ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রতিষ্ঠান এফটিএক্স-এর
পর এবার নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণার জন্য আদালতে আবেদন করল আরেক ক্রিপ্টো ঋণদাতা সংস্থা
ব্লকফাই।
আটটি সহযোগী সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির একটি আদালতে এই আবেদন করে ব্লকফাই।
ব্লকফাই এমন একটি কোম্পানি যা প্রচলিত
ব্যাংকের অনুরূপ পদ্ধতিতেই কাজ করে, সঞ্চয়ের সুদ পরিশোধ করে এবং গ্রাহকের আমানত ব্যবহার
করে ঋণের তহবিল দেয়।
সংস্থাটি দেউলিয়াত্বের আবেদনে জানিয়েছে,
বর্তমানে তাদের হাতে ২৫৬.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নগদ রয়েছে। আদালতের নথি অনুসারে, এর
পাওনাদারদের মধ্যে এফটিএক্সও রয়েছে। এর কাছে ২৭৫ মিলিয়ন ডলার পাওনা রয়েছে। এছাড়া
ইউএস সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কাছে পাওনা রয়েছে ৩০ মিলিয়ন ডলার।
মন্তব্য করুন
সাবমেরিন
ক্যাবলের রক্ষণাবেক্ষণের কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে
পারে। আজ শনিবার (২
মার্চ) সাবমেরিন ক্যাবল (সি-এমই-ডব্লিউই-৪) সিস্টেমের সিঙ্গাপুর
প্রান্তে রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলবে। যার
কারণে সকাল ৭টা থেকে
সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ইন্টারনেট
সেবা বিঘ্নিত হতে পারে।
গত বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)-এর পক্ষ থেকে
বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়, সাবমেরিন ক্যাবল
(সি-এমই-ডব্লিউই-৪)
সিস্টেমের সিঙ্গাপুর প্রান্তে কনসোর্টিয়াম কর্তৃক গৃহীত রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করার জন্য
২ মার্চ সকাল ৭টা হতে
সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রায়
১২ ঘণ্টা এই ক্যাবলের মাধ্যমে
সংযুক্ত সার্কিটগুলো আংশিক বন্ধ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে
আরও জানানো হয়, কুয়াকাটায় স্থাপিত
দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন (সি-এমই-ডব্লিউই-৫) ক্যাবলের মাধ্যমে
সংযুক্ত সার্কিটগুলো যথারীতি চালু থাকবে।
এ বিষয়ে গ্রাহকদের আগাম তথ্য জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে এবং মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে অপারেটর কোম্পানিগুলো। এসব বার্তায় বলা হয়েছে, শনিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সারাদেশে ইন্টারনেট সার্ভিস ব্যবহারে অসুবিধা হতে পারে।
মন্তব্য করুন
স্মার্ট বাংলাদেশ এআই পলিসি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
মন্তব্য করুন
টেলিভিশনে
কোন গুরুত্বপূর্ণ খবর বা ছবি,
ক্রিকেট ম্যাচ বা কোন অনুষ্ঠান দেখার সময় হঠাৎ নিত্যপ্রয়োজনীয়
বা প্রমোশনাল কোন বিজ্ঞাপন যদি ভেসে
উঠে সেটাকে সবাই অ্যাড নামেই চিনে।
সাধারণত টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের একটি দৃশ্যমান বা শ্রবণমান প্রদান করার জন্য তৈরি করা
হয় বিজ্ঞাপন যা প্রচারিত হয়
টেলিভিশনে।
এই বিজ্ঞাপনগুলোতে কোন প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য, সেবা, বা ইভেন্টগুলি প্রমোট বা প্রচার করতে ব্যবহার
করে। মূলত দুইটি মাধ্যমে প্রচারিত হতে পারে
এই বিজ্ঞাপন। একটি হল দৃশ্যমান বিজ্ঞাপন,
যা কোন চলচ্চিত্র, সিরিজ, বা কোন স্পেশাল কার্যক্রম প্রচাকালে ব্যবহৃত হয়।
আর অন্যটি শ্রবণমান বিজ্ঞাপন,
যা কোন অনুষ্ঠান, রেডিও বা দৃশ্যমান নয় সেখানেই প্রচারিত
হয়ে থাকে।
দেখা যায়, টেলিভিশনে মাঝে মাঝে এই অ্যাড বা বিজ্ঞাপন খুব বিরক্তিকর বলে মনে হলেও, কখনো কি মনে হয়েছে আচ্ছা এই বিজ্ঞাপনের রহস্য কি?
কবেই বা শুরু হয়েছিল এই বিজ্ঞাপন? অথবা এই বুদ্ধিটা কোথা থেকে বা কীভাবে এলো? কেই-বা প্রথম শুরু করল অ্যাড বা বিজ্ঞাপন বানানো?
মূলত, টেলিভিশন বা অন্যান্য মাধ্যমে ব্যবসায়িক ও বিক্রির উদ্দেশ্যে কোনো পণ্য বা সেবা সাধারণ মানুষের কাছে প্রচারের মাধ্যম হল বিজ্ঞাপন।
সর্বপ্রথম বিজ্ঞাপনের শুরুটা হয়
সূচের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে
প্রায় খৃষ্টপূর্ব সাত শত বছর আগে চীনের
ইনান শহর থেকে। প্রথম বিজ্ঞাপনটি
প্রচারিত হয় ’লিউ ফ্যমিলি নিডেল’ শপ ব্রোঞ্জের প্লেটে খোদাই করে। তখনকার সময়ের বিজ্ঞাপনে বর্তমান সময়ের বিজ্ঞাপনের তুলনায় কোনো ভাষাগত পরিবর্তন ছিল না। বর্তমান সময়ের ভাষার সঙ্গে যথেষ্ট মিল ছিল।
পরবর্তীতে ছাপাখানার আবিষ্কারের পর যখন ১৭ শতকের দিকে পত্রিকার জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করল,পত্রিকাকেই তখন বিজ্ঞাপনের প্রচারের প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হলো। (Bofton news letter) পত্রিকায় জমি বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়। এবং এটিই পত্রিকা ইতিহাসে সর্বপ্রথম বিজ্ঞাপন প্রচার। ১৪৭৬-৭৭ সালের দিকে সর্বপ্রথম ইংরেজি ভাষায় (Caxton Press) বই বিপণনের জন্যে লন্ডনের চার্চ গুলোর দেয়ালে, ফটকে বিজ্ঞাপন দেন।
তারপর ১৮৩০ সালে বিজ্ঞাপনের নতুন এক মাধ্যম হিসেবে আবিভার্ব ঘটল বিলবোর্ড’র। ‘জারেড বেল’ নামক আমেরিকান
পেইন্টার ও ইলাস্ট্রেটর একটি ৫০ স্কয়ার ফিটের বিলবোর্ড আঁকেন যেটি ছিল প্রথম বিজ্ঞাপনী বিলবোর্ড। বিলবোর্ডটি ছিল একটি সার্কাসের। এরপর শুরু হলো টেলিভিশনে বিজ্ঞাপনের যাত্রা। টিভিতে বিজ্ঞাপনের সূচনা সর্বপ্রথম হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৪১ সালে, মাত্র ২০ সেকেন্ডের একটি ফুটবল ম্যাচের সময় সূচি প্রচারের মাধ্যমে। যেটি প্রচার করতে খরচ হয়েছিল ৯ ডলারের মতো।
বাংলায় বিজ্ঞাপনের আবিভার্বে দেখা যায়,
৭০৭ ডিটারজেন্ট সোপের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১৯৬৭ সালে বাংলাদেশে টিভিতে প্রথম বিজ্ঞাপনটি প্রচারিত হয়। বাংলা শব্দে প্রথম বিজ্ঞাপন ছাপা হয় ১৭৭৮ সালে 'ক্যালকাটা ক্রনিকল' নামক একটি ইংরেজি পত্রিকায়। একটি বাংলা ব্যাকরণবিষয়ক বইয়ের প্রচারণা ছিল সেটি।
১৮৫০ সালে যখন ব্রিটিশ সরকার চায়ের চাষ শুরু করল তখন সেটিকে প্রচার করে তুলতে পোস্টার ছাপানো শুরু করে। যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞপনের মাধ্যমেও ঘটেছে ব্যাপক পরিবর্তন। বিস্তার ঘটেছে দেশের সবর্ত্র। হয়েছে বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইন্টারনেটভিত্তিকও।
ডিজিটালযুগে
বিজ্ঞাপনের সবচেয়ে
নতুন মাধ্যম হলো ইন্টারনেট। সবচেয়ে
আধুনিক মাধ্যম এই ইন্টারনেট বিজ্ঞাপনকে
সবার পকেট অবধি পৌঁছে
দিয়েছে।
যদিও
১৯৯৪ সালকে ইন্টারনেট জগতে বিজ্ঞাপন প্রচারের
সূত্রপাত ধরা হয়। (hotwire.com) প্রথম (ad banner) এর মধ্যদিয়ে
বিজ্ঞাপনের সূচনা করে। বিজ্ঞাপন প্রচারে
ইতিহাসের সর্বশেষ সংযোজন হল সোশ্যাল মিডিয়া
সাইট গুলোতে বিজ্ঞাপনের বিস্তার। এখন প্রায় সব
ওয়েব সাইটেই কিছুটা জায়গা বরাদ্দ থাকে বিজ্ঞাপনের জন্য,
আপনি যখন আর্টিক্যালটি পড়ছেন
তখনও হয়তো লিখাটির আশেপাশে
বিজ্ঞাপন রয়েছে।
উল্লেখ্য, শুধু পত্রিকার বিজ্ঞাপন ছাড়া বিজ্ঞাপনের অন্যকোন মাধ্যম আজ আর সংরক্ষিত নেই, তবে বিজ্ঞাপনী ভাষায় দিনকে দিন পরিবর্তন এসেছে।
টেলিভিশন অ্যাড বিজ্ঞাপন ইভেন্ট
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি রাজশাহী শাখার আয়োজনে ১৫-১৯ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর নবনির্মিত বিলাসবহুল এবং আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন বিপণী বিতান স্বপ্নচূড়া প্লাজার উদ্বোধন এবং প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের জাঁকজমকপূর্ণ প্রদর্শনী ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টেক এক্সপো ২০২৪, রাজশাহী’।
‘তারুণ্য আর প্রযুক্তি/ স্মার্ট
রাজশাহীর শক্তি/ তরুণরাই গড়বে স্মার্ট বাংলাদেশ’
শ্লোগানে আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে তথ্যপ্রযুক্তির
৭০টি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
মঙ্গলবার
(১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টেক এক্সপো ২০২৪
রাজশাহী’ উপলক্ষে রাজশাহীর ওম্যানস কলেজ রোডের মধুবন
মাল্টিকুইজিন রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো
হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিসিএস
রাজশাহী শাখার চেয়ারম্যান এবং প্রদর্শনীর আহ্বায়ক
এ এফ কাশেমী সোহেল।
এসময়
বিসিএস রাজশাহী সিটি কর্পোরেশেনের জনসংযোগ
কর্মকর্তা মোস্তাফিজ মিশু, শাখার ভাইস চেয়ারম্যান মো.
সাজ্জাদ হোসেন, জয়েন্ট সেক্রেটারি মো. খাইরুল ইসলাম,
কোষাধ্যক্ষ এস.এম. মুসফিক-উস-সালেহীন এবং
কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. নজরুল ইসলামসহ
প্লাটিনাম স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ
সম্মেলনে জানানো হয়, রাজশাহী সিটি
কর্পোরেশনের পরিচালনায় কাদীরগঞ্জে অবস্থিত ‘স্বপ্নচূড়া প্লাজা’ আধুনিক সুযোগ সুবিধাসম্পন্ন বিপণী বিতানে মিলবে কেনাকাটার স্বাচ্ছন্দ্যের পাশাপাশি সঠিক পণ্য কেনার
নিশ্চয়তা। ‘স্বপ্নচূড়া প্লাজা’র ৩য় এবং
৪র্থ তলায় থাকবে প্রযুক্তিপণ্য
প্রদর্শন এবং বিপণন কেন্দ্র।
বৃহস্পতিবার
(১৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে চালু হতে
যাচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের এ বাণিজ্যকেন্দ্রটি। ১৪ ফেব্রুয়ারি
থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে এ বাণিজ্যকেন্দ্র সর্বসাধারণের
জন্য খুলে দেয়া হবে।
প্রদর্শনীর
আহ্বায়ক এ এফ কাশেমী
সোহেল জানান, স্বপ্নচূড়া প্লাজার তৃতীয় এবং চতুর্থ তলায়
অনুষ্ঠিত হবে স্মার্ট বাংলাদেশ
টেক এক্সপো ২০২৪ রাজশাহী। এই
প্রদর্শনীতে হালনাগাদ প্রযুক্তির সম্ভার নিয়ে ৭৫টি স্টল
এবং ০৯টি প্যাভেলিয়ন থাকবে।
প্রযুক্তিপণ্য ক্রয়ে মিলবে আকর্ষণীয় উপহার এবং মূল্যছাড়। মেলায়
প্রবেশের টিকেটের উপর লটারি অনুষ্ঠিত
হবে। ড্র’তে মিলবে
আকর্ষণীয় উপহার।
সম্মেলনে
আরো জানানো হয়, দর্শনার্থীদের জন্য
মেলায় ফ্রি ইন্টারনেট ও
ওয়াই-ফাই জোনের সুবিধা
মিলবে। এছাড়া প্রতিদিন থাকবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
তিনি
আরো জানান, এই প্রদর্শনীতে তথ্যপ্রযুক্তির
নিত্যনতুন ও জীবনধারাভিত্তিক আবিষ্কারের
খোঁজ মিলবে যার মাধ্যমে সাধারণ
জীবনে পাওয়া যাবে স্মার্ট সল্যিউশন।
পাশাপাশি থাকবে সচেতনতা, বিনোদন ও শিক্ষামূলক বৈচিত্র্যময়
নানা আয়োজনের মধ্যে থাকবে ২টি সেমিনার ও
বিটুবি সেশন।
‘স্মার্ট
বাংলাদেশ টেক এক্সপো ২০২৪
রাজশাহী এর প্রবেশমূল্য ১০
টাকা। স্কুল শিক্ষার্থী এবং সংবাদকর্মীদের জন্য
বিনামূল্যে প্রবেশের ব্যবস্থা থাকবে।
সংবাদ
সম্মেলনে জানানো হয়, ১৫ ফেব্রুয়ারি
বিকেল ৪টায় রাজশাহী সিটি
কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান (লিটন)
প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে
উপস্থিত থাকবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও
তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এম.পি।
বিশেষ
অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র
আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এবং রাজশাহীর জেলা
প্রশাসক শামীম আহমেদ। অনুষ্ঠানে বিসিএস মহাসচিব কামরুজ্জামান ভূইয়া, ঝিজিয়াং ইউনিভিউ টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেডের আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগের কারিগরি পরিচালক আর্নল্ড লিউ, এক্সেল টেকনোলজিস
লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গৌতম সাহা উপস্থিত
থাকবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বিসিএস সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার।
সকাল ১১ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টেক এক্সপো ২০২৪ রাজশাহী’ প্রদর্শনীর প্লাটিনাম স্পন্সর টিপিলিংক-এক্সেল এবং ইউনিভিউ। আসুস- গ্লোবাল ব্র্যান্ড, সাউথবাংলা কম্পিউটার- টেনডা এবং এইচপি-স্মার্ট প্রদর্শনীর গোল্ড স্পন্সর। প্রদর্শনীতে সিলভার স্পন্সর হিসেবে থাকছে কম্পিউটার সল্যুশনস ইঙ্ক (পিসি পাওয়ার, ডিপকুল, ডি-লিংক, ডিটেক), মনটেক রিভেঞ্জের, এমএসআই এবং অরাস-গিগাবাইট। প্রদর্শনীর মিডিয়া পার্টনার হিসেবে থাকছে সময় টিভি।
স্মার্ট বাংলাদেশ টেক এক্সপো মোস্তাফিজ মিশু মো. সাজ্জাদ হোসেন
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। তবে প্রাপ্ত বয়স্ক থেকে শুরু করে সম্প্রতি শিশুরাও এই ইন্টারনেট ব্যবহারে নিয়মিত হচ্ছে। যুগের সাথে সম্পৃক্তে আধুনিকতার ফলে জানা অজানা অনেক মানুষই ইন্টেরনেটে আসক্ত হচ্ছে। কিন্তু এই ইন্টারনেট ব্যবহারে আপনি কি আসলেই সুরক্ষিত?
মূলত সাইবারের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয় এবং প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় তথ্য সহজেই শেয়ার করা বা বিতরণ হয়। সাইবার কার্যক্ষমতা সাধারণত কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত হয়ে থাকে, যাতে তথ্য সহজেই শেয়ার ও অ্যাক্সেস করা যায়।
সাইবার ব্যবহার হয় মূলত কমিউনিকেশনের বা যোগাযোগের জন্য, যা সুস্থ এবং তাৎক্ষণিক যোগাযোগ সরবরাহ করে জীবন যাত্রা সহজ করে তুলে। কিন্তু কিছু দুষ্ট প্রকৃতির এবং অপরাধ জগতের মানুষ এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তাদের স্বার্থ হাসিল করে।
এই অপরাধ কম্পিউটার বা ইন্টারনেট মাধ্যমে অনেক ভিন্ন ধরনের কার্যকর হতে পারে। এটি আমাদের দৈনন্দিন ডিজিটাল জীবনের বিভিন্ন দিকে একাধিক ধরনের হামলা, ফিশিং, ম্যালওয়্যার, ডোস হামলা, সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, আইডেন্টিটি চুরি, বৃহত্তর বা কম্পিউটারের সিস্টেমে অনুপ্রবেশ, সাইবার স্থলান্তর, এবং একাধিক অন্যান্য ধরনের হামলা হতে পারে।
ফিশিং করে মিথ্যা ওয়েবসাইট, ইমেইল বা অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ করে পাসওয়ার্ড, ব্যক্তিগত তথ্য, সংরক্ষণ করে তা ভুক্তভোগীকে প্রদান করে। অনেক সময় একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী অজানা ভাবে কম্পিউটারে ক্ষুদ্র প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার ইনস্টল করে আর তাতেই চুরি হয়ে যেতে পারে মূল্যবান সব তথ্য। ব্যক্তির নামে কোন অবৈধ কাজ বা ক্রাইম করার জন্য তার সাথে ভিন্ন উপাধি বা তথ্য ব্যবহার করা হয়। শুধু তাই নয়, সাইবার অপরাধীরা সামাজিক কৌশলের ব্যবহারের মাধ্যমে ও ব্যক্তির ভালবাসা, আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয় যাকে সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বলা হয়।
সাইবার সুরক্ষা এমন কার্যক্ষমতা যা ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল উপাদানের সুরক্ষা করে এবং যে সাইবার অপরাধ করে থাকে কোন প্রমাণ, বা দৃশ্যমান দেখায়না। সাইবার দিয়ে অপরাধ করাকে সাধারণত সাইবার বুলিং বলা হয়। যাতে শিকার হয় বর্তমান জেনারেশনের স্মার্ট বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস অসচেতন ব্যবহারকারীরা।
বাংলাদেশে সাইবার অপরাধ নিধনের জন্য কিছু উপায় এবং উদ্যোগ সম্পন্ন হচ্ছে এবং ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানগুলি সাইবার সিকিউরিটি ক্যাপাসিটি তৈরি করতে চেষ্টা করছে, যাতে ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান নিজেদের তথ্য রক্ষা করতে পারে।
জনগণের নিরাপত্তা এবং সিকিউরিটি কথা বিবেচনা করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরু থেকেই বিষয়টি আমলে নিয়ে সাইবার বুলিং বা সাইবার অপরাধ দমনের জন্য ‘সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন চালু করার নির্দেশ দেন। বাংলাদেশ পুলিশ কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম এর অধীনে এটি পরিচালিত করছে।
এর আগে এর নাম করণ ছিলো সাইবার সিকিউরিটি এন্ড ক্রাইম বিভাগ। আর এতে করে বাংলাদেশ পুলিশ এবং অন্যান্য কর্মকর্তা সাইবার অপরাধের নিরসনের তাদের প্রতিরোধ ক্যাপাবিলিটি উন্নত করছে, যাতে অপরাধীদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী লড়াইতে যাত্রার অবসান করা যায়। সরকার আইন এবং নীতি তৈরি করেছে যাতে সাইবার ইনসিডেন্ট রিসপন্স ক্যাপাবিলিটি তৈরি করে এই অপরাধের শাস্তি দেওয়া যায় এবং অপরাধীদের প্রতি একটি প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হতে করতে পারে।
১৯৯৩ সালে বাংলাদেশে প্রথম ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু হওয়ায় মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার যাত্রা শুরু করে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়ছে ১০ কোটিরও বেশি। ইন্টারনেট এবং সাইবারের কার্যক্ষমতা আমাদের ডিজিটাল জীবনে সহায়ক হতে সাহায্য করে।
আধুনিক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক, যেমন ইন্টারনেট চ্যাট রুম, ইমেইল, নোটিশ বোর্ড ও গ্রুপ এবং মোবাইল ফোন ব্যবহার করে, অপরাধমূলক অভিপ্রায়ে কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে সম্মানহানি, কিংবা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, বা ক্ষতির কারণ হওয়া।
এ ধরনের অপরাধ একটি জাতির নিরাপত্তা ও আর্থিক স্বাস্থ্য হুমকি হতে পারে। এই ধরনের অপরাধের ধরনগুলির মাধ্যমে অপরাধীরা ব্যক্তিগত এবং আধিকারিক তথ্যের ব্যবহারের মাধ্যমে লাভ করতে চেষ্টা করতে পারে। সাইবার সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য অভিজ্ঞতা, সচেতনতা, এবং সুরক্ষার উপায়গুলি রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ইন্টারনেট হ্যাকার সতর্কতা s সাইবার
মন্তব্য করুন
স্মার্ট বাংলাদেশ বলতে স্বাভাবিকভাবে বোঝায় প্রযুক্তিনির্ভর নির্মল ও স্বচ্ছ তথা নাগরিক হয়রানিবিহীন একটি রাষ্ট্র বিনির্মাণ প্রক্রিয়া, যেখানে ভোগান্তি ছাড়া প্রত্যেক নাগরিক পাবে অধিকারের নিশ্চয়তা এবং কর্তব্য পালনের সুবর্ণ এক সুযোগ। সেই স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখাকে চার ভাগে ভাগ করে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি রাজশাহী শাখার আয়োজনে ১৫-১৯ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর নবনির্মিত বিলাসবহুল এবং আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন বিপণী বিতান স্বপ্নচূড়া প্লাজার উদ্বোধন এবং প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের জাঁকজমকপূর্ণ প্রদর্শনী ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টেক এক্সপো ২০২৪, রাজশাহী’। ‘তারুণ্য আর প্রযুক্তি/ স্মার্ট রাজশাহীর শক্তি/ তরুণরাই গড়বে স্মার্ট বাংলাদেশ’ শ্লোগানে আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে তথ্যপ্রযুক্তির ৭০টি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। তবে প্রাপ্ত বয়স্ক থেকে শুরু করে সম্প্রতি শিশুরাও এই ইন্টারনেট ব্যবহারে নিয়মিত হচ্ছে। যুগের সাথে সম্পৃক্তে আধুনিকতার ফলে জানা অজানা অনেক মানুষই ইন্টেরনেটে আসক্ত হচ্ছে। কিন্তু এই ইন্টারনেট ব্যবহারে আপনি কি আসলেই সুরক্ষিত? মূলত সাইবারের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয় এবং প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় তথ্য সহজেই শেয়ার করা বা বিতরণ হয়। সাইবার কার্যক্ষমতা সাধারণত কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত হয়ে থাকে, যাতে তথ্য সহজেই শেয়ার ও অ্যাক্সেস করা যায়।