ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সুইস ব্যাংকের গোপনীয় তথ্য ফাঁস

প্রকাশ: ১২:১৫ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২


Thumbnail সুইস ব্যাংকের গোপনীয় তথ্য ফাঁস

‘সুইস সিক্রেটস’ শিরোনামে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি ব্যাংক ‘ক্রেডিট সুইসের’ গোপনীয় তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে বিশ্বজুড়ে। বৈধ আয়ের পাশাপাশি অবৈধ অর্থ গোপনীয়তার সাথে সংরক্ষণের জন্য বিখ্যাত সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোর এমন তথ্য ফাঁস হয়ার ঘটনায় নড়েচড়ে বসতে বাধ্য করেছে সবাইকে। 

ক্রেডিট সুইসের ফাঁস হওয়া নথিতে বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতা ও সাবেক সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের জমানো ‘গোপন সম্পদ’-এর তথ্য বের হয়ে এসেছে। আর এসব ব্যক্তিদের মাঝে আছেন উল্লেখযোগ্যসংখ্যক দেশের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানদের নাম।

সুইস ব্যাংকের ৩০ হাজার ব্যক্তির ব্যক্তিগত, যৌথ ও কর্পোরেট ১৮ হাজার অ্যাকাউন্টের তথ্য ফাঁস হয়েছে। ফাঁস হওয়া অ্যাকাউন্টে সম্পদের পরিমাণ ১০ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি। এসব অ্যাকাউন্ট চল্লিশের দশকের পর, ২০০০ সালের পর এবং বেশ কিছু গত দশকে খোলা হয়। এমনকি বেশ কিছু এখনো সচল রয়েছে। 

বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত ব্যক্তিরা ‘বিভিন্ন অনৈতিক পন্থা অবলম্বন’ ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ভূ-কৌশলগত ভূমিকা কাজে লাগিয়ে সুইস ব্যাংকে অর্থ জমিয়েছিলেন।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ‘সুইটডয়চে সেইটুং’কে একজন অজানা ‘তথ্য ফাঁসকারী (হুইসেলব্লোয়ার)’ এসব তথ্য সরবরাহ করেন। বিশ্বের অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন অর্গানাইজিং ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি) এবং দ্য গার্ডিয়ান, নিউ ইয়র্ক টাইমসসহ বিশ্বের ৫০টি সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা এসব তথ্য পর্যবেক্ষণ করে ‘সুইস সিক্রেটস’ শিরোনামে একযোগে প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমগুলো এসব ব্যক্তির সম্পদ অর্জনের কৌশলও প্রকাশ করে।

প্রতিবেদন প্রকাশের পর জার্মান সংবাদমাধ্যমটির পক্ষে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা বিশ্বাস করি, সুইস ব্যাংকিংয়ের গোপনীয়তা আইন অনৈতিক। গোপনীয়তা রক্ষার অজুহাত অনৈতিক কাজ ঢেকে রাখার কৌশল, যা অপরাধীদের সহযোগী হিসেবে সুইস ব্যাংকের লজ্জাজনক ভূমিকা আড়াল করে রাখে।’

ফাঁস হওয়া গোপন নথিতে বিভিন্ন দেশের যেসব সাবেক ও বর্তমান গোয়েন্দা প্রধানদের নাম রয়েছে তাদের মাঝে আছেন, পাকিস্তানের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) সাবেক প্রধান আখতার আবদুর রহমান, ইয়েমেনের রাজনৈতিক নিরাপত্তা সংস্থার (পিএসও) সাবেক প্রধান গালিব আল-কামিশ, জর্ডানের জেনারেল ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টরেটের (জিইডি) সাবেক কর্মকর্তা সাদ আল-খাইর।

এছাড়া উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের মাঝে রয়েছেন, জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ, তাঁর দুই ছেলে এবং মিসরের সাবেক একনায়ক প্রয়াত হোসনি মুবারকও। প্রতিবেদনে বলা হয়, মুবারকের ছয় ব্যাংক হিসাবের একটিতে ২২ কোটি ৪০ লাখ ডলারেরও বেশি জমা ছিল।

তবে ক্রেডিট সুইস গণমাধ্যমের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি দিয়ে বলেছে, পর্যালোচনা করা অ্যাকাউন্টগুলোর প্রায় ৯০ শতাংশ এখন বন্ধ অথবা গণমাধ্যমের অনুসন্ধানের আগে বন্ধ হওয়ার প্রক্রিয়ায় ছিল, যার মধ্যে ২০১৫ সালের আগে ৬০ শতাংশ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তারা আরো বলে, এই প্রতিবেদনগুলো শুধু ব্যাংকই নয়, সামগ্রিকভাবে সুইস আর্থিক বাজারকে অবমূল্যায়ন করার সমন্বিত চেষ্টা বলে মনে হচ্ছে, যা গত কয়েক বছর ধরে চলছে।

প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার প্রক্রিয়ারও বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। আফগানিস্তানে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন বাহিনীর দখলদারির সময় মার্কিন বাহিনী মুজাহিদদের মদদ দিয়ে ছায়াযুদ্ধ চালিয়েছিল। সে প্রক্রিয়ায় পাকিস্তান, জর্ডান, ইয়েমেনসহ বিভিন্ন মিত্র দেশ কিভাবে ওয়াশিংটনকে সহযোগিতা করেছে তার বিশদ বিবরণ উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। নেপথ্যের শীর্ষ ব্যক্তিরা কিভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হন, আছে তার বর্ণনাও।

সুইজারল্যান্ড   পাচার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গ্রেপ্তার আতঙ্কে পলাতক ধর্মগুরু, কৃষক পরিবারে জন্ম নেওয়া ভোলে বাবার আদি-অন্ত

প্রকাশ: ০৪:৫৩ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

গতকাল মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেলে ভারতের হাথরস জেলার রতি ভানপুর গ্রামে ভোলে বাবা নামক এক কথিত ধর্মগুরুর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়ে প্রাণ হারান ১২ জন। কিন্তু এখন জনতার কাছে প্রশ্ন এসেছে এই ভোলে বাবা যিনি নারায়ণ সরকার হরি নামেও পরিচিত তিনি আসলে নিজেকে ধর্মগুরু হিসাবে ঘোষণা দিয়ে এতো বড় দূর্ঘটনার পর কেন পলাতক রয়েছেন। মুলত তাকে কেন্দ্র করেই পুণ্যার্থীরা জড়ো হয়েছিলেন এই ধর্মীয় আচার পালনে।

আজ বুধবার (৩ জুলাই) সকালে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন। এদিকে এ ঘটনায় আহত অনেককে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

তবে এক আয়োজনে পদদলিত হয়ে এত মানুষ কীভাবে মারা গেলেন, সেই প্রশ্নের বিষয়ে উত্তর প্রদেশের মুখ্য সচিব মনোজ কুমার সিং বলেন, পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনার পেছনে বড় একটি কারণ অধিক ভিড়। প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে অনেকেই ভোলে বাবার গাড়ির পেছনে দৌড়াচ্ছিলেন। ভোলে বাবা যে পথে যান, পূজা করার জন্য সেই পথের ধুলোমাটি সংগ্রহ করেন অনেকে। এসব কারণে একের পর এক মানুষ পড়ে গিয়ে পদদলিত হন।’

এ ঘটনায় একটি এফআইআর করা হয়েছে। তাতে উল্লেখ আছে, ধর্মীয় ওই আয়োজনে ৮০ হাজার মানুষ জড়ো হওয়ার অনুমতি থাকলেও জমায়েত হয়েছিল আড়াই লাখের বেশি মানুষের।

প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে মানুষ একপর্যায়ে সেখানকার মাঠে পূণ্যার্থীরা ঢোকার চেষ্টা করলে ওই সময় ভোলে বাবার ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দিলে এতে মানুষের চাপ আরও বেড়ে যায়। পরে ধাক্কাধাক্কিতে অনেকে মাটিতে পড়ে পদদলিত হয়ে মারা যান। আর এমনটাই এফআইআরে।

প্রত্যক্ষদর্শী শকুন্তলা দেবী বলেন, ধর্মীয় আয়োজন শেষ হওয়ার পরপর একসঙ্গে অনেক মানুষ বের হয়ে আসছিলেন। রাস্তায় বেরিয়েই প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্য পড়ে পদদলিত হয় মানুষ।

সুরেশ নামের আরও একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আমি এখানে এসেছিলাম। আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। আরও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। মাইকে ঘোষণা দিলেও কোনো লাভ হয়নি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ভোলে বাবা প্রায়ই তার ভক্তদের কাছে দাবি করে থাকেন তিনি গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করেছেন। তিনি ভক্তদের আরও বলে থাকেন, গোয়েন্দা কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করার সময়ই আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝুঁকে পড়েন এবং ১৯৯০ সালে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। সাধারণ কৃষক পরিবার থেকে উঠে আসা সুরাজ একসময় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের গোয়েন্দা শাখার হেড কনস্টেবল ছিলেন। পরে ১৯৯৯ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ধর্মীয় বাণী প্রচারে মন দেন এবং নিজের নাম পরিবর্তন করে নারয়ণ সাকার হরি রাখেন।

পুলিশের চাকরি ছাড়ার পর সুরজ নিজের নামও বদলে ফেলেন। নতুন নাম নারায়ণ সাকার হরি। এই নামেই এখন তিনি পরিচিত। ভক্তরা তাকে এই নামে অথবা ভোলে বাবা বলে সম্বোধন করেন।

ভারতে ছড়িয়ে থাকা হাজার হাজার বাবাজির থেকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আলাদা এই এই ব্য়ক্তি। তার সঙ্গে থাকেন স্ত্রী প্রেমবতী।

ভক্তদের অবশ্য বাবাজি বলেন, তিনি এখনো মাটির ঘরে থাকেন। পায়ে হেঁটে গোটা উত্তরপ্রদেশ ঘুরে প্রচার করেন তিনি।

গণমাধ্য়মের সামনে খুব বেশি আসতে দেখা যায় না এই বাবাজিকে। তবে ২০২২ সালে কোভিডের সময় বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন এই ব্য়ক্তি। উত্তরপ্রদেশের ফারুকাবাদে একটি সৎসঙ্গ সভা করতে চেয়েছিলেন তিনি। তখন কোভিডের ভরা সময়।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, ভোলে বাবা উত্তরপ্রদেশের ইতাহ বিভাগের বাহাদুর নগরী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানেই প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি দাবি করেন, কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে গোয়েন্দা বিভাগে কাজ শুরু করেন।

ভোলে বাবার অন্যতম একটি আলাদা দিক হলো তিনি ভারতের অন্যান্য ধর্মগুরুর মতো জাফরান রঙের পোশাক পরেন না। এর বদলে সাদা স্যুট এবং টাই পরেন। আর তার পছন্দের তালিকায় রয়েছে কুর্তা-পায়জামা।

ভক্তদের কাছে কথিত এই ধর্মগুরু বলে থাকেন, তারা তাকে যেসব অর্থ দেয় তার কিছুই নিজের জন্য রাখেন না। এসব জমাকৃত অর্থ ভক্তদের পেছনেই সব ব্যয় করে থাকেন।

তিনি জানিয়েছেন, কাজ করতে করতেই আধ্য়াত্মিক জীবনে ঢুকে পড়েন তিনি। এবং সে কারণেই পুলিশের চাকরি ছেড়ে দেন। বস্তুত, ভক্তদের তিনি বলেন, হরি অর্থাৎ, ঈশ্বরের সন্তান তিনি।

অন্যদিকে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, যেখানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল সেখানকার আবহাওয়া প্রচণ্ড গরম ও আদ্র ছিল। এরমধ্যে অস্থায়ী তাঁবু গেড়ে সেখানে অনুষ্ঠানটি করা হয়েছিল। ওই তাঁবুর ভেতর থাকা মানুষ একটা সময় দমবন্ধকর পরিস্থিতিতে পড়েন। এরপর অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর দ্রুত বের হয়ে গেলে অনেকে পদদলিত হয়ে নিহত হন।

এদিকে তার খোঁজে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একটি দল সিকান্দাররাউয়ের ঘটনাস্থলে গিয়েছে এবং অপর একটি দল গিয়েছে বাবা নারায়ণ হরির মূল আশ্রম ফুলর রাম কুটির চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ভবনে। তবে তিনি সেখানে ছিলেন না।

পুলিশ জানায়, ‘আমরা তার সার্বক্ষণিক গতিবিধি সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখছি। বর্তমানে তিনি তিনি মাইনপুরি গ্রামের একটি আশ্রমে অবস্থান করছেন। এই আশ্রমটির সিকান্দাররাউ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।’

উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার সিকান্দাররাউয়ের ফুলরাই গ্রামে বাবা নারায়ণ হরির ‘সৎসঙ্গ’ বা ধর্মীয় সভা ছিল। লক্ষাধিক ভক্ত তার বাণী শুনতে সেই সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন। সভা শেষে লোকজন বেরিয়ে যাওয়ার সময় পদদলিত হয়ে নিহত হন অন্তত ১১৬ জন।

এ ঘটনায় ইতোমধ্যে সভার আয়োজক সংস্থা মানব মঙ্গল সদ্ভাবনা অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ঘটনার তদন্তে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটিও গঠন করা হয়েছে।


ধর্মগুরু   পলাতক   ধর্মীয় আচার   পুণ্যার্থীর মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় শিশুদের মধ্য ছড়িয়ে পড়ছে চর্মরোগ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বেগ

প্রকাশ: ০৪:০২ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার একটি আশ্রয়শিবিরে সাত সন্তান নিয়ে থাকেন ওয়াফ এলওয়ান। তিনি জানালেন তার পাঁচ বছর বয়সী ছেলেটি ঘুমাতে পারছে না। তবে গোলাগুলির শব্দের কারণে ঘুমাতে পারছে না, ব্যাপারটি এমন নয়। এর পেছনে রয়েছে অন্য একটি কারণ। উদ্বিগ্ন মা এলওয়ান বললেন, ‘আমার ছেলেটি কখনোই তার শরীরে আঁচড় কাটা বন্ধ করতে পারছে না, আর এ কারণেই সে সারা রাত জেগে থাকে, ঘুমাতে পারে না।’

ছেলেটির পায়ের পাতাসহ সমস্ত পায়ে সাদা ও লাল ছোপ ছোপ দাগ দেখা দিয়েছে। তাছাড়া তার গায়ের টিশার্টের নিচে রয়েছে আরও অনেক দাগ। পাঁচড়া থেকে শুরু করে জলবস্ত, উকুন, ফুসকুড়ি, ঘা এবং চামড়ার আরও বিভিন্ন রোগে ভুগতে থাকা অনেক শিশুর মধ্যে এই শিশুটি একজন।


ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের কারণে গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজার বাড়িঘর হারানো লোকজন নোংরা দুর্গন্ধময় পরিবেশে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। আর এমন পরিবেশে থাকতে গিয়ে সেখানকার দেড় লাখেরও বেশি মানুষ মারাত্মক সব চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে।

এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে এলওয়ান জানান, ‘আমরা মাটিতে বা বালিতে ঘুমাই আর এ সময় আমাদের শরীরের নিচ দিয়ে নানা রকম পোকামাকড় বের হয়ে আসে।’ গাজা শহরের মধ্যাঞ্চলের সাগরের কাছে দেইর এল-বালাহ এলাকার বেলাভূমিতে হাজার হাজার পরিবারের মাঝে আশ্রয় নিয়েছে তাদের পরিবারটি। 

এলওয়ান মনে করেন এ ধরনের সংক্রমণ অবধারিত। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের গোসল করাতে পারি না। বসবাসের জায়গা ধোয়া বা পরিষ্কার করার জন্য কোনো স্বাস্থ্যকর উপাদানও নেই আমাদের কাছে। আমাদের কাছে কিছুই নেই।’

বাবা-মায়েরা তাদের ছেলে-মেয়েদের ভূমধ্যসাগরে গোসল করতে বলে থকেন। তবে যুদ্ধের কারণে দূষণের মাত্রা এতটাই বেড়েছে যে সেখান থেকেও রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এলওয়ান বলেন, ‘সাগরটি এখন নর্দমায় পরিণত হয়েছে। এখন ময়লা আবর্জনাও ফেলা হচ্ছে এই সাগরে।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধ শুরু পর থেকে ৯৬ হাজার ৪১৭টি পাঁচড়া ও উকুনের সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া ৯ হাজার ২৭৪টি জলবসন্ত, ৬০ হাজার ১৩০টি বিভিন্ন র‌্যাশ এবং ১০ হাজার ৩৮টি ঘায়ের সংক্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।

দেইর আল-বালাহ শিবিরের একটি অস্থায়ী ক্লিনিকের ফার্মাসিস্ট সামি হামাদ জানান, উপকূলীয় ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে পাঁচড়া এবং জলবসন্ত সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়েছে।


গাজা   যুদ্ধবিধ্বস্ত   চর্মরোগ   শিশু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

প্রথম শীর্ষ নারী বিচারপতি পেল লাহোর হাইকোর্ট

প্রকাশ: ০৩:১৯ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের লাহোর হাইকোর্টে শীর্ষ বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিচারপতি আলিয়া নীলম। তার এই নিয়োগের মাধ্যমে এই প্রথম কোনো নারী শীর্ষ বিচারপতি পেল লাহোর হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) পাকিস্তানের আইন ও বিচার মন্ত্রণলয়ের অধীন সংস্থা জুডিশিয়ালি কমিশন অব পাকিস্তানের (জেসিপি) বৈঠকে লাহোর হাইকোর্টের শীর্ষ বিচারপতি হিসেবে আলিয়া নীলমকে নিয়োগ দানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান বিচারপতি কাজি ফায়েজ ইসা। খবর জিও টিভি।

বৈঠকে আলিয়া নীলমের নাম প্রস্তাব করেছিলেন কাজী ফায়েজ ইসা নিজেই। তার চেয়ে যোগ্য অপর কোনো প্রার্থী না থাকায় প্রধান বিচারপতির এই প্রস্তাব মেনে নেন জেসিপির অন্যান্য সদস্যরা।

লাহোর হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের তালিকায় আলিয়া নীলম তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। তার সামনে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে বিচারপতি মালিক শেহজাদ আহমেদ খান এবং বিচারপতি শহীদ বিলাল হাসান। দুজনই সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। আলিয়ার আগে লাহোর হাইকোর্টের শীর্ষ বিচারপতি ছিলেন মালিক শেহজাদ আহমেদ খান।

বিচারপতি আলিয়া নীলমের জন্ম পাঞ্জাবে, ১৯৬৬ সালের ১২ নভেম্বর। ১৯৯৫ সালে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাসের পরের বছর থেকে লাহোর হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে পেশাগত ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি।

২০০৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে নথিভুক্ত হন বিচারপতি আলিয়া। কয়েক বছর সেখানে কাটানোর পর জুনিয়র বিচারপতি হিসেবে ২০১৩ সালে ফের লাহোর হাইকোর্টে যোগ দেন।

এলএলবি’র পাশাপাশি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং আইন ও বিচার সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি রয়েছে তার। ২০১৩ সালে লাহোর হাইকোর্টে বিচারপতি হিসেবে যোগদানের পর থেকে ফৌজাদি, দেওয়ানি ও সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত বহু মামলার বিচার পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। এছাড়া নারী ও শিশুর ওপর সহিংসতা সংক্রান্ত বেশ কিছু মামলার বিচারকাজে নেতৃত্ব দেওয়ার কৃতিত্ব তার রয়েছে।


লাহোর হাইকোর্ট   নারী বিচারপতি   পাকিস্তান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মমতার বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যপালের মামলা

প্রকাশ: ০১:৪৯ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

পশ্চিমবঙ্গের উপনির্বাচনে বিজয়ী তৃণমূলের দুই প্রার্থীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে রাজ্যের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলবার রাজ্যপাল মমতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। এই মামলা আজ বুধবার (৩ জুলাই) বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের এজলাসে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

রাজ্যপাল অভিযোগ করেন, তার সম্মানহানির চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি বলেন, কেউ আমার সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করলে, তাকে ভুগতে হবে। রাজ্যপালের মতে, মুখ্যমন্ত্রী তার সাংবিধানিক সঙ্গী, কিন্তু তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগে মানহানির মামলা করেছেন।

এই বিরোধের মূলে রয়েছে তৃণমূলের নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথ গ্রহণের স্থান। রাজ্যপাল চান, শপথ হোক রাজভবনে, আর মুখ্যমন্ত্রী চান, শপথ হোক বিধানসভা ভবনে। তৃণমূলের জয়ী বিধায়করা, অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন, বিধানসভা ভবনে শপথ গ্রহণের দাবিতে ২৬ জুন থেকে আম্বেদকরের ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা অভিযোগ করেন, রাজভবনে নারীদের জন্য নিরাপদ নয়। রাজ্যপালের সঙ্গে মমতার সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ। এর মধ্যে রাজভবনের এক নারী কর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।

রাজ্যপাল ২৬ জুন রাজভবনে শপথ গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন। কিন্তু তৃণমূলের দাবির কারণে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান স্থগিত হয়ে যায়। 


মমতা   পশ্চিমবঙ্গ   রাজ্যপাল   মামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় একই পরিবারের ৯ জনসহ ১২ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশ: ১২:৫৯ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

অবরুদ্ধ গাজার 'নিরাপদ অঞ্চলে' আবারও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এতে একই পরিবারের ৯ জনসহ অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর আল জাজিরার।

এছাড়া গাজার খান ইউনিসের শরণার্থী শিবিরগুলোতেও ইসরায়েলের অভিযান পরিচালিত হচ্ছে এবং সেখান থেকে গাজার বাসিন্দাদের সরে যেতে বল প্রয়োগ করছে তেল আবিবের সেনারা।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, সম্প্রতি ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ২ লাখ ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি খান ইউনিসের শরণার্থী শিবির এবং তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। এতে করে গাজায় বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখের কাছাকাছি। বলা যায়, গাজার প্রায় সব বাসিন্দাই কোনো না কোনোভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

খান ইউনিসের ইউরোপিয়ান হাসপাতাল থেকে শত শত অসুস্থ ও আহত মানুষকেও পালাতে বাধ্য করেছে ইসরায়েলি সেনারা। ইসরায়েলের স্থল আক্রমণ থেকে ওই অঞ্চলের হাসপাতালগুলোকে রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রিক পিপারকর্ন।

এদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরের নুর শামস শরণার্থী শিবিরে মঙ্গলবার গভীর রাতে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন চার ফিলিস্তিনি। শেষ ২৪ ঘণ্টায় ওই শরণার্থী শিবিরে নারী এবং শিশুসহ নিহত হয়েছেন মোট ৬ ফিলিস্তিনি। এতে গাজায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৯২৫ জনে। গত অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় গাজায় আহত হয়েছেন ৮৭ হাজার ১৪১ জন। এ ছাড়া হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলায় ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৩৯ জনে।


বিমান হামলা   নিহত   গাজা   বাস্তুচ্যুত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন