স্বাচ্ছন্দ্যের পাশাপাশি সঠিক পণ্য কেনার নিশ্চয়তা। ‘স্বপ্নচূড়া প্লাজা’র ৩য় এবং ৪র্থ তলায় থাকবে প্রযুক্তিপণ্য প্রদর্শন এবং বিপণন কেন্দ্র।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে চালু হতে যাচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের এ বাণিজ্যকেন্দ্রটি। ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে এ বাণিজ্যকেন্দ্র সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হবে।

প্রদর্শনীর আহ্বায়ক এ এফ কাশেমী সোহেল জানান, স্বপ্নচূড়া প্লাজার তৃতীয় এবং চতুর্থ তলায় অনুষ্ঠিত হবে স্মার্ট বাংলাদেশ টেক এক্সপো ২০২৪ রাজশাহী। এই প্রদর্শনীতে হালনাগাদ প্রযুক্তির সম্ভার নিয়ে ৭৫টি স্টল এবং ০৯টি প্যাভেলিয়ন থাকবে। প্রযুক্তিপণ্য ক্রয়ে মিলবে আকর্ষণীয় উপহার এবং মূল্যছাড়। মেলায় প্রবেশের টিকেটের উপর লটারি অনুষ্ঠিত হবে। ড্র’তে মিলবে আকর্ষণীয় উপহার।

সম্মেলনে আরো জানানো হয়, দর্শনার্থীদের জন্য মেলায় ফ্রি ইন্টারনেট ও ওয়াই-ফাই জোনের সুবিধা মিলবে। এছাড়া প্রতিদিন থাকবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

তিনি আরো জানান, এই প্রদর্শনীতে তথ্যপ্রযুক্তির নিত্যনতুন ও জীবনধারাভিত্তিক আবিষ্কারের খোঁজ মিলবে যার মাধ্যমে সাধারণ জীবনে পাওয়া যাবে স্মার্ট সল্যিউশন। পাশাপাশি থাকবে সচেতনতা, বিনোদন ও শিক্ষামূলক বৈচিত্র্যময় নানা আয়োজনের মধ্যে থাকবে ২টি সেমিনার ও বিটুবি সেশন।

‘স্মার্ট বাংলাদেশ টেক এক্সপো ২০২৪ রাজশাহী এর প্রবেশমূল্য ১০ টাকা। স্কুল শিক্ষার্থী এবং সংবাদকর্মীদের জন্য বিনামূল্যে প্রবেশের ব্যবস্থা থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান (লিটন) প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এম.পি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এবং রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। অনুষ্ঠানে বিসিএস মহাসচিব কামরুজ্জামান ভূইয়া, ঝিজিয়াং ইউনিভিউ টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেডের আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগের কারিগরি পরিচালক আর্নল্ড লিউ, এক্সেল টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গৌতম সাহা উপস্থিত থাকবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বিসিএস সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার।

সকাল ১১ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টেক এক্সপো ২০২৪ রাজশাহী’ প্রদর্শনীর প্লাটিনাম স্পন্সর টিপিলিংক-এক্সেল এবং ইউনিভিউ। আসুস- গ্লোবাল ব্র্যান্ড, সাউথবাংলা কম্পিউটার- টেনডা এবং এইচপি-স্মার্ট প্রদর্শনীর গোল্ড স্পন্সর। প্রদর্শনীতে সিলভার স্পন্সর হিসেবে থাকছে কম্পিউটার সল্যুশনস ইঙ্ক (পিসি পাওয়ার, ডিপকুল, ডি-লিংক, ডিটেক), মনটেক রিভেঞ্জের, এমএসআই এবং অরাস-গিগাবাইট। প্রদর্শনীর মিডিয়া পার্টনার হিসেবে থাকছে সময় টিভি।


স্মার্ট বাংলাদেশ   টেক এক্সপো   মোস্তাফিজ মিশু   মো. সাজ্জাদ হোসেন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন